তিনি বলেছেন, “কোটা সংস্কারের আন্দোলন যারা করছে, তাদেরকে সমর্থন-সহানুভূতি জানানোর কথা তিনি (তারেক) বলেছেন। যৌক্তিক একটি আন্দোলনে তারেক রহমান সমর্থন দিয়েছেন।
“তিনি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তিনি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষককে এই আন্দোলনে সহযোগিতা-সমর্থন দিতে বলেন, এখানে কোনো অন্যায় নেই।”
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ভূমিকা রাখার পরামর্শ দিয়ে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি সমর্থক শিক্ষক নেতা মামুনকে ফোন করেন লন্ডনে থাকা তারেক।
তাদের কথোপকথন ইউটিউবে আসার পর তা নিয়ে আলোচনা চলছে। আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ বলেছেন, কোটার আন্দোলনে ‘বাতাস’ দিতে চাইছেন দণ্ডিত পলাতক আসামি তারেক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়ের শিক্ষক খন্দকার মোশাররফ বলেন, “এটা (তারেকের সমর্থন) যে যৌক্তিক ছিল, আজকে প্রমাণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বাধ্য হয়ে ওই আন্দোলনের কাছে মাথানত করে পরাজয় স্বীকার করে আজকে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছেন।”
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ।
তিনি বলেন, সরকার কোটা পদ্ধতিতে ব্যবহার করে প্রশাসনে দলীয়করণ করায় শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছিল।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ছাড়া অন্য সব কোটা বাতিল করবে বলে জানান তিনি।
কোটার আন্দোলন থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজনও অনুভব করছেন খন্দকার মোশাররফ।
“এরকম যৌক্তিক আন্দোলন থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। জনগণ এরকম আন্দোলনের জন্য অপেক্ষা করছে।”