বন্দি হওয়ার দুই মাস পর শনিবার সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদাকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তাকে পাহারা দিয়ে আসা ঢাকার যুগ্ম পুলিশ কমিশনার শেখ নাজমুল আলম সাংবাদিকেদর বলেন, “আমাদের দায়িত্ব ছিল উনাকে নিরাপদে হাসাপাতালে পৌঁছে দেওয়া। তা আমরা করেছি।
“স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর উনাকে পুনরায় কারাগারে পৌঁছে দিতে হবে, আমার কাছে এটুকু তথ্য রয়েছে।”
বিএসএমএমইউর কোষাধ্যক্ষ আলী আসগর মোড়ল সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আনা হচ্ছে। তিনি ভর্তি হবেন কি না, তা মেডিকেল বোর্ড ঠিক করবে।
বিএসএমএমইউতে পৌঁছার পর খালেদা জিয়া হেঁটেই কেবিন ব্লকের লিফটে ওঠেন। তিনি ৫১২ নম্বর কেবিনে থাকবেন বলে বিএসএমএমইউর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তারা বলছেন, খালেদা জিয়ার এক্সরে ও রক্ত পরীক্ষা করা হবে। সেজন্য হাসপাতালে রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগে এক্সরে কক্ষ নং ১/এ এবং কেবিল ব্লকে প্যাথলজি বিভাগে রক্ত পরীক্ষার করার কক্ষ প্রস্তত রাখা হয়েছে।
খালেদা জিয়া কেবিনে যাওয়ার পর চারজন চিকিৎসক অধ্যাপক এম আলী, ফয়েজুর রহমান, এস এম সিদ্দিক ও মো. মামুনকে নিয়ে সেখানে যান বিএসএমএমইউর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে, এরা সেই বোর্ডের সদস্য নন। ডা. মামুন বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক।
৭৩ বছর বয়সী খালেদার জন্য যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে, তার নেতৃত্বে রয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. শামসুজ্জামান। সদস্য রয়েছেন ডা. মনসুর হাবীব (নিউরোলজি), টিটু মিয়া (মেডিসিন) ও সোহেলী রহমান (ফিজিক্যাল মেডিসিন)।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে থাকা খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নেতাদের উদ্বেগ রয়েছে। তারা ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে খালেদাকে পরীক্ষার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।