এনবিআর-দুদকের মাধ্যমে প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই চায় ন্যাপ

হলফনামায় প্রার্থীদের দেওয়া তথ্যের সত্যতা এনবিআর ও দুদকের মাধ্যমে যাচাইয়ের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2017, 02:22 PM
Updated : 11 Oct 2017, 02:22 PM

সেই সঙ্গে বর্তমান সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে সেনা মোতায়েন, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট এবং নারীদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন বরাদ্দ, ‘না’ ভোটের বিধানসহ ১৬ দফা সুপারিশ করেছে দলটি।

বুধবার বিকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে ন্যাপের কার্যকরী সভাপতি আমিনা আহমেদের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। আমিনা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে নবম ও দশম সংসদে সংরক্ষিত আসনের সদস্য হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করছেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনার, ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।

পরে বৈঠক শেষে ন্যাপ সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া সময়োপযোগী ও আইন কাঠামো সংস্কার বিষযে ১৬ দফা সুপারিশ করেছেন তারা। এর মধ্যে এনবিআর ও দুদকের মাধ্যমে প্রার্থীদের হলফনামা যাচাইয়ের প্রস্তাব রযেছে।

তাদের অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধানের আলোকে বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠান, নির্বাচনের সব দল এবং প্রার্থীদের ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির কথা বলা হয়েছে।

আমিনা আহমেদ বলেন, “নির্বাচনে বিশেষ প্রয়োজনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েন নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। এ বিষয় নিয়ে অহেতুক বিতর্ক জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াবে।”

স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী দল বা ব্যাক্তি যেন কোনোভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে বিষয়ে আইন সংস্কারের দাবি তুলেছেন তারা।

নির্বাচনী জামানত ১০ হাজার টাকার মধ্যে সীমিত রাখা, ইসির উদ্যোগে নির্বাচনী প্রচারণা, পোস্টার, নির্বাচনী সভার আয়োজন, ভোটারের স্লিপ বিতরণ, অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা, আচরণবিধি না মানলে প্রার্থিতা বাতিলসহ এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান, ভোট কেন্দ্রে ৪০ হাজার সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবিও জানিয়েছে তারা।

ইসি ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে গত ৩১ জুলাই নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হয়।

এরপর ১৬ ও ১৭ অগাস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর ২৪ আগস্ট থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ চলছে। অক্টোবরের মধ্যে সব অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষ করার কথা ইসির।

বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও বিকালে গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে সংলাপ রয়েছে।