মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সঙ্গে সংলাপে দলটির পক্ষ থেকে ১৫ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়।
মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন ভবনে এই সংলাপে অংশ নেয়।
এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, অন্য কমিশনাররা ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় শেষে মাওলানা মাহফুজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ১৫ দফা সুপারিশ তুলে ধরেছি। এর মধ্যে বলা হয়েছে- ধর্ম ও স্বাধীনতাবিরোধী কোনো দল বা শক্তিকে নিবন্ধন না দেওয়া এবং নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বা বিরোধপূর্ণ কোনো আইন ও শর্তারোপ না করা।”
অন্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে আনা, নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকে সেনা মোতায়েন রাখা, অনলাইনে মনোনায়ন জমা, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, প্রতিটি ভোট কেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা, নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে নিস্পত্তি করা, একই পোস্টারে সব প্রার্থীর পরিচয় ও প্রতীক; একই মঞ্চে প্রার্থীদের বিতর্ক আয়োজন।
গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আইনের যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর করার জন্য একজন কমিশনারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করার সুপারিশও রয়েছে দলটির।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, “যেসব সুপারিশ আসছে এরমধ্যে যেগুলো ইসির এখতিয়ারভুক্ত নয়, তাও সরকারকে অনুরোধপত্রের মাধ্যমে বিবেচনার জন্যে পাঠাতে বলছে তারা। তবে সংলাপ শেষে একীভূত সুপারিশ পর্যালোচনা করে সরকারের কাছে উপস্থাপনযোগ্য প্রস্তাবগুলো আমরা সরকারের কাছে পাঠাব।”
বিকালে ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপের সূচি থাকলেও চেয়ারম্যান ও মহাসচিব অসুস্থ থাকায় তাতে অংশ না নেওয়ার কথা সোমবারই জানিয়ে দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলটি।
গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা শুরু করে নির্বাচন কমিশন।
পরে ১৬ ও ১৭ অগাস্ট অর্ধশত গণমাধ্যম প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করে বিভিন্ন পরামর্শ নেয় ইসি।
এরপর ২৪ অগাস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করে ইসি।
মঙ্গলবার পর্যন্ত আটটি দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ হলো।