সব ধরনের পণ্য ও সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের সমালোচনা করে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, “ব্যাংকগুলো থেকে লুটপাটের টাকার ঘাটতি পূরণ করতে সরকার সাধারণ মানুষের পকেটে হাত দিয়েছে।”
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন।
বছরের যে কোনো সময় ব্যাংক হিসেবে এক লাখ টাকার বেশি লেনদেনের ওপর আবগারি শুল্ক বিদ্যমান ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০০ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এতে। এছাড়া এই অর্থবছরে বাস্তবায়ন হতে চলা নতুন ভ্যাট আইনে সব ধরনের পণ্য ও সেবার ওপরে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের কথা বলা হয়েছে।
ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা অর্থের ওপর কোন ধরনের ‘আবগারি শুল্ক’ আরোপ ‘বিধিবহির্ভূত’ বলে দাবি করেন আমীর খসরু।
শুক্রবার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আজকে যারা নিম্ন মধ্যবিত্ত লোক ব্যাংকে কিছু সঞ্চয় করছেন, সেই সঞ্চয়ে তারা যে সুদ পাচ্ছেন, ওই সুদের ওপর তারা কিন্তু কর দিচ্ছেন। এই করের পরেও সরকার একটা আবগারি শুল্ক দ্বিগুণের চেয়ে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
“এই রকম আবগারি শুল্ক বলে কোনো শুল্ক ব্যাংকের হিসাবের ওপর হতে পারে না। আবগারি শুল্ক হয় বেচা-কেনা পণ্যের ওপরে, ট্রেডের ওপরে।”
আমীর খসরু বলেন, “ব্যাংকের একাউন্টের সুদের ওপরে আবগারি শুল্ক বিশ্বের কোনো দেশে নাই।
“একেবারে সরাসরি চাঁদাবাজি করছে সরকার। তারা জোর করে সাধারণ নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের কাছ থেকে, তাদের পকেট থেকে অর্থ নিয়ে যাবে।”
সেগুনবাগিচায় কঁচিকাঁচার মেলা মিলনায়তনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্বাধীনতা ফোরাম’ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আমীর খসরু।
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন।
এতে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শামা ওবায়েদ, ফরহাদ হোসেন ডোনার, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, কাদের গনি চৌধুরী এবং এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম ও এনডিপির মঞ্জুর হোসেন ঈসা বক্তব্য দেন।