নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়ে বিএনপির আপত্তির মধ্যে শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপিপন্থি পেশাজীবীদের সংগঠন ‘শত নাগরিক কমিটি’র এই আহ্বায়ক বলেন, “নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপি বা অন্য দল কে কী বলবে তা ভিন্ন কথা। যেহেতু মহামান্য রাষ্ট্রপতি এটা ঘোষণা করেছেন এটা ‘একসেপ্টেড’ হওয়া উচিত, এ নিয়ে ভিন্নমত থাকার কোনো কারণ নেই।”
সার্চ কমিটির সুপারিশ করা ১০ জন থেকে সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পাঁচ সদস্যের যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেন তাতে সিইসি নূরুল হুদার সঙ্গে কমিশনার হিসেবে আছেন সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার পর যুগ্ম সচিব নূরুল হুদাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল, যা অবৈধ বলে পরে আদালতের রায় হয়। এরপর ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতায় সচিব হয়ে অবসর নেন তিনি; তখন ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের সময় ঢাকায় গঠিত জনতার মঞ্চে যোগ দেওয়া প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে নূরুল হুদাও ছিলেন বলে দাবি করছেন বিএনপি নেতারা।
তবে নূরুল হুদা জনতার মঞ্চে ছিলেন না দাবি করে বলেছেন, বিএনপির ওই বক্তব্য তাদের ‘রাজনৈতিক কৌশল।
নতুন সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখলেও এই কমিশনকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক এমাজউদ্দীন।
সেসঙ্গে নতুন কমিশনের সামনে সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের অগ্নিপরীক্ষা রয়েছে মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য বলেন, “কমিশনকে তাতে উর্ত্তীণ হতে হবে। উর্ত্তীণ হতে এখন থেকে তাদের চেষ্টা চালাতে হবে। তাদের উর্ত্তীণ হওয়ার একমাত্র পথ জনসাধারণের আস্থাভাজন হওয়া।”
বীরগাঁও সূর্যতরুণ সংগঠনের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তকদির হোসেন জসিম, দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদী, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডেপুটি রেজিস্ট্রার আজিজুল হক ও কবি রেহানা সুলতানা।