অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Published : 23 Jun 2024, 02:58 PM
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভায় অংশ নিতে দলে দলে জড়ো হয়েছেন নেতাকর্মীরা।
রোববার বিকালে এ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বক্তৃতা করবেন।
সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকগুলো বেলা সাড়ে ১১টায় খুলে দেওয়া হয়। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন।
দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় যোগ দিতে ঢাকার উত্তরা থেকে এসেছেন ৭২ বছর বয়সী আওয়ামী লীগ কর্মী মো. সিদ্দিকুর রহমান।
তিনি বলেন, “দলের প্রতি ভালোবাসা থেকেই প্রতি বছর সকল দলীয় অনুষ্ঠানে আসি। আমি ছোটকাল থেকেই পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ কর্মী।
“প্রথমবার এসেছিলাম সাহারা খাতুন আপার সাথে, এখন আমাদের এমপি খসরু সাহেবের সাথে এসেছি এবং আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে ভবিষ্যতেও আসব।”
সিদ্দিকুর বলেন, “দলে এখন আমি আমার ওয়ার্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। যখন পদ-পদবী ছিল না, তখনও দলের সম্মেলনে আসতাম; ভবিষ্যতে পদ-পদবী না থাকলেও আসব।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছেন ছাত্রলীগ কর্মী শাহীন আলম। তার সঙ্গে কথা হয় টিএসসি প্রাঙ্গণে।
তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাদের পদরেখা অনুসরণ করে রাজনীতি করতে চাই।
"আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে আজকের এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে ভাল লাগছে।"
জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। এরপর শুরু হবে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠা পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা পায় বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া এ দলে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার মেয়ে শেখ হাসিনা, যিনি টানা চার মেয়াদে সরকার পরিচালনা করছেন।
আলোচনা সভায় অংশ নিতে আসা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য জি এম আরিফুজ্জামান বলেন, “গৌরবময় ৭৫ বছরের পথচলায় আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের জন্য নানা অবদান রেখেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
“এছাড়া ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে এ দলটি মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করেছে। তাই এই দলের প্রতি মানুষের এত ভালোবাসা।”