সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের উপর হামলার প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি দিয়েছে ছাত্রদল।
এরমধ্যে রয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৯ সেপ্টেম্বর নয়া পল্টনের সড়কে ছাত্র সমাবেশ।
মঙ্গলবার বিকালে হামলার পর সন্ধ্যায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।
ছাত্রদলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটির নেতারা বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় হামলার শিকার হন।
হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হন। হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে ছাত্রদল। তবে ছাত্রলীগ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, এটা ছাত্রদলের ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দলের’ ফল।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলে নেতারা বলেন, ছাত্রলীগ ‘বহিরাগত সন্ত্রাসীদের জড়ো করে’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এই হামলা চালিয়েছে।
শ্রাবণ বলেন, “হামলার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না। সন্ত্রাসীদের হুমকি থাকা সত্ত্বেও তারা আজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
“আমরা এ্ই ব্যর্থতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টরসহ প্রশাসনের পদত্যাগ এবং অবিলম্বে হামলার সাথে জড়িতদের যথাযথ শাস্তি দাবি করছি।”
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ধারাবাহিক কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
তিনি বলেন, “অচিরেই ছাত্রদল আবার ক্যাম্পাসে যাবে। আমাদের ক্যাম্পাস, আমরাই থাকব। একই সাথে এটাও বলতে চাই, আমাদের সহযোদ্ধাদের প্রতি ফোঁটা রক্তবিন্দুর জবাব অবশ্যই দিতে হবে।”