“বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষ চায় এ গণহত্যার বিচার হোক,” বলেন উপদেষ্টা।
Published : 10 Dec 2024, 10:44 PM
জুলাই-অগাস্ট গণঅভ্যুত্থান দমাতে আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো ‘গণহত্যার’ বিচার করে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক জুরিস্ট ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় আওয়ামী লীগ সরকার যে গণহত্যা চালিয়েছে, তা এক কথায় কল্পনাতীত। বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষ চায় এ গণহত্যার বিচার হোক।
“বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতার সঙ্গে এই গণহত্যার বিচার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পৃথিবীর সামনে গণহত্যার বিচার নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায় বাংলাদেশ।”
নাহিদ ইসলাম বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৫ অগাস্ট স্বৈরাচার হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তারপর তিনদিন সরকার না থাকায় অনেক ফ্যাসিস্ট সমর্থক দেশ ছেড়ে পালানোর সুযোগ পেয়েছেন। আমরা গণহত্যার বিচারের কাজ শুরু করেছি। প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের কাজ চলছে।”
তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জুরিস্ট ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা জুলাই গণহত্যার বিচারের সময়কাল এবং প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চান।
জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “এ বিচার কখনোই প্রতিশোধমূলক হবে না। কারণ বিচার মানেই ন্যায়বিচার। গণহত্যার বিচারের বিষয়ে ফ্যাসিস্টবিরোধী সব দল একমত।”
বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে দেশ-বিদেশের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “এই বিচার শুধু বাংলাদেশের নির্যাতিত এবং গণহত্যার শিকার হওয়া মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নয়, বিশ্বের মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের পরিণাম হিসেবেও বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা প্রয়োজন।
“এই বিচার প্রক্রিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর রয়েছে এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে।”
আন্তর্জাতিক জুরিস্ট ইউনিয়নের পরামর্শ, সহযোগিতা এবং অভিজ্ঞতা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গ্রহণ করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন উপদেষ্টা।
আন্তর্জাতিক জুরিস্ট ইউনিয়ন বিশ্বের ৪০টি দেশে আইনজীবী, শিক্ষাবিদ এবং প্রসিকিউশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করে। বাংলাদেশের কিছু আইনজীবীও এ সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে গণহত্যা হয়েছে তা সুস্পষ্ট অপরাধ এবং তার শাস্তি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
“তারা নৈতিকভাবে জুলাই গণহত্যার বিচারকে সমর্থন করে বলেন অন্তর্বর্তী সরকারকে গণহত্যাকারীদের বিচারের বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে তারা প্রস্তুত।”