প্রাণঘাতী অস্ত্রে প্রাণহানি গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থি এবং মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, বলেন তিনি।
Published : 04 Aug 2024, 07:41 PM
গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ‘আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের’ তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি করে রোববার বিবৃতি দিয়েছেন তিনি।
এতে তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ’ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ‘নিরস্ত্র’ শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও ‘প্রাণঘাতী’ অস্ত্র ব্যবহারে বিপুলসংখ্যক ছাত্র ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি, গুরুতর আহত করা দেশের গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার পরিপন্থি এবং মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
আন্দোলন চলাকালে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, তবে মনে রাখতে হবে মানুষের প্রাণের মূল্য দুনিয়ার সমস্ত সম্পদ বা স্থাপনার চেয়েও অনেক বেশি।
স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এসব প্রাণহানি ও নাশকতার জন্য যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী শাস্তির দাবি করেছেন ড. কামাল।
এ অজুহাতে ভিন্নমতের কাউকে দমনপীড়ন বা সাধারণ মানুষকে হয়রানি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয় বলে মনে করেন সংবিধানের অন্যতম এই প্রণেতা।
বিবৃতিতে ড. কামাল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করা, সারা দেশের সব আটক ছাত্র-জনতার মুক্তিসহ অবিলম্বে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে কাজ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান রেখেছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের একদফায় রূপ নেওয়ার পর রোববার তাদের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা ও প্রাণহানি হয়েছে।
সরকার পতনের আন্দোলন মোকাবেলায় মাঠে নামে আওয়ামী লীগ। এ দিন বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে, থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের হামলা-সংঘর্ষ হয়েছে।
এ অবস্থা রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।