ফ্যাসিস্ট এবং তাদের ‘দোসররা’ এখনো তৎপর: সাকি

ফ্যাসিস্ট ও তাদের দেশি বিদেশি ‘দোসররা’ এখনো তৎপর আছে মন্তব্য করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, তারা ভারতে আশ্রয় নিয়ে সেই দেশের গণমাধ্যম, সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

শনিবার রাজধানীর মিরপুরের শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূন্যতম গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরি করার জন্য ঐক্য বজায় রাখবে। কারণ ফ্যাসিস্টরা এখনো তৎপর আছে। তাদের দেশি-বিদেশি দোসররা তৎপর আছে।

“আমরা দেখছি, তারা ভারতে আশ্রয় নিয়ে সেই দেশের গণমাধ্যম, তাদের সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশকে সারাবিশ্বের সামনে এমনভাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করছে, যা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।”

ফ্যাসিবাদের দোসররা নানাভাবে এদেশের মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে মন্তব্য করে সাকি বলেন, “বাহাত্তর সালে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা পত্তন করা হয়েছে সংবিধানের মধ্য দিয়ে, সেই সংবিধান এমনভাবে ক্ষমতা কাঠামো তৈরি করেছে, যেখানে সমস্ত ক্ষমতা একজন ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রিভূত করা হয়েছে৷ গত ৫৩ বছরে অনেক লড়াই হয়েছে। কিন্ত সংবিধানের ক্ষমতা কাঠামোর বদল, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার এবং তার মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, আইনের সংস্কার করা- এই বিষয়গুলো রাজনৈতিক সংগ্রামে আমাদের কেন্দ্রীয় বিষয়ে পরিণত হয়নি।

এবারের গণঅভ্যুত্থানের প্রধান বিষয় এই রাষ্ট্র ব্যবস্থা বাতিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রতিষ্ঠান, আইনের সংস্কার করতে হবে এবং একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেখানে ক্ষমতায় যারা যাচ্ছে, তারা জবাবদিহিতাহীন থাকতে পারবে না। তাদেরকে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে, সেই কাঠামো তৈরি করতে হবে।

“আজকে সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের আকাঙ্খা অনুযায়ী একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করবে। সেটাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে সবাইকে সহায়তা করবে।”

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আরও বলেন, “আমরা আজকের দিনে সকল বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই, যারা একাত্তর সালে শহীদ হয়েছে। আমরা একইসাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।”