তাজউদ্দীন আহমদ: ইতিহাসের এক নির্মোহ নির্মাতা

স্বদেশ রায়
Published : 23 July 2020, 10:25 AM
Updated : 23 July 2020, 10:25 AM

তাজউদ্দীন আহমদের দর্শন ছিল, 'তুমি ইতিহাসে এমনভাবে কাজ করো যেন ইতিহাসে কোথাও তোমাকে খুঁজে পাওয়া না যায়।' ইতিহাসের এমন নির্মোহ নির্মাতা পৃথিবীতে দ্বিতীয় কেউ জন্মেছেন বলে অন্তত আমার জানা নেই। ইতিহাসের অনেক নায়ক ইতিহাস থেকে বাদ পড়েন কারণ সেখানে শুধু মূল নেতাদের নাম থাকে। মূল নেতাদের পাশাপাশি কেউ কেউ যে কোনো একটি মুহূর্তে ইতিহাসের অন্যতম এক নায়ক হয়ে ওঠেন সেটা রাজকাহিনীর ইতিহাসে থাকে না। থাকে সাধারণ মানুষের মুখের ইতিহাসে আর গল্প কাহিনীতে। তাজউদ্দীন আহমদ কিন্তু কোনোমতেই আমাদের ইতিহাসে কোনো এক মুহূর্তের অন্যতম নায়ক নন। তিনি আমাদের ইতিহাসের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অন্যতম এক নায়ক। যাকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস পরিপূর্ণ নয়। তারপরেও তিনি কীভাবে ওই দর্শন অর্থাৎ ইতিহাসের পাতা থেকে নিজেকে দূরে রাখার দর্শন অনুসরণ করে গেছেন তা সত্যি এক বিরল দৃষ্টান্ত। কেন ইতিহাসের নায়কদের এ কাজ করতে হয় তার তিনি কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে যেতে পারেননি বা দেননি। তবে বিষয়টি নিয়ে ভেবে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি তা হলো, তাজউদ্দীন আহমদ হয়তো বিশ্বাস করতেন ইতিহাসে মূল নায়ক জনগণ। ভবিষ্যত যাতে অতীতের তাদের জনগণকে নায়ক হিসেবে খুঁজে পায় সেজন্যই তিনি ইতিহাসের ব্যক্তিকে আড়াল করায় বিশ্বাস করতেন। হয়তো তিনি ভেবেছিলেন বা বিশ্বাস করতেন, এর ফলে ভবিষ্যত জনগণও দায়িত্ববান হবে। তারা দেখতে পাবে অতীতে জনগণ মিলিতভাবে এ কাজ করেছে আমাদেরও তাই এ মুহূর্তে মিলিতভাবে এ কাজ করা প্রয়োজন। জনগণের এই নেতা হয়ে ওঠার দর্শনটি আমরা মার্কসীয় দর্শন থেকে পাই। তবে মাকর্সীয় দর্শনকে ধারণ করে এ পৃথিবীতে যারা বড় নেতা হয়েছেন যেমন, লেনিন, মাও, ক্যাস্ট্রো, চে' গেভারা কেউই কিন্তু জনগণকে বড় করেননি। বরং তাদের আড়ালেই ঢাকা পড়ে গেছে জনগণ। অথচ মার্কসীয় আদর্শের রাজনীতিক না হয়ে বরং শতভাগ একজন জাতীয়তাবাদী রাজনীতিক হয়ে তাজউদ্দীন আহমদ জনগণকে নিজের থেকে গুরুত্ব দিয়ে গেছেন বেশি। এখানে অবশ্য তাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, 'আমি নিজে মার্কসবাদী বা কমিউনিস্ট নই তবে আমি কমিউনিজম থেকে নিজের জীবনাচরণে অনেকখানি গ্রহণ করি।'

বাস্তবে মার্কসীয় দর্শন নিয়ে এগুতে হলে যে জীবনাচারণ দরকার হয় সেদিক থেকে হিসেবে করলে আমাদের কোনো কমিউনিস্ট নেতা কিন্তু শেষ বিচারে তাজউদ্দীন আহমদের ধারে কাছে নন। মার্কসীয় দর্শন মেনে কোনো বিপ্লবের পথে এগুতে হলে নেতার প্রতি আনুগত্য, সর্বোপরি দল ও জনগণের স্বার্থে কাজ করাই মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। এর বিপরীতে আমরা এই উপমহাদেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনে দেখেছি বারবার নেতৃত্বের বিরোধে দলের বিভক্তি। অর্থাৎ তারা খুব বেশি দল ও নেতার স্বার্থে কাজ করতে রাজী ছিলেন না। এর বিপরীতে জাতীয়তাবাদী নেতা তাজউদ্দিনের প্রতিটি কাজ যদি বিশ্লেষণ করা হয় তাহলে দেখা যায়, তিনি সবসময় দল ও নেতার জন্যে কাজ করতেন। তার প্রতিটি কাজ ছিল অত্যন্ত সুচিন্তিত এবং সবসময়ে দল ও নেতার জন্যে। যেমন ১৯৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অনেক সুচিন্তিত এবং বিজ্ঞানভিত্তিক প্রচারের ব্যবস্থা করেছিল তখনকার সময় অনুযায়ী। ওই নির্বাচনের প্রচার সেলে চরমপত্র খ্যাত এম আর আখতার মুকুলও ছিলেন। এম আর আখতার মুকুল এক ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বলেছিলেন, 'বঙ্গবন্ধু যখন দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচার দেয়া শুরু করলেন তখন একদিন রাজশাহীর এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেবার আগে দেখি তাজউদ্দীন আহমদ তার হাতে ছোট একটি কাগজ গুঁজে দিলেন। ওই কাগজ দেখে আমার কৌতুহল হলো। আর এই কৌতুহল থেকে বগুড়ার জনসভায় যাবার পরে জানতে পারলাম প্রতিটি জনসভার আগে তাজউদ্দীন আহমদ যে ছোট কাগজটি বঙ্গবন্ধুর হাতে গুজে দেন সেটা আর কিছু নয়, ওই এলাকায় কী কী প্রয়োজন তার একটি লিস্ট। বাংলাদেশের কোথায় কী দরকার, সেটা বঙ্গবন্ধুর নখদপর্নে ছিল। তারপরেও দলের সেক্রেটারি হিসেবে যে প্রতিটি জনসভার জন্যে এভাবে নির্দিষ্টভাবে ভাগ করে যথাসময়ে নেতার হাতে দেওয়া একটা দায়িত্ব তা ওই প্রথম বুঝতে পারলাম।' ১৯৭০-এর নির্বাচনের প্রচারে তাই লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, শুধু মূল নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নয়, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা যে যেখানে ভাষণ দিয়েছেন বা যে নির্বাচনী প্রচার করছেন সবই ছিল ওই এলাকার মানুষের প্রয়োজন নিয়ে। দলের সেক্রেটারি হিসেবে তাজউদ্দীন আহমেদ এ কাজটি সেদিন অত্যন্ত সফলভাবে দলকে দিয়ে করাতে সমর্থ হয়েছিলেন। অথচ ইতিহাসের কেউ কোনোদিন জানবে না এ কাজটি তাজউদ্দীন আহমেদ করিয়েছিলেন। জানবে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তার সকল নেতা সেদিন এমন সফল ছিলেন। বাস্তবে এটাও সত্য যে একা কোনো কিছু করা যায় না, তবে নেতা হিসেবে তিনি যে এই দিকনির্দেশনা দিতে পেরেছিলেন, দলের সেক্রেটারি হিসেবে এ দায়িত্ব পালন করেছিলেন- এর গুরুত্ব অপরিসীম।

১৯৭০-এর নির্বাচনে বিজয়ী হবার পরে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পূর্ব অবধি তাজউদ্দীন আহমদ আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি হিসেবে দুটি সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। ইয়াহিয়ার সঙ্গে সংলাপে বঙ্গবন্ধুর সহযাত্রী হিসেবে কাজ করা ও ১ মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে প্রতিদিন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি হিসেবে জাতির জন্যে নির্দেশনা দেয়া। ইয়াহিয়ার সঙ্গে ওই সংলাপে তাজউদ্দীন আহমদের ভূমিকা ছিল জনগণের দৃষ্টির বাইরে। তবে ১ মার্চ থেকে জাতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর প্রতিনিধি হিসেবে তিনি যে নির্দেশনাগুলো প্রতিদিন জারি করতেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে যেভাবে কথা বলতেন সেখানেই প্রমাণিত হয়ে যায় তাজউদ্দীন আহমদ কত বড় নেতা। তিনি সেদিন বঙ্গবন্ধুর ওই নির্দেশনাগুলো প্রচারের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন গোটা বিশ্বকে যে বাংলাদেশ চলছে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। ব্যক্তিত্ব দিয়ে, বিদেশী সাংবাদিকদের প্রশ্নের যথাজবাব দিয়ে তিনি সেটা প্রমাণ করেছিলেন। আর সত্যি অর্থে ইতিহাসের কাজের আড়ালে লুকিয়ে থাকা একজন নেতাকে বাংলার মানুষ সেই সময়ে প্রথম দেখতে পান। অথচ এই তাজউদ্দীন আহমদ একদিনে হননি। ১৯৪৭-এ পাকিস্তান সৃষ্টির আগে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ও ১৯৪৭-এর ১৪ অগাস্ট পাকিস্তান সৃষ্টি হবার পরে ১৫০ মোগলটুলি কেন্দ্রিক যে আধুনিক চিন্তা চেতনার ধারক একদল বাঙালি মুসলিম তরুণ নেতৃত্ব সৃষ্টি হয় – তাজউদ্দীন আহমেদ তাদের একজন। ১৯৪৭-এ শুরু হওয়া ভাষা বির্তক, ১৯৪৮-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ইতিহাসের প্রতিটি ধাপ নিজ কাঁধে যারা বয়ে নিয়ে ১৯৭১-এ যারা পৌঁছেছিলেন – তাজউদ্দীন আহমদ তাদেরই একজন। তাই তিনি শুধু সামগ্রিক বাঙালি জাতির স্বাধীনতার একজন নেতা নন, বাঙালি মুসলিমের আত্মজাগরণেরও একজন নেতা। একটি অবিশ্বাস্য রকমের চিন্তাশীল মনোজগত নিয়ে তিনি ১৯৪৭ থেকে ধীরে ধীরে এই পথে এগিয়েছিলেন। তার ডায়েরিতে পাওয়া যায়, যেদিন তিনি মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু সংবাদ পান ( ১৯৪৮ সালে) সেদিন তিনি সারা রাত ঘুমাতে পারেননি। সারা রাত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ছাদে পায়চারি করেছিলেন। তাজউদ্দীন আহমদের নিজের পিতার মৃত্যুর খবর পেলে তিনি কী করেন সেটাও আমরা তার ডায়েরিতে পাই। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তাজউদ্দীন আহমদ পিতার মৃত্যুতে কষ্ট পেয়েছেন কিন্তু অস্থির বা বিচলিত হননি। বরং পরিবারের দায়িত্ব পালনে এখন যে তাকে আরো অনেক বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে সেটাই ভাবছেন। কিন্তু গান্ধীর মৃত্যুতে তার এই সারা রাত পায়চারি করার মূলে কী ছিল? ভারত উপমহাদেশের ইতিহাস আরো যত ভবিষ্যতের দিকে এগুবে, এখানকার ঐতিহাসিকরা যত নানান পরিবেষ্টন থেকে বের হয়ে এসে ইতিহাসকে দেখতে পারবেন, রাজনীতিকরা যখন ইতিহাসের ব্যাখ্যা দেয়া বন্ধ করবেন – তখনই প্রকৃত অর্থে বোঝা যাবে তাজউদ্দীন আহমদের ওই পায়চারির কারণ। কারণ ইতিহাসের এই ৭৩ বছর পরে এসে আজ এটা অন্তত সকলেই উপলব্ধি করতে পারি, এই উপমহাদেশের বিভক্তি যতটা না জনগণ চেয়েছিল তার থেকে বেশি জোর করে চাপিয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশ। (কেন দিয়েছিল সে বিষয়টি এ লেখায় আনলে লেখা মূল চরিত্র হারিয়ে ফেলবে) অন্যদিকে বৃটিশের এই কাজে সহযোগিতা করেছিল পণ্ডিত জওয়াহরলাল নেহরু ও কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মতো নেতাদের তড়িঘড়ি রাষ্ট্র প্রধান বা সরকার প্রধান হবার বাসনা। এর বিপরীতে ছিলেন একমাত্র মহাত্মা গান্ধী। তাই উপমহাদেশের বিভক্তির পরেও গান্ধী ছিলেন উপমহাদেশের নেতা ও শেষ আশার বাতি। অর্থাৎ অনেকেই আশা করেছিলেন, তিনি ইতিহাসের উল্টোরথের রশি একাই টেনে নিয়ে হয়তো আবার সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত এক উপমহাদেশ গড়তে সমর্থ হবেন। কিন্তু ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীর বুলেটের আঘাতে সেই আশা শেষ হয়ে যায়। আর ওই বুলেট সেদিন ভারতে অনেক প্রগতিশীল বড় বড় মানুষের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকা তাজউদ্দীন আহমদকেও আঘাত করেছিল। আর এ কারণেই তাকে সারারাত পায়চারি করতে হয় হলের ছাদে। তরুণ বেলা থেকে এই মানসিকতাকে ধারণ করেই ১৯৭১-এ পৌঁছেছিলেন বাঙালির শুধু নয় মানুষের এই নেতা।

এ কারণে বাঙালির সার্বিক মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম নেতা হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৭১-এর অসহযোগের সময় ও ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে দিতে পেরেছিলেন একটি গ্রহনযোগ্য নেতৃত্ব। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার গঠনের দিনে তিনি জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দেন, ওই ভাষণটি তার নিজের লেখা। যতদূর জানি ভাষণটি রেকর্ড করা হয়েছিল ৬ এপ্রিল। তাজউদ্দীন আহমদের ওই ভাষণে আমরা দেখতে পাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ যে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন ওই ঘোষণাকে ভিত্তি করেই গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের সকল এলাকার ওপর রয়েছে এই সরকারের নিয়ন্ত্রণ। সর্বোপরি, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে যেসব প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে উঠেছিল সেগুলোও যে ২৬ মার্চের ওই স্বাধীনতা ঘোষণার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে সেটাকেও তিনি ব্যাখ্যা করেন। যার ফলে সেদিন কোনো ষড়যন্ত্রকারী বা বিদেশী কোনো মিডিয়া কোনো একটি বিচ্ছিন্ন প্রতিরোধ যুদ্ধকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন হিসেবে দেখাতে পারেনি। সর্বোপরি এই ভাষণের মূল সুরটি ছিল অনেক গভীরে। অর্থাৎ দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ৭০-এর নির্বাচনে জিতেছে, মুক্তিযুদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হচ্ছে তবে এটা জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ – এখানে যোগ দিয়েছে গোটা দেশের মানুষ। আর মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস তাজউদ্দীন আহমদ মুক্তিযুদ্ধের চরিত্র জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ হিসেবেই ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন। যে কারণে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি প্রগতিশীল অন্য দলের ছেলেমেয়েরাও সেদিন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পেরেছিল। এবং মুক্তিযুদ্ধকে কোনোক্রমেই কেউ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের পথে নিয়ে যেতে পারেনি। বরং যুদ্ধ যতই এগিয়েছিল ততই বাঙালি এক হয়েছিল। আর বাঙালির এই ঐক্য সেদিন মুক্তিযুদ্ধে সহয়তাকারী মূল দেশ ভারতসহ সকল সহয়তাকারী দেশের জনগণকে আকৃষ্ট করতে পেরেছিল। যা ছিল মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের একটি বড় স্তম্ভ।

আজ ২৩ জুলাই তাজউদ্দীন আহমদের জন্মদিন। অনেকে তাকে বলেন বিস্মৃত এক নেতা। আমি সেটা কখনোই মনে করি না। কারণ, তিনি ইতিহাস স্রষ্টা। আর ইতিহাসের পথ অনেক দীর্ঘ। ইতিহাসের দীর্ঘ পথের শেষেই শেষ কথা লেখা হয় পাথরের অক্ষরে।