বেদের মেয়ে চাঁদনীদের কথা

বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির উপরকারভোগীর একটা পরিসংখ্যানও আছে সমাজসেবার ওয়েবসাইটে। দেখতে গিয়ে মনে হলো চাঁদনীদের কি এই হিসেবটা জানা আছে? জানা থাকলেও শুভঙ্করের ফাঁকিটা কি বুঝতে পারবে?

মুস্তাফিজুর রহমান রূপমমুস্তাফিজুর রহমান রূপম
Published : 28 May 2023, 02:07 PM
Updated : 28 May 2023, 02:07 PM

‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না  আমায় কথা দিয়েছে/ আসি আসি বলে জ্যোৎস্না ফাঁকি দিয়েছে।’ গত শতাব্দীর আশির দশকের শেষের দিকে মুক্তি পাওয়া একটি অত্যন্ত ব্যবসাসফল সিনেমার নাম ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ আর গানটি ওই সিনেমারই। দুঃখের বিষয় কি না জানি না সিনেমাটি আমার দেখা হয়নি। ওই সময় ইন্টারমিডিয়েট পাশ আমি বেশ ‘বিদগ্ধ পাঠক ও দর্শক’ ছিলাম। মনে ছিল বিপ্লবী হবার স্বপ্ন, চলমান ছিল স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন।  

ওই সময়ে সিনেমাটি এতটাই ব্যবসাসফল, সেই অর্থে জনপ্রিয় হয়েছিল যে, না দেখেও নায়ক-নায়িকাসহ কাহিনির অনেক কিছু মানুষের আলোচনা (সমালোচনাও কিছু ছিল নিশ্চয়ই) কানে এসে এসে জানা হয়ে গেছে। নায়িকা ছিলেন অঞ্জু ঘোষ আর নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। পরে ওয়াসিমের সঙ্গে অভিনীত অঞ্জু ঘোষের দু-তিনটে সিনেমা অবশ্য দেখেছি।

‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’র ব্যবসায়িক সাফল্যের কারণে তখন একই ধরনের সিনেমা তৈরির হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি উপন্যাসেও ওই সিনেমা সম্পর্কিত কিছু  কথা আছে, খুব সম্ভবত উপন্যাসটি নীললোহিত ছদ্মনামে সুনীল যে উপন্যাসগুলো লিখেছেন, তার একটি।

বেদের মেয়ে চাঁদনী  চলচ্চিত্রের চরিত্র নয়, বাস্তব মানবী। চাঁদনীদের দলটির সঙ্গে প্রথম দেখা হয় গত বছর ডিসেম্বরের এক শীতের দুপুরে। ওরা তখন ঝুপড়ি সাজিয়ে আস্তানা গেড়েছে দিনাজপুর সদরের শেখপুরা ইউনিয়নের রাজারামপুর এলাকার গর্ভেশ্বরী নদীর সেতুর দক্ষিণে। গর্ভেশ্বরী এমনিতেই একটা মরা নদী, শীতে পুরোপুরি মরে যায় যায় অবস্থা হয়। মরা নদীর ঢালে বেদেদের ঘরগুলো দেখে কৌতূহলী হই। এই পথে আমার নিত্য আসা-যাওয়া।

কাছে গিয়ে জানতে পারি ১১টি ঝুপড়িতে ১১টি বেদে পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশু মিলিয়ে মোট ৫২ জন মানুষ রয়েছে। তাদের কথাবার্তা ডাকাডাকিতে চাঁদনী নামটি কানে আসে। চাঁদনী জ্যোৎস্নার সমার্থক শব্দ। নামটি মনে বাজে। মনে পড়ে যায় ‘বেদের মেয়ের জ্যোৎস্না’র বিখ্যাত হওয়ার গল্প।

চাঁদনী তখন রান্না করছে। বাস্তবে চাঁদনী মোটেও নায়িকা অঞ্জু ঘোষের মতো নয়। টানাটানা চোখের দ্যুতি ছড়ানো চাহনি আছে। শীতের নদীর মতোই শীর্ণ তনু অভাবে ক্লেশে তরুণীর সব চঞ্চলতা হারিয়ে, শুধু চাহনিতে ঠাঁই নিয়েছে। বয়স কতই বা হবে? ২০-এর একটু বেশি হবে। সে বিবাহিত এবং ইতোমধ্যে দুই সন্তানের জননী। সন্তান দুটির বয়স বড়টির চার এবং ছোটটির আড়াই বছর। ‘চাঁদনী পশর চাঁদনী পশর আহারে আলো’ মাটিতে চাঁদনী ছড়িয়ে পড়ে। ধরণীকে  মায়াবী মনে হয় বাস্তবে বেদের মেয়ে চাঁদনী সম্পর্কে এর অধিক কৌতূহল প্রকাশ হয় তো শোভন নয়। 

বাঁশের বাতা, কয়েকটি খুঁটি আর পলিথিন দিয়ে আশ্চর্য নিপুণতায় তৈরি সেই ঝুপড়িগুলোর দিকেই মন দিলাম। কোনো কোনো ঝুপড়ির সামনের দিকেও পলিথিন বা চট দিয়ে ঢাকা, অনেকটা বদ্ধ তাঁবুর মতো। সামনেটা খোলা আছে এমন ঝুপড়ির ভেতরে তাকালে দেখা যায় ভেতরে যা কিছু থাকা সম্ভব সবকিছুই অত্যন্ত পরিপাটি করে গোছানো রয়েছে। দুয়েকটি ঝুপড়ির সামনে ছোট সোলার বাতির ব্যবস্থাও চোখে পড়লো।

যাযাবর,  আরব বেদুইনরা ঘোড়া এবং উটের পিঠে চেপে মরুভূমি থেকে মরুভূমি চড়ে বেড়াতো। আস্তানা গাড়তো তাঁবু টাঙিয়ে। আমেরিকার জিপসিরা ঘোড়া টানা ক্যারাভানে মহাদেশর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত সফর করতো থেমে থেমে। আধুনিক যুগে তারা যন্ত্রচালিত ক্যারাভান ব্যবহার করে। ক্যারাভানের মধ্যেই তাদের থাকার ব্যবস্থা থাকে। আমাদের বেদেরাও যাযাবর। থিতু হয়ে এক জায়গায় বসবাস তাদের ধাতে নেই। নদীমাতৃক এই বাংলায় তাদের বাহন এবং বাস ছিল নৌকায়। ডিঙির থেকে একটু বড় নৌকার বহর নিয়ে দলবদ্ধভাবে তারা চলে ফিরত এক জনপদ থেকে অন্য জনপদে। সাপ খেলা দেখানো, দাঁতের পোকা বের করে আনার ভেলকি দেখানো, কটক মাছের কাঁটা, গাছ-গাছড়া থেকে নিজেদের তৈরি ব্যথা উপশমের তেল, শিশুদের নজর না লাগার মালা আর তাবিজ কবজ বিক্রিই তাদের জীবিকার উপায়। মূলত দলের নারী সদস্যরা এই কাজগুলো করে থাকে। বর্তমান কালে দেখা যায় বেদের মেয়েরা তাদের বিশেষ সাজে সজ্জিত হয়ে গলায় সাপ পেঁচিয়ে বা হাতে নিয়ে মানুষের কাছে টাকা সংগ্রহ করে। বাস টার্মিনাল বা কোর্ট-কাচারিতেও তাদের বেশি দেখা যায়। অনেক সময় তারা সাপ অন্যের দিকে বাড়িয়ে ধরে এক রকম ভয় দেখিয়েও টাকা দিতে বাধ্য করে।  প্রতি দলেই একজন দলনেতা থাকেন, তাকে সর্দার বলা হয়। এই দলেও একজন সর্দার আছেন তার নাম ঠান্ডু মিঞা বয়স চল্লিশের কোঠায়। স্ত্রী এবং দুই সন্তানসহ এই দলটি নিয়ে তিনি ঘুরে ফেরেন আস্তানা গাড়েন শহর থেকে শহরে, গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। চলতি পথে যা পান যেমন খালি ট্রাক নসিমন ইত্যাদিতেই তাদের স্থানান্তরিত হওয়ায় কাজটি চালিয়ে নিতে হয়।

চাঁদনীদের দলটি ধর্মবিশ্বাসে মুসলিম। এই জন্যই হয়তো ওদের দেখে আরব বেদুঈনদের কথা মনে এসেছে। বেদেদের নিয়ে রঞ্জনা বিশ্বাসের একটি লেখায় পড়েছিলাম,  ‘নৃবিজ্ঞানীরা একেবারেই একমত যে, বাংলাদেশের বেদেদের মধ্যে আরবদের সেমিটিক কোনো লক্ষণ নেই।’ ড. অতুল সুর মনে করেন,  ‘বাংলায় আদি অস্ত্রাল ও ভূমধ্যসাগরের সংমিশ্রণেই এদেশের নৃতাত্ত্বিক বুনিয়াদ গঠিত হয়েছে। অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর মধ্যে বেদে সম্প্রদায়টিও সংমিশ্রনেরই অন্তর্ভুক্ত।’

দিনাজপুরে আসবার আগে দলটি আরও উত্তরের জেলা পঞ্চগড় এবং ঠাকুরগাঁওয়ে কাটিয়ে এসেছে। অন্য সব বেদের দলের মতো এই দলটিতেও আয়-রোজগারের কাজ তো বটেই, রান্নাবান্নার কাজটিও মেয়েদের করতে হয়। বেদেদের এই দলটির না আছে নৌকা, না আছে সাপ। দুটি মাত্র সাপ। ছিল দিনাজপুরের শীতে উপযুক্ত যত্নের অভাবে মারা গেছে দুটিই। উত্তরের অধিকাংশ নদী সারা বছর নৌকা চলবার মতো নাব্য থাকে না। তাছাড়া পলিথিনের তৈরি ঝুপড়ি থেকে নৌকার দামও অনেক বেশি।

এই মানুষগুলোর মূল নিবাস মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার গোয়ানমান্দার বেদেপল্লীতে। সেখানে কারও সামান্য ভিটে আছে কিন্তু ঘর নেই, কারও ভিটে ঘর কিছুই নেই। স্থায়ী কোনো থাকার জায়গা পেলে তারা থিতু হতে চায়, বসতি গড়তে চায়। ক্রমাগত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরতে ঘুরতে তারা যেন ‘ক্লান্ত প্রাণ’। তাদের শিশুদের স্কুলে যাওয়া হয় না। নিজেদের বংশগত বিদ্যার বাইরে আর কোনো শিক্ষা গ্রহণ সম্ভব হয়ে ওঠে না।

ঢাকার অদূরে সাভারে একটি বেদে পল্লীতে ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের শিক্ষার্থীরা একটি গবেষণা করে দেখিয়েছে, বেদে পল্লীর নারীরা এখন নকশী কাঁথা সেলাই করে আর পুরুষরা জুতার কারখানাসহ অন্যান্য কাজে যুক্ত হচ্ছে। পেশা পরিবর্তনের ফলে তাদের আয় বাড়ার পাশাপাশি জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। তাদের সন্তানরা শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে, একটি অংশ উচ্চশিক্ষিতও হচ্ছে।

চাঁদনীদের দলনেতা ঠান্ডু মিঞা আক্ষেপ করছিলেন শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়হীনতা নিয়ে। আমার সংগ্রহে শীতার্তদের উপহার দেওয়ার জন্য কিছু কম্বল ছিল। দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তখন ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমেছিল। মনে ভাবি  নদীর ধারে খোলা  জায়গায় ঝুপড়িতে রাত কাটানো বেদেদেরই কম্বলগুলো সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। পরদিন শেষ বিকেলে কম্বল নিয়ে আমার স্ত্রীসহ পৌঁছাই তাদের কাছে।

নদীর ধারে পৌঁছেই বেদেদের আস্তানার পরিবেশ বেশ থমথমে মনে হলো। জানা গেল এই দলের আবাবিল নামের বছর চব্বিশের এক তরুণ গাছ থেকে পড়ে মারা গেছে। কাছেই সেতুর উত্তরে সে বড় মেহগনি গাছে উঠেছিল  জ্বালানির জন্য শুকনো ডাল ভাঙতে। কথা ছিল অর্ধেক সে নেবে আর অর্ধেক গাছের মালিক মহিলাকে দেবে। সে গাছের উঁচু ডাল থেকে পড়ে গিয়ে সেখানেই মারা যায়।

স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে আবাবিলের। বাচ্চাদের বড়টির বয়স চার বছর। ছোটটি কেবল ছয় মাসের। স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং আরও কেউ মিলে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে দিয়েছে। তাতে করেই আবাবিলের স্ত্রী তার দুই শিশু সন্তান আর স্বামীর মরদেহ নিয়ে চলে গেছে জন্মভিটা মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার  বেদে পল্লীর দিকে, সেখানে সমাহিত করবার জন্য। আহারে জীবন…।

এই বেদেরা মুসলিম যদিও আমাদের মোল্লা শ্রেণী তাদের কতটা নিজেদের ধর্মের বলে স্বীকার করবেন তাতে সন্দেহ আছে। সর্দার ঠান্ডু মিঞার কাছে জানা যায় তারা মৃত সঙ্গীর আত্মার শান্তির জন্য দোয়ার আয়োজন করতে চান। পরদিন দলের নারীরা আশেপাশের গ্রাম থেকে চাল, নগদ অর্থ সংগ্রহ করেন। আমার কাছেও সহযোগিতা চাওয়া হয়। আমাকে দাওয়াতও করেন তারা। শুক্রবার জুম্মায় মিলাদে দোয়ার পর পাঁচ কেজি জিলেপি শুকরানা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান ঠান্ডু মিঞা। তাদের আস্তানার পাশে কাপড় ঘিরে দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

দাওয়াতি মাদ্রাসার ১৫ শিশু আর দুই তিন জন মোল্লা। বেদেদের হাতের রান্না এই ইমানদারগণ  খাবেন না বলে স্থানীয় বাবুর্চি ডেকে রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত আলু দিয়ে গরুর মাংস আর ভাত।

বেদের দলের কাউকে খেতে দেখিনি সেদিন। দাওয়াতিদের খাওয়ানোর পরে যতটুকু বাঁচবে তারা ভাগ করে খাবেন। দুনিয়াতে নিজেদের অন্নের সংস্থান নেই, নেই বাসস্থান তবু মৃত সঙ্গীর আখেরাতের শান্তির জন্য প্রচেষ্টার কমতি নেই একে কি বলা যায় ধর্মানুভূতি, ধর্মভীতি না মানবতা... জানা নেই।

ডিসেম্বরের ২২ থেকে জানুয়ারির ৩ তারিখ পর্যন্ত দিন দশেক দিনাজপুরে ছিলাম না। ফিরে এসে ওই পথে যাওয়ার সময় দেখি বেদেদের ঝুপড়িগুলো সেখানে আর নেই। তারা অন্যত্র চলে গেছে। দিন কয়েক আগে সর্দার ঠান্ডু মিঞার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানতে পারি দিনাজপুর থেকে তারা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে রাজবাড়ির পাংশা হয়ে বর্তমানে পাবনা জেলার কাশিনাথপুর রেল স্টেশনের কাছে অবস্থান করছেন। দলটি কিছুটা বড় হয়েছে , এখন ১৭টি পরিবারের ৭২ জন মানুষ রয়েছে বেদেদের দলটিতে। শীত গেছে। তবে ঝড়বৃষ্টিতে নাকাল হতে হচ্ছে প্রায়ই।

আমার মনে হলো, খুঁজে দেখি তো প্রান্তিক এই মানুষগুলোর জন্য সরকারের সমাজসেবা বা অন্য কোনো অধিদপ্তরের বেদেদের নিয়ে কোনো কর্মসূচি আছে কিনা? ‘বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি’র কথা জানলাম সমাজসেবা অধিদপ্তরের। ওই কর্মসূচিতে বলা হয়েছে, বেদে জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ। সমাজসেবার জরিপমতে বাংলাদেশে বেদে জনগোষ্ঠী প্রায় ৭৫ হাজার। সমাজসেবার ওই কর্মসূচি জানাচ্ছে, আটটি গোত্রে বিভক্ত এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে মালবেদে, সাপুড়িয়া, বাজিকর, সান্দার, টোলা, মিরশিকারী, বারিয়াল সান্দা ও গাইন বেদে।

বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন তথা এ জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবছর হতে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি দুটি একত্রে ছিল। ২০১৯-২০ অর্থবছরে  এ কর্মসূচি পৃথক হয়ে ‘বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি’ নামে স্বতন্ত্র কর্মসূচি  হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।

বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির উপরকারভোগীর একটা পরিসংখ্যানও আছে সমাজসেবার ওয়েবসাইটে। দেখতে গিয়ে মনে হলো চাঁদনীদের কি এই হিসেবটা জানা আছে? জানা থাকলেও শুভঙ্করের ফাঁকিটা কি বুঝতে পারবে?