সবাই সন্ধ্যার প্রতি অবিচার করেছেন

শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকশামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক
Published : 16 Feb 2022, 02:02 PM
Updated : 16 Feb 2022, 02:02 PM

লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণের মাত্র দশদিনের মাথায় বাংলা সংগীত জগতের নীল ধ্রুবতারা, কিংবদন্তীর কণ্ঠশিল্পী গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের জীবনের ইতি ঘটার খবরের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কর্মরত অবস্থায় এ বজ্রাঘাত তুল্য খবরটি পেয়ে আর কাজে এগোতে পারিনি, মনের কোণে ভিড় করলো বহু স্মৃতি। এই প্রবাদ প্রতীম মানুষটির সাথে কখনো দেখা হওয়ার সুযোগ আসেনি। এমনকি তাকে বাস্তবেও কখনো দেখতে পারিনি, তারপরও তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার খবরে মনে হলো একজন নিকট আত্মীয়ই চলে গেলেন।

কম-বেশি সাত দশক সময় তার সম্মোহনী শক্তিসম গান ভৌগোলিক সীমা নির্বিশেষে সকল বাঙালিকে যে সম্মোহিত করেছে, যা ভবিষ্যতে আর কেউ পারবেন কিনা, সে প্রশ্ন থেকেই যাবে। পাকিস্তানি আমলে ভারতীয় শিল্পীদের প্রকাশ্যে গান শোনা নিষিদ্ধ হলেও কোন শক্তি সন্ধ্যা, হেমন্তসহ সোনালি যুগের শ্রেষ্ঠ সংগীত শিল্পীদের গান শোনা থেকে আমাদের বঞ্চিত করতে পারেনি, যেমন বঞ্চিত করতে পারেনি সুচিত্রা-উত্তম, সৌমিত্র, বিশ্বজিত, শর্মিলা, অপর্ণা, ছবি বিশ্বাসের ছবি দেখা থেকে। ভাষা ও সংস্কৃতির বন্ধন কখনো ছিন্ন করা যায় না, এপার বাংলার বাঙালিরা তা অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণ করেছে। 

***

কিছুদিন আগে শুনেছিলাম  শুধু বাংলা নয় সমগ্র উপমহাদেশের সংগীত জগতের এক জীবন্ত কিংবদন্তী গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় মারাত্মক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়েছেন। এর কয়দিন আগেই দেবীতুল্য এই কণ্ঠশিল্পী, যাকে হৈমন্তী শুক্লা গানের ঈশ্বর বলে উল্লেখ করেছেন, উভয় বাংলার সংবাদে শিরোনাম হয়েছিলেন ভারত সরকারের প্রস্তাবিত পদ্মশ্রী পদক প্রত্যাখ্যান করে।

ছোটবেলা থেকেই সন্ধ্যা, হেমন্ত, শ্যামল, মানবেন্দ্র, সতীনাথ, গীতা দত্ত, প্রতিমা,  মান্না দে, মোহাম্মদ রফি, শচিন কর্ত্তা, আলপনা, কিশোর কুমার প্রমুখ শিল্পীদের গান শুনে শুনে বেড়ে উঠেছি বিধায় তাদের প্রতি নষ্টালজিয়া এবং গভীর ভাবাবেগ থাকাটাই স্বাভাবিক। ৬০ এবং ৭০ দশকে সন্ধ্যার গাওয়া 'মধুমালতি ডাকে আয়', 'ঘুম ঘুম চাঁদ', 'কে তুমি আমারে ডাকো', 'হয়তো কিছুই নাহি পাবো', 'আমাদের ছুটি ছুটি', 'গানে মোর কেন ইন্দ্র ধনু', 'মধুর মধুর বংশী বাজে', 'আয় বৃষ্টি ঝেপে', 'উজ্জ্বল একঝাঁক পায়রা', 'আমি যে জলসা ঘরে', 'এই পথ যদি না শেষ হয়  (হেমন্তের সাথে)', 'এ শুধু গানের দিন', 'চন্দনো পালঙ্কে', 'আমি তার ছলনায়', 'তুমি না হয় রহিতে কাছে', 'আর ডেকো না এই মধু নামে', 'পিয়া পিয়া কে ডাকে', 'মায়াবতী মেঘে এলো তন্দ্রা', 'আমি স্বপ্নে তোমায় দেখেছি', 'ফুলের কানে ভ্রমর আনে স্বপ্ন ভরা সম্ভাষণ', 'জানি না ফুরাবে কবে এই পথ চাওয়া', 'কাজ নেই আর আমার ভালবেসে', 'আমি প্রিয়া তুমি প্রিয়', 'আমি তোমারে ভালবেসেছি', 'চিনেছি তোমারে অচেনারো মাঝে', 'আহা মিষ্টি কি মিষ্টি এ সকাল', 'ও বাকবাকুম বাকুম পায়রা' প্রভৃতি গানগুলো ছিল সবার মুখে মুখে। অতপর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরার পর তিনি জাতির পিতার সম্মানে 'বঙ্গবন্ধু তুমি ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলায়' গেয়ে তিনি মন জয় করেছিলেন সাড়ে সাত কোটি বাঙালির। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তহবিল গঠনে ব্যস্ত ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে তিনি ঢাকায় এসে সোহওয়ার্দি উদ্যানে একুশে ফেব্রুয়ারি দিন গান গেয়ে লাখ জনতার হৃদয় কেড়ে নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননার তালিকায় তার নাম থাকলেও, দুর্ভাগ্যবশত সেই সম্মাননা থেকে তিনি বঞ্চিত হয়েছিলেন। তিনি বেশ কয়টি হিন্দি ছবিতেও গান গেয়েছিলেন, কিন্তু বাংলা গানের টানে তিনি বেশিদিন বোম্বেতে থাকেননি। 'তারানা' ছবিতে তিনি লতা মঙ্গেসকরের সাথে দ্বৈত কণ্ঠে গেয়েছিলেন 'বোল পাপিহে বোল' গানটি। তিনি নজরুল এবং রবীন্দ্র সংগীতও গেয়েছিলেন। তাছাড়া শাস্ত্রীয় সংগীতে তার জুড়ি ছিল খুবই কম। শুধু সুকণ্ঠ গায়িকাই নয়, অসাম্প্রদায়িক চেতনারও তিনি একজন বিরল যোদ্ধা। শৈশবেই তিনি বিখ্যাত শাস্ত্রীয় সঙ্গিতজ্ঞ ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে তাকে বাবা এবং তার স্ত্রীকে মা বলে সব সময়ই সম্বোধন করতেন। এক সাক্ষাৎকারে সন্ধ্যাজি বলেছেন তিনি কখনো ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খাঁর বাড়ি থেকে দুপুরের খাবার না খেয়ে আসতে পারতেন না, কারণ ওস্তাদজি এবং তার স্ত্রী সন্ধ্যাকে নিজ কন্যার মতোই স্নেহ করতেন। আরো বলেছেন, বাবা (ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খাঁ) আমাদের বিভিন্ন পীরের মাজারে নিয়ে যেতেন। সেই যুগে ব্রাহ্মণ ঘরের মেয়ে এক মুসলমান বাড়িতে আহার করতে হলে, পীরের মাজারে যেতে হলে তার এবং তার পরিবারের সদস্যরা কতটুকু অসাম্প্রদায়িক ছিলেন তা সহজেই আঁচ করা যায়। সন্ধ্যা বলেছেন, 'বাবা ছিলেন অনেক ধার্মিক। তিনি সর্বদাই আল্লাহকে স্মরণ করতেন এবং তার নামেই শুরু করতেন সব কাজ। তিনি আমাদের অনেক পীড়ের মাজারে নিয়ে যেতেন।' বড়ে গোলাম আলি খাঁর প্রয়াণের পর সন্ধ্যা তার পুত্র ওস্তাদ মনোব্বর আলি খাঁর কাছে তালিম নিতেন। ওস্তাদ মনোব্বর আলি খাঁ বলতেন সন্ধ্যার গান ব্রহ্মের হৃদয় ছোঁয়ার মতো।

পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করাটা তার জন্য খুবই যৌক্তিক ছিল বলেই উভয় বাংলার বিচক্ষণ ব্যক্তিদের মত। প্রথমত এই প্রস্তাব এলো তার জীবন সায়াহ্নে, অর্থাৎ ৯০ বছর বয়সে, আর তাও রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের নিচের দিকে অর্থাৎ চতুর্থ মানের। অথচ লতা মঙ্গেশকারকে বহু আগেই প্রদান করা হয়েছিল, সর্বোচ্চ ভারতরত্ন পদক। লতাজি নিশ্চয়ই এই সম্মাননার দাবিদার ছিলেন, কিন্তু সন্ধ্যা কি তার চেয়ে কম ছিলেন? এটা মানতে হবে যে, লতার গানের সংখ্যা সন্ধ্যার তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু তার কারণ লতা মূলত হিন্দি গানের গায়িকা। অবশ্য তিনি বিশেষ করে সলিল চৌধুরী এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুরে বেশ কিছু জনপ্রিয় বাংলা গানও গেয়েছেন। সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের সুরে 'আকাশ প্রদীপ জ্বলে' গান দিয়েই লতার বাংলা গানের জগতে প্রবেশ। কিন্তু তারপরেও বলতে হয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে লতা মঙ্গেশকরের থেকে নিচে মূল্যায়নর করা ঠিক হয়নি। লতা যেমন হিন্দি গানের জগতে একচ্ছত্র সম্রাজ্ঞী ছিলেন, বাংলা সংগীত জগতেও তেমনি সন্ধ্যা ছিলেন সকলের ঊর্ধ্বে। তাছাড়া শাস্ত্রীয় সংগীতে নিশ্চয়ই লতা সন্ধ্যার সমকক্ষ ছিলেন না। লতাজি তালিম নিয়েছিলেন খ্যাতনামা উস্তাদ আমানত খাঁ এবং নুরজাহানের কাছে আর সন্ধ্যার গুরু ছিলেন ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খাঁ। নুরজাহান নিশ্চয়ই বড়ে গোলাম আলি খাঁর পর্যায়ের ছিলেন না। লতার শ্রেষ্ঠত্ব মূলত তার মিষ্টি গলার জন্য যে কথা হেমন্তের এবং কিশোর কুমারের বেলায়ও প্রযোজ্য। আর সন্ধ্যার মধ্যে ছিল মিষ্টি কণ্ঠ আর শাস্ত্রীয় সংগীতে পাণ্ডিত্য এই উভয়ের সংমিশ্রণ। একই কারণে উপমহাদেশের সংগীত জগতের আর এক কিংবদন্তি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ও দুইবার পদ্মশ্রী সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন যা তাকে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল তার বার্ধক্যে। হিন্দি সংগীতে হেমন্ত ছিলেন অনন্য, শুধু গায়ক হিসেবেই নয়, সংগীত পরিচালক হিসেবেও। হিন্দি গানের সংগীত পরিচালক হিসেবে একাধিকবার শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত এই কিংবদরিন্তকেও পদ্ম সম্মান দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তার জীবন সায়াহ্নে। পদ্ম সম্মান আরো অনেক বাঙালিই প্রত্যাখ্যান করেছেন এই দাবি করে যে তাদেরকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বহু পরে এবং সর্বনিম্নটি, অর্থাৎ পদ্মশ্রী। এটি প্রথম যে বাঙ্গালি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি বাংলা নাট্য জগতের প্রাতঃস্মরণীয় পুরুষ শিশির ভাদুরী। সৌমিত্র চট্টোপধ্যায়ও প্রথম প্রত্যাখ্যান করে পরে অবশ্য পদ্ম সম্মান গ্রহণ করেছিলেন। এ বছরই পদ্মভূষণ প্রাপ্ত আর এক উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পী ওস্তাদ রশিদ খান বলেছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে ভারত রত্ন সম্মাননা দেওয়া উচিত ছিল, এবং বহু আগেই সেটি দেয়া উচিত ছিল। বলা হয়ে থাকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিগণ বাংলা সংগীত এবং চলচ্চিত্র সম্পর্কে তেমন অবগত নন বলেই তারা সন্ধ্যা, হেমন্ত, সৌমিত্র বা অপর্ণা সেনকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে পারেননি। কিন্তু অতীতে তো দিল্লি সরকারে এমন ব্যক্তিরা ছিলেন বাংলা সংগীত এবং চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের ধারণার অভাব থাকার কথা নয়। খোদ শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধি বাঙালি না হলেও শান্তি নিকেতনের ছাত্রী হিসেবে, কবি গুরু যাকে প্রিয়দর্শিনী বলে আখ্যায়িত করেছিলেন, তার তো নিশ্চয়ই সন্ধ্যা-হেমন্তকে না জানার কথা ছিল না। তাছাড়া ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বাঙালি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও তো বহুকাল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে ছিলেন। এমনকি মমতা বন্দোপধ্যায়ও এক সময় কেন্দ্রের মন্ত্রী ছিলেন। তাদের সময়ে কেন সন্ধ্যা, হেমন্ত যথাপযুক্তভাবে মূল্যায়িত হলেন না, সে প্রশ্নের জবাব কে দেবে? ৬০ এবং ৭০ এর দশকে বাংলা চলচ্চিত্র জগতকে সুবর্ণ মর্যাদায় অভিষিক্ত করার জন্য যে দুজনের নাম সর্বাগ্রে আসে, সেই উত্তম কুমার-সূচিত্রা সেন, হেমন্ত-সন্ধ্যার অনুপস্থিতিতে শ্রেষ্ঠত্ব পেতে পারতেন কিনা, এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সুচিত্রার ঠোঁটে সন্ধ্যার গান আর উত্তমের ঠোঁটে হেমন্তের গান না হলে তাদের সাফল্য পূর্ণতা পেতো না বলেই সকলের যৌক্তিক ধারণা। ২০১৬ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর পঞ্চগড় জেলার কৃতি সন্তান, আইটি বিশেষজ্ঞ নাইমুজ্জামান মুক্তার নিমন্ত্রণে আমরা চারজন, অর্থাৎ জনাব মোস্তফা জব্বার, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, মুন্নি সাহা এবং আমি পঞ্চগড় গিয়েছিলাম। স্বাভাবিকভাবেই বন্যাদি মুক্তার অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সংগীত গেয়েছিলেন। কিন্তু বাকি সময়টি তিনি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের, 'ঘুম ঘুম চাঁদ ঝিকিমিকি তারা, এ মাধবী রাত' গানটি গুনগুন করে গেয়ে যাচ্ছিলেন। প্রশ্ন করলে বললেন, কদিন আগে তিনি মমতা বন্দোপধ্যায়ের নিমন্ত্রণে একটি সম্মাননা গ্রহণের জন্য কলকাতা গিয়েছিলেন এবং সেই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দোপধ্যায়ের অনুরোধে সন্ধ্যাজি এই গানটি গেয়েছিলেন, যার কারণে গানটি এখনো তার কানে বাজছে। একজন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে যেভাবে মূল্যায়িত করলেন, তা থেকেই বোঝা যায় সন্ধ্যা কত উঁচুমার্গের শিল্পী ছিলেন। অবশ্য তার হাতেগোনা কয়টি রবীন্দ্র সংগীত থেকে সহজেই আঁচ করা যায় যে তিনি রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে ব্যস্ত থাকলে সেই সংগীতে শীর্ষ অবস্থানে যেতে পারতেন।  

সন্ধ্যাজি মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জানার পর বার বার মনে হয়েছে এই নবতিপর বৃদ্ধা মহাগুণীজন, যিনি উভয় বাংলার কোটি মানুষের শিরোধার্য হিসেবে এখনো বিচরণ করছেন, তিনি আর হাসপাতাল থেকে ফিরবেন কিনা, আর সে জন্য আমার বিষণ্ণতা। দুর্ভাগ্যবশত সেই আশঙ্কাই বাস্তবায়িত হলো। সাম্প্রতিককালের ছবিতে দেখা যেত, তিনি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না, কুজো হয়ে গেছেন। তিনি চলে গেলে কোটি বাঙালি যেভাবে মর্মাহত হবেন, তা হবে অতি আপনজনকে হারানোরই মতো। সুচিত্রা, উত্তম, হেমন্ত, সৌমিত্রের প্রয়াণে উভয় বাংলার মানুষ যেমন শোক সাগরে ভেসে ছিলেন, সন্ধ্যাজির প্রস্থানও সে ধরনের বিষাদের সৃষ্টি করেছে।