Published : 24 Aug 2016, 11:33 AM
প্রস্তাবিত খসড়া 'শিক্ষা আইন ২০১৬'-এর ২২টি পাতা পড়তে আমার প্রায় সারা দিন লেগেছে। পড়তে পড়তে মনে হয়েছে, এটা মানার উদ্দেশ্যে কেউ বোধ হয় পড়বে না! আমি যে পড়েছি তা-ও না মানার উদ্দেশ্যেই! এবং আমার ধারণা, যাঁরা এ আইন তৈরি করেছেন তাঁরাও না মানার উদ্দেশ্যেই করেছেন!
তাহলে আমরা কেন কথা বলছি আইনটা নিয়ে?
সমাজে আমরা যা কিছু করি তখন তার পেছনে একটা অনুমিত পরিস্থিতি বা পূর্বশর্ত থাকে। শিক্ষা বিষয়ে সরকারের করা আইন নিয়ে আলোচনার অনুমিত পরিস্থিতি বা পূর্বশর্ত হতে পারে– আলোচনার মাধ্যমে আইনের বেশ কিছু ইতি-নেতি দিক উঠে আসবে, যা থেকে আইন যাঁরা তৈরি করেছেন, তাঁদের কিছু করার থাকলে তাঁরা সে বিষয়ে ভাববেন; বা না ভাবলেও একটা জনমত তৈরি হবে সরকার যা গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেবে ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবতা এখন এমন যে, সরকার বা আইন যাঁরা তৈরি করেছেন তাঁরা এগুলো খুব একটা পড়বেন না, বা দেখবেনও না; কাছে পেলে রেখে দেবেন।
এর কারণ বিগত সরকারগুলোর সঙ্গে বর্তমান সরকারের একটা মৌলিক পার্থক্য আছে। সেটি হচ্ছে, আগের সরকারগুলো কোনো অন্যায় করলেও বলত যে, "না, আমরা অন্যায় করছি না।"
কিন্তু এই সরকার প্রতিনিয়ত বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, "আমরা অন্যায় করলে করছি! তোমাদের কিচ্ছু করার নেই!"
সুতরাং পূর্বতন অনুমিত পরিস্থিতির যখন পরিবর্তন হয়েছে তখন পূর্বতন আলোচনা-সমালোচনার পথ-পদ্ধতি বিদ্যমান পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করার কথা নয়। এটা অনেকটা পণ্ডশ্রমের মতো। তবু ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য আমাদের এই পণ্ডশ্রম করে যেতে হবে। এটা মেনে নিয়েই এ আইনের ইতি-নেতি দিকগুলোর কিছুটা দেখা যেতে পারে।
১.
প্রস্তাবিত এ খসড়া আইনে অনেক ইতিবাচক কথা আছে। যেমন: প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু (ধারা ৪/১), এনসিটিবির অনুমোদনে সহায়ক বই প্রকাশ (ধারা ৪/৬, ২১/৫), নিবন্ধন ছাড়া কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা না করা (ধারা ১১/২, ২২/৮), প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ষান্মাসিক বা বার্ষিক পরীক্ষা বাদ দিয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন ব্যবস্থা রাখা (ধারা ১২/১), একজন ব্যক্তি একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি না হতে পারা (ধারা ২৯/৪), ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে বাংলা ও বাংলাদেশ স্টাডিজ পাঠ্য করা (ধারা ২২/৫), ইংরেজি মাধ্যম স্কুল-কলেজের বেতন ও ফিস শিক্ষা বোর্ড থেকে অনুমোদন গ্রহণ করা (ধারা ২২/৭, ২২/৮), কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করা (ধারা ২০/খ/৩), রেফারেন্স বই বাংলায় অনুবাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করা (ধারা ৩১/১), কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তর্জাতিক মান দেওয়া (ধারা ৩৭/১), বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন-ফিস উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদন করা (ধারা ৪০/৫), প্রাইভেট টিউশন ও কোচিং বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা (ধারা ৫৪/১), মেডিকেল কলেজের সঙ্গে নার্সিং ও প্যারামেডিকেল শিক্ষাব্যবস্থার প্রচলন করা (ধারা ৩৫/১) ইত্যাদি।
কিন্তু এটা প্রায় নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এই ভালো দিকগুলোর বাস্তবায়ন-প্রক্রিয়া আরও খারাপ ফল ডেকে আনবে। এর কারণ সর্বপ্লাবী অসৎ, অদক্ষ ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার মধ্যে যে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপও শেষ পর্যন্ত আরও বেশি নেতিবাচক ফল বয়ে আনে। বিগত সময়ে সরকারের নেওয়া অনেক সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থার পরিণতি খতিয়ে দেখলে আমরা এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারি।
২.
এই শিক্ষা আইনে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান, কাঠামো, কমিটি ও সংগঠন নির্মাণ এবং পুনর্বিন্যাসের কথা বলা হয়েছে। যেমন: স্বতন্ত্র প্রাথমিক শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (ধারা ১২/৪), বেসরকারি শিক্ষক নির্বাচন কমিশন (ধারা ১৩/২, ২৬/২, ৪৩/৩), পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ধারা ২৮/১), মেডিকেল অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (ধারা ৩৫/৩, ৪৪/১), সমন্বিত মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটি (ধারা ৩৭/৫), সেন্টার অফ এক্সেলেন্স (ধারা ৩৯/৪), বিশেষ তত্ত্বাবধায়ক কমিটি (ধারা ৩৯/৫), বেতন-ফিস রেগুলেটরি কমিশন (ধারা ৪০/৬), পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিতরণ কর্তৃপক্ষ (ধারা ৫৩/১), শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নে জাতীয় পরামর্শক কমিটি (ধারা ৫৩/২), নায়েম-এর সাংগঠনিক কাঠামোর পুনর্গঠন (ধারা ৫৮/১), আঞ্চলিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (রায়েম) গঠন (ধারা ৫৮/৩), মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ধারা ৫৮/৪), অটিস্টিক শিশুদের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ইত্যাদি।
আপাত উদ্দেশ্য ভালো মনে হলেও এগুলোর দ্বারা রাজস্ব নয়ছয় এবং নানা স্তরের প্রশাসনিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পদের ভাগবাটোয়ারা ছাড়া শিক্ষার গুণগত মানের কোনো উন্নয়ন ঘটার সম্ভাবনা নেই। এর কারণ আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, সর্বপ্লাবী অসৎ, অদক্ষ ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার মধ্যে সব ইতিবাচক উদ্যোগও শেষ পর্যন্ত আরও বেশি নেতিবাচক ফল বয়ে আনে। এটা একটা স্বতঃসিদ্ধের মতো। বস্তুত শুধু শিক্ষা নয়, সব খাতে সরকারের গৃহীত ইতিবাচক পদক্ষেপের চূড়ান্ত ফল কী হতে পারে তা এই স্বতঃসিদ্ধের উপর ভিত্তি করে অনেকখানিই বোঝা সম্ভব।
৩.
প্রস্তাবিত এ আইনের নেতিবাচক দিক কোনগুলো? নানা মাত্রা ও মানদণ্ডে তা আলোচনা করা যায়।
ক. আমরা দেখেছি বিগত সময়ে সরকার বেশকিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে বা বন্ধ করতে দিয়েছে। এবং স্কুলের জমি-সম্পদ সরকার ঘনিষ্ঠ লোকজনের বা স্থানীয় প্রভাবশালীদের ভোগ-দখল করতে দিয়েছে। ধারণা করা যায়, প্রস্তাবিত আইনে এর সুযোগ অবারিত হতে যাচ্ছে। কারণ এতে বলা হয়েছে, "কোন এলাকা বা অঞ্চলে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার প্রয়োজনীয়তা না থাকিলে সরকার নীতিমালা প্রণয়নপূর্বক উহা একীভূত/একত্রীকরণ/স্থানান্তর/বিলুপ্ত করিয়া দিতে পারিবে।" (ধারা ১১/৩, ধারা ২২/২)
সুতরাং এই "প্রয়োজনীয়তা" কার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোন পরিস্থিতিতে, কী প্রক্রিয়ায় "না থাকিবে" তা বুঝতে কারও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ, কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি যদি চান যে তাঁর এলাকার একটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের "প্রয়োজনীয়তা" না থাকুক, কিংবা সরকার যদি চায় কোনো স্কুল বন্ধ করে দিতে, তবে তার "প্রয়োজনীয়তা না থাকা" খুবই স্বাভাবিক। এর মাধ্যমেই সারা দেশে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে ওঠা প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে পরিচালিত প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিস্তার আরও বৃদ্ধি পাবে।
খ. পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, উত্তর বলে দেওয়া, মূল্যায়নে কারচুপি, নকল ও অসদুপায় অবলম্বন ইত্যাদি হলে কী করা হবে– এ বিষয়ে আইনে কিছুই বলা হয়নি। কিন্তু এ কথা বলা হয়েছে যে, "নকল ও অসদুপায় রোধকল্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকগণকে যথাযথ নিরাপত্তা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ" করা হবে (ধারা ৫৭/৬)।
কিন্তু যে আইন অসৎপন্থা অবলম্বনকারীর শাস্তি নিশ্চিত করে না সেই আইন প্রতিবাদ বা প্রতিরোধকারীর নিরাপত্তাও দিতে পারে না। এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং নিশ্চিত থাকা যায় যে, প্রশাসন, বখাটে রাজনীতিক, এমনকী শিক্ষার্থীদের দ্বারা শিক্ষকদের মারপিট সামনে আরও আসছে।
গ. প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অধ্যায়ে বলা হয়েছে, সকল শিশুর জন্য বৈষম্যহীন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হবে (ধারা ৫/৪), পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণয়নকৃত পুস্তক ব্যতীত অন্য কোনো পুস্তক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না (ধারা ৫/১১), এবং এটা করলে শাস্তি দেওয়া হবে (ধারা ৫/১২)।
এখানে উল্লেখিত "সকল শিশু" মানে শাসকশ্রেণির শিশু নয়। এটা নিশ্চিত হওয়া যায়। কারণ, তারা ভিন্ন শিক্ষাক্রমে পড়ছে এবং পড়বে। এই অধ্যায়েই বলা হয়েছে, ইংরেজি মাধ্যম ও ইংলিশ ভার্সন পরিচালনার ক্ষেত্রে নিবন্ধন পদ্ধতির কথা; অথচ বলা হচ্ছে না তারা কোন পাঠ্যপুস্তক বা শিক্ষাক্রম অনুসরণ করবে। আর কওমী মাদ্রাসার প্রসঙ্গই নেই এখানে।
ঘ. এ আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি প্রাথমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দুবারের বেশি হতে পারবেন না (ধারা ১৫/৩)। কিন্তু মাধ্যমিক স্তরের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, কোনো ব্যক্তি একাধিক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে পারবেন না (ধারা ২৯/৪)।
দুই ক্ষেত্রে দুরকম আইন কেন? আমার ধারণা, এর মধ্যে জ্ঞানীদের জন্য অনেক ইঙ্গিত রয়েছে!
ঙ. এই আইন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের মানসিক নির্যাতন বা শারীরিক শাস্তি দিলে শিক্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি পঞ্চাশ হাজার টাকা ও তিন মাস কারাদণ্ড (ধারা ৮/৪, ২৪/২)।
এটা শিক্ষাক্ষেত্রে বিপর্যয় ভয়াবহরকমভাবে বাড়িয়ে তুলবে। কারণ, শিক্ষকেরা শাসন করবে কি না, বা করলে কতটুকু করবে তা জেল-জরিমানা দিয়ে নির্ধারণের বিষয় নয়। এটা যোগ্য শিক্ষক যথার্থ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দান, তাঁদের যথার্থ ভাতা, প্রশিক্ষণ ও মোটিভেশন প্রদান এবং বিদ্যালয় পরিদর্শন ও বিদ্যালয় প্রশাসনের বিষয়। অসৎ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি, দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের কর্মকাণ্ডে বর্তমানে সব নীতিবান শিক্ষক যে দায়িত্বকর্তব্য থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন– এ আইনের ফলে তা পুরোপুরি সম্পন্ন হবে। এবং এতে শিক্ষার্থী/অভিভাবক ও শিক্ষকেরা একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবে।
চ. সবচেয়ে মজার হল, প্রস্তাবিত আইনে যা-ই থাকুক না কেন, এখন যা প্রচলিত আছে তার প্রায় সবকিছুকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে।
"এই আইন বলবৎ হইবার পর ইহার কোন বিধানের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ না হইলেও পূর্বে প্রণীত সকল বিধি-বিধান, জারিকৃত আদেশ, নীতিমালা বা প্রজ্ঞাপনের আলোকে কৃত সকল কাজকর্ম ইতোমধ্যে বলবৎ হইয়া থাকিলে তাহা এই আইনের অধীনে প্রণীত, জারিকৃত, অনুমোদিত এবং কৃত বর্লিয়া গণ্য হইবে।" (ধারা ৬৫/২)।
তাই যদি হয় তা হলে বড় প্রশ্নটি হল, এই আইন তাহলে কী করবে?
আসলে শিক্ষাব্যবস্থার পতনের মূল কারণ কী?
মূল কারণ হচ্ছে অসৎ প্রশাসন ও নোংরা রাজনীতির সাহায্যে অযোগ্য-অদক্ষ-মেরুদণ্ডহীন শিক্ষক ও শিক্ষা প্রশাসনের ব্যবস্থা করে তাদের মাধ্যমে ধারাবাহিক অধঃপতিত শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার একটা দুষ্টচক্র গড়ে তোলা। এই চক্র না ভেঙে এর মধ্যে যা কিছু আলো ফেলা হোক, তার উৎপাদন হবে আরও অন্ধকার! এতে শিক্ষার মানের কোনো উন্নয়ন ঘটবে না, আলোর আয়োজনের ঘটাই চোখে পড়বে। আর তাতে আয়োজক শ্রেণিরই বৈষয়িক লাভ।
আমরা 'শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলন' থেকে একটি গবেষণাপত্র লিখে সেমিনার করে দেখিয়েছিলাম যে, "আগে যেটা ছিল শহরের ভালো স্কুলগুলোকে নকলমুক্ত রেখে গ্রামগঞ্জের কেন্দ্রগুলোতে নকলের সুযোগ দিয়ে প্রান্তের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করা; এখন সেটা হচ্ছে প্রশ্নপত্র ফাঁস, উত্তর বলে দেওয়া, মূল্যায়নে শিথিলতা আর পাঠ্যবই, পাঠদান, পরীক্ষাপদ্ধতি ও শিক্ষাস্তরে নব নব নিরীক্ষার নামে আমাদের ৯৯ ভাগ মানুষের সন্তানের শিক্ষাজীবন ধ্বংস করা।"
কিন্তু সেই আয়োজনের পর ধ্বংসপ্রক্রিয়া থেকে তারা সরেনি, বরং ধ্বংসের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সুতরাং এ আইনও কার্যকর হয়ে যাবে। তাহলে আমাদের করণীয় কী?
আমরা আলোচনা করে কিছু কথার ঢেউ তুলতে পারি। কিন্তু রাষ্ট্রব্যবস্থা কর্তৃক সৃষ্ট এই সর্বপ্লাবী দুর্যোগের সমাধান রাজনৈতিকভাবেই হতে হবে। অন্য কোনো বিকল্প নেই। আর সেই রাজনীতির জাগরণ না ঘটা পর্যন্ত আমাদের ধ্বংসসাধনের এমন '১৩ হাত বিচি' দেখেই যেতে হবে।