Published : 11 Mar 2013, 05:08 PM
স্বপ্ন, সততা এবং অঙ্গীকারে বলীয়ান মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে নিশ্চয়ই কম নয়, তবে এসব গুণকে গোটা জাতির নিয়তির মোড় ঘুড়িয়ে দেয়ার জন্য ব্যবহার করেছেন–এমন মানুষের সংখ্যা কখনোই খুব বেশি হয় না। বেনেসুয়েলার দারিদ্র-পীড়িত এক পরিবারে জন্ম নেয়া উগো চাবেস ছিলেন সেই বিরল ব্যক্তিত্বদের একজন।
তাঁর আদর্শ ছিলো সিমোন বলিবারের মতো দানবীয় উচ্চতার সেই মানুষ যিনি একটি দুটি দেশ নয়, গোটা মহাদেশটাকেই ঔপনিবেশিক শক্তির শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। লাতিন আমেরিকা নামক গোটা মহাদেশটাকে মুক্ত করতে না পারলেও, একের পর এক তিনি বহু দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তিনি ছিলেন বেনেসুয়েলার। চাবেসের স্বপ্নের মধ্যেও প্রবাহিত হয়েছিলো স্বদেশী এই আদিম দেবতার রক্ত। সিমোন বলিবারের স্বপ্নের উত্তরাধিকারকে চাবেস বহন করেছিলেন দারিদ্র-পীড়িত বেনেসুয়েলাবাসীকে অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে। অল্প বয়সেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন বিপ্লবের কোন বিকল্প নেই। নিজেকে তিনি প্রস্তুতও করে নিয়েছিলেন সেইভাবে। মার্ক্সবাদের দীক্ষা, সামরিক বাহিনীতে যোগ দান এবং অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা ব্যর্থ হলেও স্বপ্ন-তাড়িত লক্ষ্য থেকে তিনি সরে যান নি কখনোই।
অভ্যুত্থানের দায়ে দু বছরের জেল-জীবন শেষে ফিরে এসে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। এর বছর চারেক পরে ১৯৯৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। অঙ্গীকার করেছিলেন দারিদ্র ও দুর্নীতি দূর করার। সে অঙ্গীকার তিনি রক্ষা করেছিলেন সারাজীবন। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের প্রতিশ্রুতির মতো তা কেবল ভোট শিকারের টোপ হয়ে থাকেনি।
বেনেসুয়েলার বড় সম্পদ তার তেল। জোঁকের মতো বেনেসুয়েলার শরীর থেকে এই তেল চুষে নিচ্ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক্সন মবিল এবং কনোকোফিলিপস নামের কোম্পানিগুলো। ২০০৭ সালে ওরিনোকো অঞ্চলে কোটি কোটি ডলার মূল্যের তেল সম্পদের নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রের হাতে নিয়ে আসেন তিনি। বিতারিত করেন তেলপায়ী জোঁকগুলোকে বেনেসুয়েলা থেকে। যেমনটা এক সময়, ১৯৩৮ সালের ১৮ মার্চ মেহিকোর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লাসারো কার্দেনাস বিদেশী মালিকানার তেল কোম্পানিগুলোকে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নিয়ে আসেন।
চাবেসের কাছে এই উদাহরণ হয়তো উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে থাকতে পারে। কিন্তু বিদেশী কোম্পানিগুলো যেহেতু নিছক কোম্পানি মাত্র নয়, তারা কোন না কোন রাষ্ট্র নামক অক্টোপাসেরই বিভিন্ন হাত, সুতরাং হাতের উপর আঘাত এসে পরলে তার প্রতিক্রিয়া দেহের কেন্দ্রে গিয়ে না পরে পারে না। চাবেস তাই চিরকালের শত্রু হিসেবে পেয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। কারণ বিতাড়িত তিনটি কোম্পানিই ছিলো মার্কিনী।
এই প্রবল শত্রুর বিরুদ্ধে টিকে থাকতে হলে শত্রুর শত্রুদের সঙ্গে বন্ধুত্বই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম পথ। সেই পথে তিনি শুরুতেই পেয়েছিলেন কুবার ফিদেল কাস্ত্রোকে, পরে একে একে আদর্শিক বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে নিকারাগুয়ার দানিয়েল ওর্তেগা, একুয়াদরের রাফায়েল কোরেয়া, বলিবিয়ার এবো মোরালেস আর মধ্যপ্রাচ্যের তেজীয়ান আহমেদিনিজাদকে। শত্রুর ভয়কে তিনি জয় করে নিয়েছিলেন নির্ভীকতা, নি:স্বার্থ মনোভাব আর নিজের দেশবাসীর প্রতি ভালোবাসার শক্তি দিয়ে। এই কারণে জর্জ বুশকে তিনি অবলীলায় 'গাধা' ও 'শয়তান' বলে অভিহিত করতে পারেন।
পূর্ববর্তী রাষ্ট্রপ্রধান কার্লোস আন্দ্রেস পেরেস দেশকে বিদেশীদের কাছে হরিলুটের মাল করে রেখেছিলেন। চাবেস এসে হরিলুটের এই উৎসব বন্ধ করে দেশে সমাজতান্ত্রিক আদর্শের প্রয়োগ করতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে শুরু করেন ভূমি সংস্কারের কাজ, দারিদ্র বিমোচনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজও শুরু করেন। তাছাড়া সমাজ কল্যাণমূলক খাতে, যেমন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বাড়াতে থাকেন বহু গুন। চাবেসের ১৪ বছরের শাসনামলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক যে পরিবর্তনগুলো ঘটেছে তার একটা সংক্ষিপ্ত রূপ আমরা দেখতে পাবো অর্থনীতিবিদদের নির্ধারিত পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে।
চাবেসের আগে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ছিলো শতকরা ১.৪, কিন্তু ৯৯ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্তু তা বেড়ে হয় ৩.২ আর তেল ধর্মঘটের পরে, অর্থাৎ ২০০৩ সালের পর থেকে ২০১২ সালের মধ্যে তা গিয়ে দাড়ায় ৪.৩-এ। অন্যদিকে, চাবেসের আগে মাথাপিছু জিডিপি ছিলো নেতিবাচক অর্থাৎ -০.৮ । ৯৯ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্তু তা বেড়ে ১.৪-এ গিয়ে দাঁড়ায়। আর ২০০৩ থেকে ২০১১ সালে তা গিয়ে দাড়ায় ২.৫-এ।
এখানে একটি জরুরী তথ্য জানিয়ে রাখা দরকার যে চাবেস ক্ষমতায় যাওয়া মাত্রই তেল কোম্পানিগুলোকে জাতীয়করণ করেন নি বা করার উদ্যোগ নিতে পারেন নি। এ কাজ করার জন্য ২০০৩ সাল পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিলো । এবং ২০০৩ সাল পর্যন্ত তার বিরোধী পক্ষরাই নিয়ন্ত্রণ করতো কোম্পানিগুলো। এই কারণে দেখা যায় রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে এগুলো আনার পরপরই মাথাপিছু আয় বেড়ে মানুষের জীবনমান উন্নত হতে থাকে আরও বেশি। কারণ তেল খাত থেকে অর্জিত টাকাগুলো চাবেস সমাজকল্যাণমূলক খাতে ব্যয় করতে থাকেন।
আরও কয়েকটি পরিসংখ্যান পরীক্ষা করলে দেখা যাবে চাবেস কীভাবে তার দেশের চেহারা বদলে ফেলার জন্য গনমুখী পরিকল্পনাগুলো নিয়েছেন। যেমন তার সময়ে সরকারী খাতে প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাড়িয়েছে ২.৮২ আর বেসরকারী খাতে বেড়েছে ৩.০৩-এ। মূল্যস্ফীতি শতকরা ১০০ থেকে তা নামিয়ে আনেন ২০-এর কোটায়।
১৯৯৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের সময় বেকারত্ব ছিলো শতকরা ১৪.৫ আর ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০১১ সাল পর্যন্ত তা নেমে দাড়ায় ৭.৮-এ।
একই চিত্র দেখা যাবে দারিদ্র দূরীকরণের ক্ষেত্রেও। দারিদ্র কমে গিয়ে দাড়িয়েছে প্রায় শতকরা ৫০ ভাগে আর চরম দারিদ্র কমেছে ৭০ ভাগ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গৃহায়ন ও সামাজিক নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সামাজিক খাতে ব্যয় ১৯৯৮ সালে যা ছিলো জিডিপির শতকরা ১১.৩ তা ২০১১ সালে জিডিপির শতকরা ২২.৮-এ গিয়ে উঠেছে। অর্থাৎ দ্বিগুন হয়ে গেছে।
শিক্ষাখাতে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির সংখ্যা শতকরা ৩৭.৫ থেকে বেড়ে দাড়িয়েছে ৭১.৪-এ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতকরা ৪৪.৮ থেকে বেড়ে দাড়িয়েছে ৭৩.৩-এ। উচ্চ শিক্ষার্থে গ্রাজুয়েটের সংখ্যা ৫ লাখ থেকে বেড়ে দাড়িয়েছে ২৫ লাখে। অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর(৫ থেকে ৫-এর কম বয়সী) সংখ্যা শতকরা ৭.৭৮ থেকে নেমে দাড়িয়েছে ২.৯-এ। অবসরভাতা গ্রহণকারীর সংখ্যা ৫ লাখ থেকে বেড়ে দাড়িয়েছে ২০ লাখে।
এই যে পরিবর্তনগুলো আমরা দেখতে পাচ্ছি তা ক্ষমতাকে অলংকৃত করা কোন ব্যক্তির নয়, বরং দারিদ্র-পীড়িত, বঞ্চিত শ্রেণীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহনকারী অঙ্গীকারসম্পন্ন এক নেতার। মানুষের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে ক্ষমতায় গিয়েও এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
চাবেসের যে ক্যারিয়ার ছিলো (ছিলেন সামরিক অফিসার, ভালো বাগ্মী এবং ভালো সংগঠক) তাতে করে ক্ষমতা-মাতাল লাতিন আমেরিকার সেইসব উম্মাদ, স্বৈরাচারী রাষ্ট্রপতিদের মতো হওয়া মোটেই অসম্ভব ছিলো না যারা ক্ষমতাকে আত্মোন্নয়ন আর ব্যক্তিগত খামখেয়াল বাস্তবায়নের উপায় হিসেবে ব্যবহার করেছে। মেহিকোর স্বৈরাচারী আন্তোনিও লোপেস দে সান্তা আনা যিনি ১১ বার রাষ্ট্রপতি হয়েছেন কিন্তু দেশকে রসাতলে নেয়া ছাড়া আর কিছুই করেন নি। তার আমলেই মেহিকো তার আয়তনের প্রায় অর্ধেকটা হারায় আমেরিকার কাছে। উন্মাদ উদাহরণ হিসেবে রয়েছে সান সালবাদরের স্বৈরাচারী শাসক মাক্সিলিয়ানো এর্নান্দেস মার্তিনেস যিনি স্কারলেট ফিবারে আক্রান্ত জনগনের দু:খে কাতর হয়ে রাস্তার লাইট পোস্টের বাল্বগুলো লাল কাগজে মুড়ে দিয়েছিলো যাতে করে লোকজন সেড়ে ওঠে।
আরও কাছের উদাহরণ হিসেবে নিজ দেশের হুয়ান বিসেন্তে গোমেসের কথাই ধরা যাক যিনি ৩০ বছর যাবৎ বেনেসুয়েলার রাষ্ট্রপতি ছিলেন, ছিলেন পাগলামীর এক চূড়ান্ত, নিজেরই মৃত্যু ঘোষণা করে লক্ষ্য করতে চেয়েছিলেন কারা তার মৃত্যুতে উল্লাস প্রকাশের সাহস দেখায়। দেশের উন্নয়ন তো দূরের কথা, বরং বেনেসুয়েলাকে দেশী-বিদেশী লুটারাদের জন্য উন্মূক্ত করে দিয়েছিলেন নিজের ক্ষমতাকে নিঙ্কুশ রাখার লক্ষ্যে। চাবেস এদের যে কারোর মতোই হতে পারতেন। হওয়াটা অসম্ভব ছিলো না।
লাতিন আমেরিকা স্বৈরাচারীদের উত্থানের জন্য এক উর্বরভূমি–ভুবনবিস্তৃত এই কুখ্যাতির কথা কে না জানেন। আমাদের সময়ে কারোর পক্ষে সৎ, সাহসী ও অঙ্গীকারসম্পন্ন হয়ে ওঠা খুবই কঠিন। কঠিন, কারণ দুর্নীতিগ্রস্থ ও অসৎ হওয়ার পক্ষে সামাজিক শর্তগুলো এমনভাবে প্রস্তুত হয়ে আছে যে তার বিপরীতে গিয়ে গণমুখী পরিকল্পনা নিয়ে দেশকে বদলে ফেলা সহজ নয়।
চাবেস অসীম সাহসে এই কঠিন পথ বেছে নিয়েছিলেন বিপত্তির সম্ভাবনা আমলে নিয়েই । তিনি কবির দূরদৃষ্টি দিয়েই বুঝেছিলেন, "এই পথে পৃথিবীর ক্রম মুক্তি হবে…" । মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা ছিলো কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করার বিষয়; নিছক ছেঁদো কথায় চিড়ে ভেজোনোর বিষয় নয়। ভালোবাসা আর সাহসের পাশাপাশি ছিলো শক্রকে অপমান করার সুক্ষ্ম কৌশলও।
অনেকেই জানেন যে ফিদেল কাস্ত্রোর মতো তিনিও খুব ভালো পড়ুয়া। এও ছিলো তার শক্তি ও উদ্দীপনার আরেক উৎস। বই অর্থাৎ জ্ঞানকে, জ্ঞানরূপী অহিংস হাতিয়ারকে তিনি নিজের দেশের উন্নয়নে যেমন ব্যবহার করেছেন তেমনি শত্রুকে নাজেহাল করার জন্যও ব্যবহার করেছিলেন। আমাদের মনে পরবে ২০০৯ সালের ১৮ এপ্রিল লাতিন আমেরিকার নেতৃবৃন্দের সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ওবামাকে দেয়া তার সেই অবিস্মরণীয় উপহারটির কথা। উপহারটি তিনি দিয়েছিলেন ইউরোপ এবং আমেরিকা কর্তৃক লাতিন আমেরিকার দেশগুলোকে লুণ্ঠন এবং নিষ্ঠুরতার ইতিহাস বয়ানকারী গ্রন্থ, এদুয়ার্দো গালেয়ানোর Open veins of Latin America নামক দুর্দান্ত কিতাবটি। অর্থাৎ কূটনৈতিক সাক্ষাৎকারের সময়ও সৌজন্য পরিহার না করেই কীভাবে শত্রুকে ' শিক্ষা' দেয়া যায় কিংবা অপমান করা যায়–এই ব্যাপারটিও তার মধ্যে ছিলো। ওবামাকে এই বইটি উপহার দেয়ার মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে আমেরিকার নিষ্ঠুরতা তারা ভুলে যায় নি।
নানান সময় চাবেস শক্রদের সম্পর্কে সাহসী ও কৌতুকপূর্ণ মন্তব্য করে বিশ্বের নজর কেড়েছিলেন । তবে যে কারণে চাবেস তৃতীয় বিশ্বের মুক্তিকামী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রেরণা হয়ে উঠেছেন তা হলো নিজের দেশের উন্নয়নে তার অসামান্য অবদান। একজন চাবেসের পাশে আমাদের নেতা নেত্রীদেরকে মনে হয় বামন ও বুনো জানোয়ার। আর আমরা, সাধারণ মানুষেরা যেহেতু এখনও মানুষ এবং আরেকটু বেশি মানুষ হয়ে উঠতে চাই তাই চাবেসকে ভালো না বেসে পারিনা।
চাবেস ছিলেন গ্রীক পুরাণের প্রবেশপথের সেই দ্বাররক্ষী; সামনে-পেছনে দুই দিকে মুখকরা জানুসের মতো । চাবেসের একটি মুখ তাকিয়ে ছিলো শক্রর প্রতি যেখানে তার দৃষ্টি নির্ভীক তরবারির মতোই শানিত, পাহারা দিচ্ছিলেন দেশকে বহির্শক্তির অনুপ্রবেশের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য, অন্য একটি মুখ তাকিয়ে ছিলো দেশের মানুষের কল্যাণের দিকে । চাবেস তার দেশের জন্য যে অবদান রেখেছেন তার মাধ্যমে তিনি বেনেসুয়েলাবাসীর হৃদয়ে চিরজাগরুক হয়ে থাকবেন। আমরা যারা দূর থেকে তার কর্মকাণ্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছি, বেচেঁ থাকবেন তিনি আমাদের মাঝেও।
রাজু আলাউদ্দিন: লেখক ও সাংবাদিক।