সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এ বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী।
বৈঠক শেষে তিনি আলোচনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
সৌজন্য সাক্ষাতকালে সুজাতা মেহতা তার দেশের সরকার প্রধানের শুভেচ্ছা শেখ হাসিনাকে পৌঁছে দেন।
দুই দেশের মধ্যে স্থল সীমান্ত চুক্তি ভারতের সংসদে পাসের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরের সময় তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি নিয়েও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ভারতের দ্বিতীয় পর্যায়ের ঋণের কথা উল্লেখ করে শামীম চৌধুরী বলেন, “কার্যকরী প্রকল্প নিতে ভারত এক বিলিয়ন ডলারের দ্বিতীয় পর্যায়ের ঋণ দেবে বলে জানিয়েনে সুজাতা মেহতা।”
এছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সৌর বিদ্যুৎ জোট করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সুজাতা মেহতা বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভারতের ৩/৪টা কোম্পানি আগ্রহ দেখিয়েছে।
শামীম চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুই দেশের দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্ক আরও উচ্চ পর্যায়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সুজাতা।
“প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথাও বলেন তিনি,” বলেন শামীম চৌধুরী।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ, পানি ও বিদ্যুৎ বণ্টনের কথা বলেন। এছাড়া ভারতকে বাংলাদেশের ঘনিষ্ট প্রতিবেশী হিসাবে উল্লেখ করে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের দরিদ্র ও তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের জন্য দুই দেশের এক সাথে কাজ করার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ধনি ও দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান কমাতে কাজ করে যাচ্ছে।
সাক্ষাতকালে বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত পংকজ সরণও উপস্থিত ছিলেন।