রোববার ৩০ জন ট্রেকারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, তাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
বনটিতে আটকা পড়া অন্যান্য ট্রেকারের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে ভারতীয় বিমান বাহিনী।
চেন্নাই ট্রেকিং ক্লাবের আয়োজনে নারী দিবস উদযাপন করতে ট্রেকিং করতে গিয়েছিল ২৫ জন নারী শিক্ষার্থী ও তিনটি শিশু। ওই সময় থেনি জেলার কুরানগিনি পাহাড় এলাকায় দাবানল শুরু হয়।
ফেরার পথে রোববার তারা চারপাশে আগুনের মধ্যে একটি টিলায় আটকা পড়েন। এই পরিস্থিতিতে অনেকে নিচে থাকা বোল্ডারে ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করেন।
রোববার সূর্যাস্তের আগে ওই পাহাড় এলাকা থেকে ধারণ করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, আগুনে দগ্ধ কিছু নারী শুয়ে পড়েছেন, পোড়া ক্ষতের কারণে তারা নড়াচড়া করতে পারছেন না এমন ইঙ্গিত করছেন।
তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী ই পালানিসামির অনুরোধে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সিতারামন উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করার জন্য বিমান বাহিনীকে নির্দেশ দেন।
থেনি জেলাটি কেরালার থেক্কাডি এলাকার সীমান্তবর্তী, এই এলাকাটিতেই বিখ্যাত পেরিয়ার ন্যাশনাল পার্কের অবস্থান।
ট্রেকারদের মধ্যে ২৭ জন চেন্নাই থেকে এবং ১২ জন এরোদি ও তিরুপুর থেকে গিয়েছিলেন। তারা সবাই ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে কুরানগানি পাহাড় থেকে ফিরছিলেন।
দাবানল শুরু হওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ও বন কর্মকর্তারা প্রথম তাদের উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেন।
শনিবার রাতে অধিকাংশ ট্রেকার একটি স্টেটে রাতযাপন করে রোববার ভোর থেকে ট্রেকিং শুরু করেন।
ওই অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বাস্কারন এনডিটিভিকে বলেছেন, “৩৯ জন ট্রেকারের মধ্যে ৩০ জন আগুনে ঘেরা একটি টিলায় আটকা পড়েন। তাদের খোঁজ পেয়ে টিলা থেকে নামিয়ে এনে চিকিৎসা শুরু করা হয়।”
কেরালা পুলিশের একটি দলকেও উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করতে থেনিতে পাঠানো হয়েছে।
থেনির জেলা কালেক্টর পল্লভি বলদেভ বলেছেন, “আহত সবাইকে টিলা থেকে নামিয়ে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা দেওয়া শুরু করি।”
এরপর এদের মধ্যে যাদের অবস্থা গুরুতর ছিল তাদের ৭৫ কিলোমিটার দূরে মাদুরাইয়ের সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা রোববার এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, যে শিক্ষার্থীরা ট্রেকিংয়ে গিয়েছিল তারা পুলিশ অথবা বন বিভাগের কোনো অনুমতি নেয়নি।
গত কয়েকদিন ধরেই ওই বনের বহু এলাকায় আগুন জ্বলছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।