কারকুমা জয়েন্ট গার্ড: ব্যথার ওষুধ না

এই ‘ফাংশনাল ফুড’ অস্থি সংযোগের ব্যথা সারাতে ভূমিকা রাখে।

তারপরও এটা ওষুধ না। কারণ ‘ফাংশনাল ফুড’ তাকেই বলা হয়, যেসব খাবারে থাকে বিশেষ বায়ো একটিভ উপাদান। আর এই বায়ো একটিভ সমৃদ্ধ ফুড সুনির্দিষ্ট পরিমাণে গ্রহণের ফলে আমাদের দেহের বিভিন্ন কার্যকারিতায় ইতিবাচক ভুমিকা রাখে ।

এই ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অর্থোসার্জারি বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ও ল্যাবএইড হাসপাতালের ‘অর্থোপেডিক সার্জারি অ্যান্ড আর্থ্রোপ্লাস্টি সেন্টার’য়ের প্রধান পরামর্শক অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন, “বিভিন্ন ধরনের অস্থি সংযোগের ব্যথা ও হাঁটুতে ব্যথার সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল কিডনি বা বৃক্কের ক্ষতি করা।”

এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে ‘ফাংশনাল ফুড’ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানান তিনি।

এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “ফাংশনাল ফুড’ ও ‘নিউট্রিশনাল সাপ্লিমেন্ট’ হিসেবে আরও কিছু খাদ্য উপাদান অস্থি সংযোগের ব্যথা কমাতে ব্যবহার করতে পারি। বিশ্বে এরকম গবেষণায় বহু হয়েছে। দেখা গেছে কারকুমিন’য়ের সাথে ‘কনড্রোটিন সালফেট’ ও ‘গ্লুকোসামাইন সালফেট’ যুক্ত করা যায় তবে এর কার্যকারিতা বেড়ে যায়।”

তিনি মনে করেন, “এই ‘ফাংশনাল ফুড’ যা পরীক্ষা নীরিক্ষার মধ্যে থেকে বের হয়ে এসেছে, সেগুলো খেলে কোনো অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সমস্যা করে না অর্থাৎ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। সুতরাং এগুলো আমরা খেয়ে দেখতে পারি, এবং ক্ষতির কিছু নাই।”

তিনি আরও পরামর্শ দেন, “এর পাশাপাশি হাঁটুর ব্যায়াম, ওজন কমানোসহ স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হয়।”

শুধু বয়সের কারণেই নয় অনিয়মিত জীবনযাপন, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া, অনিমিয়ত ‍ঘুম, বেশিক্ষণ বসে থাকা ইত্যাদি কারণে শরীরে যে প্রদাহ তৈরি হয়, সেখান থেকে নানান রোগের সৃষ্টি। আর অস্থি সংযোগের ব্যথার হওয়ার কারণগুলোও এর সাথে সম্পৃক্ত।

এখন দেশেই তৈরী হচ্ছে নানা রকম ফাংশনাল ফুড, যেমন হাড়ের জয়েন্টের জন্য পাওয়া যাচ্ছে কারকুমা জয়েন্ট গার্ড। হাড়ের সংযোগের পিচ্ছিল পদার্থের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে নড়াচড়ায় সমস্যা, হাঁটু বা কনুইতে জমাটভাব, পা ভাঁজ করে বসতে সমস্যা ইত্যাদি ধরনের সমস্যাগুলো সমাধানে ভূমিকা রাখে কারকুমা জয়েন্ট গার্ড।

এতে থাকা উপাদান ‘কারকিউমিন’, এমন একটি কার্যকরী উপাদান যা অস্থি-সন্ধির কার্টিলেজ ভেঙে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। ‘গ্লুকোসামাইন সালফেট’ অস্থি সংযোগের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ‘মিথাইল সালফোনিল মিথেন’ অস্থি সংযোগের ‘রেঞ্জ অফ মোশন’ ও ‘ফিজিক্যাল ফাংশন’ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর ‘কন্ড্রয়টিন সালফেট’ অস্থি-সন্ধির ম্যাট্রিক্সের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

এছাড়াও এর ‘বায়োঅ্যাভেইলেবিলিটি’ বৃদ্ধির জন্য সংযুক্ত করা হয়েছে ‘অর্গানিক ব্ল্যাক পেপার’য়ের নির্যাস।

কারকুমা জয়েন্ট গার্ড গ্রহণ করে উপকার পেয়েছেন এরকম মানুষ কম নয়। এদেরই একজন নাটোর নিবাসী পেশায় আইনজীবী মো. হাসানুল হক মৃদুল।

তিনি বলেন, “বাসা থেকে কোর্টের দূরত্ব ত্রিশ কিলোমিটার দূরে। যে কারণে আমি মোটরসাইকেলে যাতায়াত করি। এক পর্যায়ে আমার কোমরে ব্যথা হওয়া শুরু হয়। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কারকুমা জয়েন্ট গার্ড’য়ের খোঁজ পেয়ে খাওয়া শুরু করি। আর উপকার পাই।”

তিনি আরও বলেন, “আমার স্ত্রী পুষ্টিবিদ। সে এই ‘ফাংশনাল ফুড’য়ের উপাদানগুলো দেখে জানান এগুলো ‘অর্গানিক’। ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আর সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করার পর কোমরের ব্যথা থেকে একটা স্থায়ী সমাধান পেয়েছি। শুধু তাই না, বয়সের কারণে আমার মা ও চাচী হাড়ের সংযোগের ব্যথায় ভুগছিলেন। আমি উপকার পাওয়াতে তাদেরও এটা খাওয়ার পরামর্শ দেই। তারাও উপকার পেয়েছেন খেয়ে।”

তাই বাবা দিবসে, পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের কারও হাড়ের সন্ধীস্থলের ব্যথা দূর করতে ‘কারকুমা জয়েন্ট গার্ড’ হতে পারে চমৎকার উপহার।