ছোটবেলা থেকেই জেনে আসছেন— পানির অপর নাম জীবন। শুধু পিপাসা মেটাতেই কি পানির দরকার হয়?
Published : 17 Nov 2014, 04:26 PM
শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে গান করা বা নাচা, টলটলে পুকুরে সাঁতার কাটা! কি বললেন সাঁতার পারেন না! আচ্ছা ঠিক আছে, বৃষ্টি ভালোলাগে না? বর্ষার দিনে জানালায় বৃষ্টির ঝাপটা, রিমিঝিম বৃষ্টিতে ভেজা— জীবনটাই তখন অন্যকরম লাগে। যেন সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ মেখে নিজেকে শুদ্ধ করার প্রয়াশ চলে।
তবে পানি ব্যবহার করারও নিয়ম আছে। ভাবছেন পানি ব্যবহারের আবার নিয়ম কী? জীবাণু মুক্ত পানি পান আর পরিষ্কার পানি ব্যবহার করার থেকে আর কি বেশি জানার আছে!
আছে অনেক কিছুই। যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ ও লেখক মিলা ডায়মন্ড স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে পানি পান ও ব্যবহার নিয়ে নানান রকম পরামর্শ দিয়েছেন।
পানি পান করার নিয়ম
মস্তিষ্ক সংক্রান্ত তথ্য
মানুষের মস্তিষ্কের ৯৫ শতাংশই পানি এবং আমরা যে পরিমাণ পানি পান করি তার প্রায় ৪০ শতাংশই মস্তিষ্ক ব্যবহার করে।
শরীরে পানির পরিমাণ দুই শতাংশ কমে গেলে ডিহাইড্রেইশন হতে পারে। স্বল্প সময়ের জন্য স্মৃতিলোপ, সহজ অংক কষতে সমস্যা, ছোট লেখা দেখতে সমস্যা হওয়া যেমন: কম্পিউটার স্ক্রিন বা মোবাইলের মেসেজ ঝাপসা দেখা— ইত্যাদি ডিহাইড্রেইশনের লক্ষণ।
যদিও ফলের জুস এবং ক্যাফেইন ছাড়া চা কিছুটা পানির চাহিদা মেটায়। তবে কফি বা অ্যালকোহল প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়।
আবার ফলের রসে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে যে কারণে শরীরে ডিহাইড্রইশন হতে পারে।
তাই কোন স্বাদ বা ফ্লেইভার ব্যবহার না করে পরিষ্কার পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। এতে শরীরে পানির পরিমাণও ঠিক থাকে।
ছবি: রয়টার্স।