বাদ দিতে হবে চর্বি, খেতে হবে সবজি।
Published : 05 Oct 2015, 04:50 PM
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে হৃদযন্ত্র থাকে স্বাস্থ্যবান। পাশাপাশি হৃদরোগের সম্ভাবনা কমবে উল্লেখযোগ্যভাবে।
তবে এই খাদ্যাভ্যাস আসলেও কি উপকারী? এ সম্পর্কে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট।
বিশেষজ্ঞরা দেখিয়েছেন যে, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের গতানুগতিক খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগের আশঙ্কা কমাতে সহায়ক। ১৫ লাখেরও বেশি স্বাস্থ্যবান প্রাপ্তবয়সিদের নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই খাদ্যাভ্যাস অনুসরণের সঙ্গে ক্যান্সার, পার্কিনসন’স এবং আলজাইমার’স রোগ পাশাপাশি হৃদরোগের সম্ভাবনা কমার সম্পর্ক রয়েছে।
এই খাদ্যভ্যাসে মৃদু প্রক্রিয়াজাত করা সতেজ খাবারের আধিক্য বেশি। লবণের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় মসলা এবং মরিচ। স্যাচুরেইটেড ফ্যাট ও চিনি কম এমন খাবার খাওয়া হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী।
জোর দিতে হবে তাজা ফলমূল, সবজি, হোল-গ্রেইন, বিন ইত্যাদির উপর। এতে পুষ্টিগুণ ও আঁশ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়। আর এসব খাবারে প্রোটিন ও স্যাচুরেইটেড চর্বি থাকে কম।
পনির বা দই নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে। তবে ডিম, মাছ এবং মাংস খাওয়া যাবে সপ্তাহে এক থেকে দুইবার।
ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের খাবারের কৌশলগুলো এরকম:
- মাখন ও মার্জারিনের পরিবর্তে ব্যবহার করা উচিৎ স্বাস্থ্যকর তেল। যেমন: অলিভ ওয়েল।
- সবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে।
- হোল-গ্রেইন ব্রেড, পাস্তা, চাল এবং অন্যান্য শষ্যজাতীয় খাবার খেতে হবে।
- মাংসের পরিবর্তে খেতে হবে প্রচুর মাছ ও সামুদ্রিক খাবার।
- প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাকস খাওয়ার পরিবর্তে বাদাম, বীজ, কম চর্বিযুক্ত পনির কিংবা দুগ্ধজাত খাবার স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া উচিৎ।
- ডেজার্টে খেতে হবে ফলমূল।
ছবি: রয়টার্স।