জানো নাকি পিঁপড়ে কেন লাইন ধরে চলে, পরস্পরের মুখোমুখি কী কথাটা বলে?
Published : 26 Aug 2022, 11:33 PM
জানো নাকি পিঁপড়ে কেন
লাইন ধরে চলে
পরস্পরের মুখোমুখি
কী কথাটা বলে?
হঠাৎ যদি লাইনটাকে
ভেঙে দিলে তবে
খানিক পরে আবার দ্যাখো
লম্বা লাইন হবে!
লাইন বেঁধে চলা মানে
অনুসরণ করা
সবার শক্তি এককভাবে
বিশ্বকে যায় গড়া।
বাসা ছেড়ে অনেক দূরে
খাদ্য অন্বেষণ
জমা করে খাবার-দাবার
মণ কি মণ টন।
পিঁপড়ে দেহে লেপ্টে আছে
সুগন্ধি হরমোন
চলার পথে তারা কি সব
সঙ্গী ও ভাইবোন!
যদি তুমি ভেঙে দিলে
সুদক্ষ লাইন
একটু পরে চলছে আহা
মাশ-আল্লাহ্—ফাইন।
আকাশের চাঁদে বসে
দাদি মারে উঁকি
তাকে ধরা বড্ড যে
হয়ে গেছে ঝুঁকি
চাঁদ বলে—তোর দাদি আমি
এর চেয়ে নেই কিছু দামি
তবু আমি মনে মনে
মিথ্যেটা বুঝি
কুঁচকানো মুখে মুখে
দাদিকেই খুঁজি!
ছড়ায় ছড়ায় স্বপ্ন ছড়াই
ছড়ায় ছড়ায় হাসি
ছড়ার নাকি দুঃখ আছে
তার-ই দুঃখে ভাসি।
একটা ছড়ার মুখ বাঁকানো
একটা ছড়ার সোজা
পাঠ করতে সেই ছড়াটির
খোকার মুখটা বোজা।
একটা ছড়া মিঠে আবার
একটা ছড়া তিতে
কিছু ছড়া ফালুক-ফুলুক
মারছে উঁকি জিতে!
একটা ছড়া পুত্র এবং
একটা ছড়া কন্যা
ভুলে এসব দুঃখ-টুক্ক
ছড়াও হাসির বন্যা।
ধানের ছড়া
গানের ছড়া
মানের ছড়া
লিখতে সবই পারি
গুণের ছড়া
নুনের ছড়া
খুনের ছড়া
রাষ্ট্র রাখে জারি!
হালের ছড়া
খালের ছড়া
জালের ছড়া
বুনছিলাম
পাটের ছড়া
হাটের ছড়া
মাঠের ছড়া
ধুনছিলাম।
বনের ছড়া
ধনের ছড়া
মনের ছড়া
পাখি যেমন গায়
খেলার ছড়া
হেলার ছড়া
ভেলার ছড়া
খোকা পড়তে চায়।
সাদা-কালো চুলের মাঝে
হাসতো দাদির মুখ
আশিতে পা রেখেও ঠিকই
উড়িয়ে দিতো সুখ
দাদির তখন কত্তো বয়স?
মাত্র তিরিশ বছর!
হঠাৎ করেই দাদার শরীর
করলো হচর-মচর
দাদার বিদায় দাদির কাছে
করুণ ছিলো খুব
পাঁচ পাঁচটি নেদা কোলে
দাদা দিলো ডুব!
সেই না থেকে একাই দাদি
যুদ্ধে নেমে পড়ে
দেশবিভাগ আর একাত্তরে
কি সব মন্বন্তরে!
দাদির কাছে ঋণের বোঝা
কীভাবে শোধ হবে?
স্মৃতির ঘরে দাদি আমার
প্রাসাদ হয়ে রবে।
ঝুলে পড়া চামড়া মুখে
দাদির হাসি আর
কেমন করে দেখবে ওগো
জগতও সংসার?
কিডজ ম্যাগাজিনে বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা [email protected] সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!