একটি শিশু বলল, ঘাস কী?

যুক্তরাষ্ট্রের কবি ওয়াল্ট হুইটম্যানের (১৮১৯ – ১৮৯২) ‘অ্যা চাইল্ড সেড, হোয়াট ইজ দ্য গ্রাছ?’ শিরোনামে এ অংশটি তার ‘সঙ অফ মাইসেলফ’ কবিতার ষষ্ঠ পরিচ্ছদে এসেছে। কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত হয় তার ‘লিফস অফ গ্রাছ’ (১৮৫৫) কাব্যগ্রন্থে।

রবিউল কমলরবিউল কমল
Published : 8 Oct 2022, 05:37 PM
Updated : 8 Oct 2022, 05:37 PM

ঘাস হাতে নিয়ে একটি শিশু বলল, ঘাস কী?

আমি জানি না, আমি কীভাবে তাকে উত্তর দেবো।

আমার মনে হয়, ঘাস আমার স্বভাবের প্রতীক-

যা আশা সঞ্চারী সবুজ দিয়ে বোনা।

অথবা স্রষ্টার বানানো রুমাল এবং সুগন্ধি উপহার

যা চমৎকারভাবে নকশা করা হয়েছে-

যার প্রতিটি কোণায় কোণায় মিশে আছে স্রষ্টার নাম

যেন আমরা দেখে বলতে পারি এগুলো তৈরি করেছে কে।

অথবা আমার মনে হয়, ঘাস নিজেই একটি শিশু

উদ্ভিদের উৎপাদিত ছোট্ট শিশু

কিংবা আমি মনে করি, অভিন্ন হায়ারোগ্লিফিক-

মানে, বিস্তৃত ও সংকীর্ণ অঞ্চলে একইভাবে অঙ্কুরিত হওয়া,

ঠিক যেভাবে সাদা মাছে কালো মানুষ বেড়ে ওঠে

কাফ, কংগ্রেসম্যান- সবাই আমার কাছে এক

আমি সবাইকে সমভাবে গ্রহণ করি।

আর এখন মনে হচ্ছে-

কোনো কবরের ওপর সুন্দর করে কাটা চুল

আমি কোমলভাবে কুঁচকানো সেই ঘাস ব্যবহার করব,

হয়তো কোনো তরুণের বুক থেকে বেরিয়ে এসেছে

যদি তাকে চিনতাম হয়তো ভালোবাসতাম

এমনও হতে পারে কোনো বৃদ্ধের কাছ থেকে এসেছে

অথবা সদ্য জন্ম নেওয়া কোনো নবজাতকের

যে তার মায়ের কোলে ছিল

ঘাস এখানে মায়ের কোল।

এই ঘাস বৃদ্ধা মায়েদের সাদা মাথার চেয়ে অনেক গাঢ়

বৃদ্ধের বর্ণহীন দাড়ির চেয়ে গাঢ়

যেন তাদের মুখমণ্ডল থেকে বের হয়ে আসা অন্ধকার।

হ্যাঁ আমি এতকিছু বলার পর বুঝতে পারছি-

বুঝতে পারছি এগুলো মুখমণ্ডল থেকে অকারণে আসে না।

যদি মৃত নারী-পুরুষের সম্পর্ক অনুবাদ করতে পারতাম,

বা বৃদ্ধ মা-বাবার সম্পর্ক অনুবাদ

অথবা মায়ের কোল থেকে বিদায় নেওয়া শিশুদের...

তরুণ ও বৃদ্ধদের কী পরিণতি হয়েছে বলে মনে করো?

আর নারী ও শিশুরা কী অবস্থায় আছে?

তারা কোথাও জীবিত এবং ভালো আছে-

এই ছোট ছোট অঙ্কুর বোঝায় সত্যিই কোনো মৃত্যু নেই।

আর যদি কখনও এটি জীবনে আসে-

তবে সে অপেক্ষা করে না, আলিঙ্গন করে

তখন জীবনের মুহূর্তগুলো বন্ধ হয়ে যায়।

এভাবে বাহ্যিকভাবে সবকিছুই এগিয়ে যায়

কিন্তু কোন কিছুই চিরতরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় না

আর মারা যাওয়ার ব্যাপারটা যে যেমন ভেবেছিল আসলে না নয়।

কিডজ ম্যাগাজিনে বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!