আন্তর্জাতিক নার্স দিবস উপলক্ষে বুধবার সোসাইটি ফর নার্সেস সেইফটি অ্যান্ড রাইটস নামে দেশের নার্সদের একটি সংগঠন এই তথ্য দিয়েছে।
সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশে ২৪ জন নার্স আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং ২৮০০ নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।”
মৃতদের মধ্যে সাতজনের পরিবার সরকার ঘোষিত অর্থ পেলেও আক্রান্তদের কেউ সরকারি কোনো অর্থ সহায়তা পায়নি বলে সংগঠনটি জানিয়েছে।
এবার আন্তর্জাতিক নার্স দিবসের পাশাপাশি মানব সেবার অগ্রদূত ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের ১০১তম জন্মবার্ষিকীও উদযাপন হচ্ছে। এ বছর আন্তর্জাতিক নার্সেস কাউন্সিল দিবসের প্রতিপাদ্য ঠিক করেছে- ‘নার্স: নেতৃত্বের কণ্ঠস্বর, ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্যখাতের স্বপ্নদ্রষ্টা’।
সোসাইটি ফর নার্সেস সেইফটি অ্যান্ড রাইটস জানায়, বাংলাদেশে ৬৬ হাজার ৯৭৩ জন নার্স প্রায় ১৭ কোটি মানুষকে সেবা দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী ১ জন চিকিৎসকের সঙ্গে তিনজন রেজিস্ট্রার্ড নার্স থাকা দরকার। সে হিসাবে বাংলাদেশে প্রায় আড়াই লাখ নার্সের ঘাটতি রয়েছে।
নার্স কম থাকায় অসুস্থ রোগীরা যথাযথ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে মনে করছে সংগঠনটি।
করোনাভাইরাস মহামারী ঠেকানোর লড়াই জোরদারে জরুরি ভিত্তিতে নার্স সঙ্কট সমাধানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সোসাইটি ফর নার্সেস সেইফটি অ্যান্ড রাইটস।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত নার্স সাব্বির মাহমুদ তিহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কেবল করোনা নয়, গেল বছর দেশে ডেঙ্গু মোকাবেলায় নার্সরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। “করোনাকালীন নানা সীমাবদ্ধতা আর সঙ্কটের মধ্যেই নার্সরা বিরামহীন ডিউটি করে যাচ্ছে। সারাদেশে করোনা ভ্যাক্সিন কার্যক্রম সম্পূর্ণ নার্সদের উপর নির্ভরশীল।”
এরপরও নার্সদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন সাব্বির মাহমুদ। তিনি জরুরি ভিত্তিতে সরকারিভাবে নার্স নিয়োগ, নার্সদের পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি ও প্রশাসনিক ক্ষমতায়নে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।