‘ভালো খাবো, ভালো থাকবো’ প্রচারাভিযানে ১০ লাখ কিশোর-কিশোরী

দেশের কিশোর-কিশোরীদের ‘ভেজালমুক্ত, নিরাপদ ও পুষ্টিকর’ খাবার গ্রহণে উৎসাহিত করতে শুরু হওয়া বিশেষ ক্যাম্পেইনে যুক্ত হয়েছে ১০ লাখ স্কুল শিক্ষার্থী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Nov 2020, 02:53 PM
Updated : 3 Nov 2020, 02:53 PM

অনলাইনে নিবন্ধন করে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণের অঙ্গীকার করেছে তারা।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমফ্রুভড নিউট্রিশনের (গেইন) আয়োজনে ‘ভালো খাবো, ভালো থাকবো’ এই স্লোগান নিয়ে ২০১৯ সালের অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রচারাভিযানের শুরু হয়।

গেইনের মিডিয়া কনসালট্যান্ট ফজলুল হক মঙ্গলবার জানান, দেশে করোনভাইরাস মহামারী শুরুর আগে প্রায় তিন হাজার স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই ক্যাম্পেইনে অংশ নেয়। সে সময় স্কুলগুলোতে শিক্ষকরা কিশোর-কিশোরীদেরকে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে উৎসাহিত ও সচেতন করেন।

শপথ গ্রহণের পাশাপাশি ভিডিও প্রদর্শনী, রচনা ও পোস্টার প্রতিযোগিতা এবং কিশোর-কিশোরীদের কথা তুলে ধরা হচ্ছে এই ক্যাম্পেইনে।

গত মার্চে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করার পর এখন অনলাইন প্ল্যাটফর্মেই এ প্রচারাভিযান এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ফজলুল হক।

মহামারীর এই সময়ে কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধে কী খাওয়া উচিত তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তুলে ধরা হয়। প্রচার করা হয় বিশেষ কার্টুন সিরিজ।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাংসদ মাশরাফি বিন মোর্তুজাও এই ক্যাম্পেইনে যুক্ত হয়েছে ফেইসবুকে ‘ভালো খাবো, ভালো থাকবো’ পেইজে পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “প্রতিটি শপথ শিশুদেরকে নিরাপদ খাবারে উৎসাহিত করবে।”

এছাড়া তরুণ উদ্যোক্তা আইমান সাদিক, ফুড ব্লগার ইফতেখার রাফসান ও ফুটবল তারকা জামাল ভূঁইয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রচারাভিযানে অংশ নিয়েছেন।

স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন বাংলাদেশের ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১০ থেকে ১৮ বছরের কিশোরীদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ অপুষ্টির শিকার। আর ২০১৪ সালের বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভের তথ্য অনুযায়ী ১৫ থেকে ১৯ বছরের বিবাহিত কিশোরীদের ৩১ শতাংশ অপুষ্টিতে ভূগছে।  

গেইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার বলেন, ২০১৯ সালের অক্টোবরে শুরু করার পর এ পর্যন্ত ১০ লাখ শিক্ষার্থী এই ক্যাম্পেইনে যুক্ত হয়ে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের শপথ করেছে।

“এই স্বল্প সময়ে এটা আমাদের একটা বড় অর্জন। আর এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে কার্যক্রম পরিচালনার কারণে। এই সাফল্য অব্যাহত রাখতে আমি আমাদের অংশীদার ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের কিশোরী-কিশোরীদের স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার সরবরাহ বাড়ানোর আহবান জানাচ্ছি।”

এই ক্যাম্পেইনে আর্থিক পৃষ্টপোষকতা করেছে নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।