সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমফ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে।
গেইনের প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট দিতি প্রিয়া রায় জানান, দেশের আট বিভাগে প্রায় তিন লাখ ৭৬ হাজার স্কুল শিক্ষার্থী নিজেদের টিফিনের টাকায় নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণের অঙ্গীকার করেছে। মার্চ মাস শেষে এই লক্ষ্যমাত্রা প্রায় পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে তারা আশা করছেন।
রোববার গাজীপুরের ১১টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা ‘ভালো খাবো, ভালো থাকবো’ শিরোনামে শপথ নেন জানিয়ে তিনি বলেন, এতে ১১টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকরগণ কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে উৎসাহিত ও সচেতন করেন এবং এই ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিশেষ দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ক্যাম্পেইনে শপথ গ্রহণের পাশাপাশি ভিডিও প্রদর্শনী, রচনা ও পোস্টার প্রতিযোগিতা এবং কিশোর-কিশোরীদের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হয়।
গেইন মনে করে, এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের ভালো খাবার-দাবার গ্রহণের মাধ্যমে পুষ্টির ক্ষেত্রে একটা পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। কারণ ভালো ও পুষ্টিকর খাবার খেলে শরীর ফিট থাকে। আর শরীর ঠিক থাকলে মনও ভালো থাকে। শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকলে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যত স্বপ্নপূরণে অনেকটাই এগিয়ে যায়।
ক্যাম্পেইনের বিষয়ে গেইনের প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট দিতি প্রিয়া বলেন, “স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে আমরা বেশ সাড়া পাচ্ছি। এই সচেতনতার কারণে শিক্ষার্থীদের অনেকে এখন টিফিনের টাকায় অস্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবর্তে পুষ্টিকর খাবার কিনে খাচ্ছে।”
গেইন গণমাধ্যমের সহযোগিতা নিয়ে এই সচেতনতামূলক কার্যক্রমকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চায় বলে জানান তিনি।
গেইন জানায়, আন্তর্জাতিক সংস্থা- ফুড সেপটি নেট সার্ভিসেস (এফএসএনএস) ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ১০ থেকে ১৮ বছরের কিশোরীদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ অপুষ্টির শিকার। গেইন ২০১৪ সালের তথ্য অনুযায়ী- ১৫ থেকে ১৯ বছরের কিশোরীদের মধ্যে ৭ শতাংশ অতিরিক্ত ওজন ও ৩১ শতাংশ প্রয়োজনের তুলনায় কম ওজন সম্পন্ন।
এই প্রেক্ষাপটে পুষ্টিকর, ভেজালমুক্ত, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে দেশে কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে এই ব্যতিক্রমী ক্যাম্পেইন চলছে বলে জানায় গেইন।
এই ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নে স্বর্ণকিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন (এসকেএনএফ) ও কিশোরী ও নারীদের নিয়ে কাজ করা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান আই-সোশ্যাল সহযোগিতা করছে।