মশার বিস্তারের প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে যে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ ব্যাপকতা পেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন এ গবেষক।
Published : 23 Jun 2023, 05:42 PM
বর্ষাকালকে বলা হয় ডেঙ্গুর মৌসুম, কিন্তু বাংলাদেশে এখন সেই বাস্তবতা বদলেছে। জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলছেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিণত হয়েছে সারা বছরের রোগে।
কেবল তাই নয়, ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি থাকলেও এখন রোগী পাওয়া যাচ্ছে সারা দেশে; নগরায়নের ফলে গ্রামও মশাবাহিত রোগের ঝুঁকির বাইরে থাকছে না।
ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়ায় এইডিস মশার মাধ্যমে। এ মশার বিস্তারের প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে যে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ ব্যাপকতা পেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন কবিরুল বাশার।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, এইডিস মশা এবং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে নিতে হবে দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনা, যাতে ‘সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনার’ বিষয়টিও থাকতে হবে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন; তাদের মধ্যে রেকর্ড ২৮১ জনের মৃত্যু হয়।
তার আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। সরকারি হিসাবে সে বছর মৃত্যু হয়েছিল ১৬৪ জনের।
এ বছর বর্ষার শুরুতেই আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ২৯৩ জনে পৌঁছেছে, মৃত্যু হয়েছে মোট ৩৯ জনের।
ডেঙ্গুর সময় বাড়ল কেন
জমে থাকা পানিতে এইডিস মশা বংশ বিস্তার করে, তাই বর্ষাকালকেই বাংলাদেশে ডেঙ্গুর মৌসুম ধরা হত এতদিন। আগে শীতকালে রোগী পাওয়া যেত না সেভাবে।
কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে শীতকালেও ডেঙ্গুর সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে বলে জানালেন অধ্যাপক কবিরুল।
ঢাকা শহরে মাঠ জরিপ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, “শুধু বৃষ্টির পানি জমে এইডিস মশার প্রজনন হচ্ছে, এ অবস্থা আর নেই। কারণ নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি- এ চার মাস বলা যায় দেশে একদমই বৃষ্টি হয় না। অথচ এবছরের শুরুর দিকেও এইডিস মশার ঘনত্ব বেশি পাওয়া গেছে।”
মশা নিয়ে জাপানের কানাজোয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করা এই গবেষক বলেন, “ডেঙ্গু জ্বর এখন সারা বছরের বিষয় হয়ে গেছে। এর কারণও আছে। ঢাকা শহরে নগরায়নের পরিবর্তন হয়েছে। অনেক বহুতল ভবন তৈরি হয়েছে। বেজমেন্টে গাড়ি রাখার জায়গা করা হয়েছে। সেখানে গাড়ি ধোয়াও হয়। বেজমেন্টে তাই পানি জমে থাকে। এমন জায়গায় এইডিস মশাও পাওয়া গেছে।”
তিনি বলেন, ঢাকায় ভবনগুলো তৈরি হয় দীর্ঘ সময় ধরে। কোভিড মহামারীর পরে নির্মাণ কাজ আরো ধীরে চলছে। বড় ভবন তৈরিতে ১০-১৫ বছর লেগে যাচ্ছে।
“এসব জায়গায় পানি জমে থাকে। আবার ঢাকা শহরে পানির সংকটের কারণে নগরবাসী ড্রামে, বালতিতে পানি জমিয়ে রাখে। এসব জমা পানিও এইডিস মশার প্রজননস্থল। এগুলোর সঙ্গে বৃষ্টির কোনো সম্পর্ক নেই। তাই বৃষ্টির মৌসুম ছাড়াও আমাদের দেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে।”
গ্রামেও ডেঙ্গুর ঝুঁকি?
কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলছেন, ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলাতেই ডেঙ্গু ছড়িয়েছিল। এ বছরও পুরো দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়তে পারে।
গ্রামও যে ঝুঁকির বাইরে নয়, সে কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “নগরায়ন হচ্ছে প্রতিটি জেলায়। এর সঙ্গে এইডিস মশার একটি সম্পর্ক আছে। যেখানে নগরায়ন হয়, সেখানেই এইডিস ইজিপটাই, এই মশা বাড়তে থাকে।”
ডেঙ্গু এবার কতটা ভোগাবে
ঢাকা শহরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ কোনো বছর কম থাকছে, আবার কোনো বছর বেড়ে যাচ্ছে। এটাই এ ভাইরাসের ধরণ বলে জানালেন গবেষক কবিরুল বাশার।
তিনি বলেন, “এটা অনেকটা ঢেউয়ের তালে চলে। ২০২০ সালে কম ছিল, পরের বছর বেড়েছে, ২০২২ সালে আরো কিছুটা বেশি ছিল।
“এ বছর মাঠপর্যায়ের তথ্য-উপাত্ত থেকে আমরা যে ফোরকাস্টিং মডেল তৈরি করছি, সেখানে যা দেখতে পাচ্ছি, যদি আমরা এখনি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারি, এবছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি বেশ খারাপ হবে।”
নিদান কী
মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় নগর প্রশাসন সেই ব্রিটিশ আমল থেকে কাজ করছে। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ার পর এখন বর্ষার আগে আগে মশা নিধনে বাড়তি তোড়জোড় দেখা যায়। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কি সঠিক পথে আছে?
এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক কবিরুল বাশার বলেন, “যদি আমরা এইডিস মশা এবং ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাই, তাহলে আমাদের ১০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এই মহাপরিকল্পনার মধ্যে থাকবে সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনা।
“একটি মহাপরিকল্পনা যদি এইডিস মশা ও কিউলেক্স মশার জন্য আলাদা আলাদা ১০ বছর ধরে চালাতে পারি, তাহলে হয়তো ধীরে ধীরে মশা ও ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। তাছাড়া এটি বেশ কঠিন।”
নাগরিকরা কতটা সচেতন?
আর সব বিশেষজ্ঞের মত ড. কবিরুল বাশারও বলছেন, এইডিস মশা নিয়ন্ত্রণ সরকার, রাষ্ট্র, সিটি করপোশেন বা কারো একার পক্ষে সম্ভব না। সেজন্য দরকার জনসচেতনতা।
“কারণ এইডিস মশা বাড়িতে, বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন পাত্রে জমে থাকা পানিতে হয়। এই পাত্রটি কোনো কোনো সময় থাকে আন্ডারগ্রাউন্ডের পার্কিংয়ে, কোনো কোনো সময় ঘরের ভেতরে যে ফুল গাছ থাকে সেখানে, অথবা এসির পানি যেখানে পড়ছে সেখানে থাকে। বাসার সামনে একটি টায়ারও ফেলে রাখতে পারি। এগুলোয় যাতে পানি না জমতে পারে, সেই দায়িত্ব নাগরিকদেরই পালন করতে হবে।
“রাস্তাঘাট, উন্মুক্ত স্থাপনা, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, এসব জায়গাগুলোতে সিটি করপোরেশন কাজ করবে। সিটি করপোশেনের জায়গা থেকে সিটি করপোরেশন, নগরবাসীর জায়গা থেকে নগরবাসী সমন্বিতভাবে কাজ করবে। আর তখনি বাংলাদেশ ডেঙ্গু বা এইডিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।”
বেসরকারি উদ্যোগ কী কম?
গবেষক ড. কবিরুল বাশার বলছেন, মশা নিয়ন্ত্রণে দাতাসংস্থাগুলো তেমন কাজ করে না। তবে তারা রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
“যেমন ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। বাংলাদেশে যে কোনো ধরনের রোগ নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কাজ করে। বিশ্ব ব্যাংকও কিছু কাজ করে। সেক্ষেত্রে তাদেরও অবাদন আছে। তাদের কার্যক্রম আরো যদি বাড়ানো যায়, তবে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।”
ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে ‘অনেক কিছু’
মশার প্রকোপ বেড়ে গেলে নিধন উপকরণের বেচাবিক্রি বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন কবিরুল বাশার।
তিনি বলেন, “শুধু মশা নয়, পৃথিবীতে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবসায়ীরা। তবে মশা নিয়ন্ত্রণে অ্যারোসল, কয়েল, বিভিন্ন ধরনের পেস্টিসাইড, ইনসেক্টিসাইড, ইভেন ভ্যাকসিন- এগুলো ব্যবসা আকারে সারা পৃথিবীতেই আছে।
“এই ব্যবসাগুলো চলবে। কারণ এই প্রডাক্টগুলো থাকলেই না আমরা মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। মশা মারতে গেলে কোনো না কোনো কীটনাশক লাগবে। সেটি আমার ঘরের অ্যারোসল হোক, কয়েল হোক, অথবা সিটি করপোরেশন যে কীটনাশকটি ব্যবহার করে, সেই কীটনাশক হোক।
“তবে যে কীটনাশক বা যে জিনিসটি আমরা ব্যবহার করি না কেন সেটির মান যথাযথভাবে যাচাই করে, সেটির ইফেকটিভনেস যথাযথভাবে যাচাই করে তারপরই ব্যবহার করা উচিত।”
‘সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনা’
মশা নিয়ন্ত্রণে কী করা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন?
ড. কবিরুল বাশার বলেন, “একজন গবেষক হিসেবে আমরা যা বলি, সেটা হচ্ছে ইন্টিগ্রেটেড মসকিটো ম্যানেজমেন্ট। এরমধ্যে চারটা কম্পোনেন্ট থাকে। একটি হচ্ছে পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা।”
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, মশা যে পরিবেশে হচ্ছে, সেই পরিবেশ পরিবর্তন করে দিতে হবে।
“একটি পাত্রে পানি জমা থাকলে মশা হয়, সেই পাত্রটি যদি উল্টে রাখি, তাহলে আর মশা হচ্ছে না। একটি ড্রেন আটকে গেলে সেখানে কিউলেক্স মশা হচ্ছে। ড্রেনটা যেন আটকে না যায়, চলমান থাকে- সে ব্যবস্থা নেওয়া পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা।”
দ্বিতীয় পয়েন্ট হল অন্য জীব দিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ।
“যেমন গাপ্পি ফিশ দিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ। অথবা ছোটবড় যে ড্রাগন ফ্লাই, বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় আমাদের দেশে ছিল, সেই পোকামাকড়গুলো মশা খেয়ে জীবযাপন করে। এই পোকামাকড়ের ভারস্যাম্যটা পৃথিবীতে রাখা, বাংলাদেশে রাখা–এটা হচ্ছে জীবজ নিয়ন্ত্রণ।”
এরপর তিন নম্বরে আসছে কীটনাশক।
“যদি আমরা পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হই, আমরা যদি জীবজ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হই, তিন নম্বরে গিয়ে আমাদের কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।”
আর চার নম্বর হচ্ছে জনগণকে সম্পৃক্ত করা।
“তার মানে পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা, জীবজ নিয়ন্ত্রণ, কীটনাশক দ্বারা নিয়ন্ত্রণ এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করা- এই চারটি কম্পোন্টে যদি আমরা একসাথে চালাতে পারি, তাকে বলা হয় সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনা। আর এ সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনার বিজ্ঞানভিত্তিক প্রয়োগ যদি আমরা করতে পারি, তাহলেই আমরা মশাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। শুধুমাত্র কীটনাশক দিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করাটা আমি মনে করি ব্যর্থ চেষ্টা।”
ব্যাঙ, হাঁস, গাপ্পি মাছ এবং অন্যান্য
রাজধানীতে মশা নিধনে গাপ্পি মাছ, হাঁস ও ব্যাঙ ব্যবহার করেছেন মেয়ররা। এসব উদ্যোগ কতটা কাজে লাগছে?
ড. কবিরুল আশার বলেন, গাপ্পি মাছ মশা নিয়ন্ত্রণে ‘উপেযোগী’ একটি পদ্ধতি। ঢাকায় যেসব জায়গায় গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে, সেসব জায়গার ড্রেনগুলোতে কোনো মশা নেই।
“গাপ্পি মাছ যদি সঠিকভাবে ছাড়া হয়, তবে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণ হবে। তবে ব্যাঙ দিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ হয় না, কোনো দেশে হয়নি। এদেশেও হবে না।
“হাঁস তো আসলে মশা নিয়ন্ত্রণের উপাদান না। হাঁস আমাদের প্রকৃতির একটি অংশ। শহরের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন শহরের লেকগুলোতে হাঁস ছাড়া হয়। এটা মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়।”
মশা দিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ- নতুন সম্ভাবনা?
মশা দিয়ে মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বিভিন্ন দেশে আলোচনায় এসেছে। তবে এ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন কবিরুল বাশার।
এ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ওলবাকিয়া নামে একটি ব্যাকটেরিয়া আছে, যা পুরুষ মশার শরীরে প্রবেশ করানো হয়। তখন ওই পুরুষ মশাটি প্রজনন ক্ষমতা হারায়।
“যখন পুরুষ মশাটিকে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন সে স্ত্রী মশার সাথে মিলিত হলে স্ত্রী মশা যে ডিম পারবে, সেটি থেকে আর বাচ্চা হবে না। এভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ হবে।”
তবে এ পদ্ধতির নানা সীমাবদ্ধতা আছে জানিয়ে এ গবেষক বলেন, “ঢাকার মত মেগা সিটিতে, একটি দূষিত শহরে, ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা বন্ধ্যা পুরুষ মশা প্রকৃতিতে যখন আমরা ছাড়ব, তখন দূষিত পরিবেশে, হিউমিডিটিতে এর বেঁচে থাকাটা প্রথম চ্যালেঞ্জ।
“তারপর এই মশাটি স্ত্রী মশার সাথে মিলিতে হবে, পপুলেশন কমে আসবে- সেটি আসলে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। হুট করে বললে আসলে হবে না। আগে পাইলটিং করে মাঠপর্যায়ে দেখতে হবে- এটি আসলে কতটা ফলাফল দেয়।”
আরও পড়ুন: