কলেজ শিক্ষিকা সুস্মিতা সেনের সঙ্গে ছাত্র শাহরুখ খানের দুষ্টুমি আর প্রেম দিয়ে শুরু হওয়া হালকা গল্প ঘুরে যায় ‘জঙ্গিবাদ বিরোধী’ মতাদর্শে, জিতে নেয় দর্শক মন। প্রায় দুই দশক আগের দারুণ জনপ্রিয় সেই ‘ম্যায় হুঁ না’ সিনেমা করার প্রস্তাব এক কথায় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন দক্ষিণ ভারতের তারকা কমল হাসান।
২০১৪ সালে হলে মুক্তি পেয়েছিল ‘ম্যায় হুঁ না’। সিনেমা মুক্তির ১৯তম বার্ষিকীতে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, নেতিবাচক চরিত্র করার প্রস্তাব পছন্দ হয়নি কমল হাসানের।
সিনেমায় একজন শিক্ষার্থী সেজে কলেজে আসে আর্মি মেজর শাহরুখ। তার মিশন ছিল তার জেনারেলের মেয়েকে এক জঙ্গির হাত থেকে রক্ষা করা এবং তার হারিয়ে যাওয়া সৎ ভাইকে খুঁজে বের করা। সিনেমায় ছাত্র, সেনা কর্মকর্তা এবং দেশদ্রোহী- এই তিনটি ভূমিকাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
ওই সিনেমায় কমল হাসানের জন্য ‘দেশদ্রোহী’র চরিত্র ঠিক করেছিলেন নির্মাতা ফারাহ খান, যে দেশদ্রোহীকে লড়তে হবে এক দুঃসাহসী সেনা কর্মকতার বিরুদ্ধে।
ফারাহ এতটাই ‘আত্মবিশ্বাসী’ ছিলেন যে চরিত্রটির প্রস্তাব নিয়ে নির্মাতা সরাসরি চেন্নাই চলে গিয়েছিলেন কমল হাসানের সঙ্গে দেখা করতে। ভেবেছিলেন, তিনি যদি রাজি নাও করাতে পারেন, তো শাহরুখ নিজে কমল হাসানের সঙ্গে দেখা করে রাজি করিয়ে ফেলবেন।
কারণ এর আগে কমল হাসানের ‘হে রাম’ সিনেমায় শাহরুখ ক্যামিও চরিত্র করেছিলেন। তাই শাহরুখও একরকম ‘নিশ্চিত’ ছিলেন যে কমল তাদের ফিরিয়ে দেবেন না।
পরিচালক হিসেবে ফারাহ খানের সে সময় ইন্ডাস্ট্রিতে বেশি দিন হয়নি, কোরিওগ্রাফার হিসেবেই তখন বেশি পরিচিত তিনি।
নিজের চরিত্র সম্পর্কে জেনে সময় নষ্ট না করে ফারাহর মুখের উপর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বসেন কমল হাসান।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে কমল হাসান বলেন, “দেশদ্রোহীর চরিত্র আমার সঙ্গে মানানসই ছিল না। যা আমি মানতে পারি না সেটা করা সম্ভব নয়, সেটা নায়ক বা খলচরিত্র যাই হোক না কেন।
“শাহরুখ সত্যিকারের দেশপ্রেমিকের চরিত্র পেয়েছিল, তিনি একজন সাহসী পাঠান। ‘হে রাম’ সিনেমাতেও নিজের জীবন উৎসর্গ করতে ইচ্ছুক ছিল। আর এখানে আমাকে ঠিক বিপরীত প্রস্তাব দেওয়া হয়।“
কমল হাসান ‘না’ করে দেওয়ায় তার জায়গায় অ্যাকশন অভিনেতা সুনীল শেঠিকে ওই সিনেমায় নেওয়া হয়।