সিনেমায় প্রযোজক কই, সবাইতো ইনভেস্টর: জসিম আহমেদ

“সবাইতো ইনভেস্টর। প্রযোজক খুবই হাতেগোনা। এ কারণে পেশাদার পরিচালকদের একটা বড় অংশ বিনিয়োগকারীর মেজাজ-মর্জি এবং ফরমায়েশে ছবি বানাতে বাধ্য হন।”

মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Feb 2023, 04:08 AM
Updated : 20 Feb 2023, 04:08 AM

কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট গল্প অবলম্বনে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমা মায়ার জঞ্জাল আসছে ২৪ ফেব্রুয়ারি, মুক্তির আগেই সিনেমাটি সমাদৃত হয়েছে বেশি কিছু আন্তর্জাতিক উৎসবে, প্রশংসার সঙ্গে জিতেছে পুরস্কার।

বাংলাদেশের অপি করিম ও কলকাতার ঋত্বিক চক্রবর্তীসহ দুই বাংলার কলাকুশলীদের নিয়ে নির্মিত সিনেমাটির প্রযোজনা করেছেন ঢাকার নির্মাতা জসিম আহমেদ, যিনি পেশাদার নির্মাতাদের গল্পের সিনেমায় বিনিয়োগের সংকট রয়েছে বলে মনে করেন।

তিনি বলেন, কিছু মেধাবী এবং গুরুত্বপূর্ণ নির্মাতা আছেন যারা নিজের মতো করে গল্প বলতে চান। তাদের ছবির জন্য বিনিয়োগকারী পাওয়া মুশকিল। মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা এসব ছবিতে বিনিয়োগ করতে ভয় পান।

“তাদের মনে হয়, ফর্মুলার বাইরে গিয়ে বানালে অথবা একটু নিরীক্ষা করলে সেই ছবি দর্শক নেবে না; কিংবা সেরকম পরিণত দর্শক দেশে তৈরি হয়নি।”

এই পরিস্থিতিতে সুযোগ ও সামর্থ্য থাকলে নির্মাতাদেরই প্রযোজনা এবং বিনিয়োগে এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন জসিম।

“এভাবে বছরে দুই-চারটা নিরীক্ষাধর্মী ছবিও যদি দর্শক খুঁজে পায় এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল হয় তাহলে এই ধরনের ছবির দর্শক তৈরি হবে ধীরে ধীরে। এজন্য অনেক সময় লাগলেও একটা সময় ইন্ড্রাস্ট্রির বাইরের বিনিয়োগকারীরাও ভালো ছবিতে যুক্ত হওয়ার সাহস পাবেন।”

ভারতীয় নির্মাতা ইন্দ্রানীল রায় চৌধুরীর পরিচালনায় মায়ার জঞ্জালে ঢাকার অপি করিম ও সোহেল মণ্ডলের সঙ্গে অভিনয় করেছেন কলকাতার ঋত্বিক চক্রবর্তী, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, চান্দ্রেয়ী ঘোষ ও শাওলি চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।

সিনেমাটি নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রযোজক জসিম আহমেদ; পরে গ্লিটজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ওই সিনেমা নিয়ে নিজেদের চেষ্টা ও প্রত্যাশার পাশাপাশি চলচ্চিত্রের নানা দিক কথা বলেন।

গ্লিটজ: মায়ার জঞ্জাল মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে নির্মিত; সিনেমাটি সাহিত্যের কতটুকু কাছাকাছি যেতে পেরেছে?

জসিম আহমেদ: দুটো দুই মাধ্যম এবং দুই মাধ্যমের আলাদা বৈশিষ্ট্য। আমাদের চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যে পরিচালক তার নিজস্ব চিত্রভাষা দিবেন এটাইতো স্বাভাবিক।

মায়ার জঞ্জালের কোনো ‘টার্গেট অডিয়েন্স’ আছে?

সব নির্মাতাই চান তার ছবি সকল শ্রেণির দর্শক দেখুক। সবাইকে কানেক্ট করুক। কিন্তু তাতো আর সম্ভব হয় না। দুনিয়াজুড়ে সকল সিনেমার ক্ষেত্রে যেটা হয়- কিছু মানুষের ভালো লাগে, তো কিছু মানুষের ভালো লাগে না। ওই দিকটা চিন্তা করে বলা যায়, আমাদের ছবিটা শহুরে ম্যাচিউর্ড দর্শকদের ভালো লাগবে।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প নিয়ে সিনেমা কেন, গল্পের অভাব?

বিষয়টা এমন না। দুইটা গল্পই দেশ ভাগের সময়কার। এত আগের গল্প খুঁজে পাওয়াও মুশকিল। তবে ইন্দ্রনীল রায়ের পড়া ছিল। তিনি প্রথম থেকেই বলছিলেন যে, গল্প দুটির নির্যাস নিবেন, পুরো গল্প না। ফার্স্ট ড্রাফট দেখেই আমরা বুঝতে পারি উনি কী করতে যাচ্ছেন।

আমাকে পরিচালক বলছিলেন যে, ৭০-৮০ বছরের পুরনো গল্প। তখনকার মানুষের মধ্যে সম্পর্কের যে বিশ্বাস-অবিশ্বাস বা একে অপরকে বিশ্বাস করার প্রচণ্ড ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিশ্বাস করতে না পারার ব্যর্থতা তখন যেমন ছিল, এখনো তেমন আছে। তখনকার সময়ে মানুষের যে চাওয়া পাওয়ার হিসেব ছিল এখনো তা সেরকমই।

পুরনো গল্প তুলে আনতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে?

চিত্রনাট্যকে এই সময়ের উপযোগী ও প্রাসঙ্গিক করার কাজটি বেশ কঠিন ছিল। দুজন চিত্রনাট্যকার যথেষ্ট মুন্সিয়ানার সঙ্গে সফলভাবে তা করেছেন। তারা সময়কে ঠিকঠাক ধারণ করেছেন।

আপনি তো একজন পরিচালক, সিনেমা নির্মাণে না গিয়ে প্রযোজনায় কেন?

এই ইন্ড্রাস্ট্রিতে প্রযোজক আছে? সবাইতো ইনভেস্টর। প্রযোজক খুবই হাতেগোনা। এ কারণে পেশাদার পরিচালকদের একটা বড় অংশ বিনিয়োগকারীর মেজাজ-মর্জি এবং ফরমায়েশে ছবি বানাতে বাধ্য হন। কিছু মেধাবী এবং গুরুত্বপূর্ণ নির্মাতা আছেন যারা নিজের মতো করে গল্প বলতে চান। তাদের ছবির জন্য বিনিয়োগকারী পাওয়া মুশকিল। মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা এসব ছবিতে বিনিয়োগ করতে ভয় পান।

তাদের মনে হয়, ফর্মুলার বাইরে গিয়ে বানালে অথবা একটু নিরীক্ষা করলে সেই ছবি দর্শক নেবে না; কিংবা সেরকম পরিণত দর্শক দেশে তৈরি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে সুযোগ ও সামর্থ্য থাকলে নির্মাতাদেরই প্রযোজনা এবং বিনিয়োগে এগিয়ে আসা উচিত। এভাবে বছরে দুই-চারটা নিরীক্ষাধর্মী ছবিও যদি তার দর্শক খুঁজে পায় এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল হয় তাহলে এই ধরনের ছবির দর্শক তৈরি হবে ধীরে ধীরে।

হয়তো এটা রাতারাতি সম্ভব নয়। এজন্য কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। তবে নিয়মিত এমন প্রযোজনার ফল আসবেই। যেমনটি অনেক দেশে দেখা গেছে। এমন হলে ইন্ড্রাস্ট্রির বাইরের বিনিয়োগকারীরাও ভালো ছবিতে যুক্ত হওয়ার সাহস পাবেন। এমন ভাবনা থেকেই প্রযোজনায় এসেছি।

মায়ার জঞ্জালে যৌথ প্রযোজনায় কেন?

একটা ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণে যথেষ্ট পরিমাণ বাজেটের প্রয়োজন হয়, যা বাংলাদেশের ছোট মার্কেট থেকে তুলে আনা কঠিন। এক্ষেত্রে যৌথ প্রযোজনা হলে খরচটা ভাগ হয়ে যায়। দুই দেশের জনপ্রিয় ও ভালো শিল্পীদের সংযুক্ত করা যায়। কারিগরি সহায়তার আদান-প্রদানের পাশাপাশি বিপণনের সুবিধাও থাকে তাতে।

ধরুন, আপনি দুই কোটি টাকা একটি ছবিতে বিনিয়োগ করে বাংলাদেশ থেকে এক কোটি টাকা ওঠাতে পারলেন, বাকি এক কোটি টাকা লোকসান হল। এভাবে লোকসান দিয়ে আপনি পরবর্তী কাজ করতে পারবেন না। যৌথ প্রযোজনার ছবিতে দুই কোটি টাকা খরচ হলে অর্ধেক টাকায় আপনি একটি ভালো ছবি পেয়ে গেলেন। আর বাজারটাও বড় হল।

প্রযোজনা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা-ভাবনা আছে?

আমরা নিয়মিত প্রযোজনায় আছি। হাতেও অনেক প্রজেক্ট আছে। অতি সম্প্রতি আমরা একটা দুর্দান্ত প্রজেক্ট শেষ করেছি এবং একটা হাই-টিকেট ফেস্টিভ্যালের অফিসিয়াল সিলেকশন আশা করছি। খুব শিগগিরই এর ব্যাপারে আমরা বিস্তারিত তথ্য দিতে পারব। এছাড়া আরো কয়েকটা ছবি এখন ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে রয়েছে।

নির্মাতা জসিম আহমেদের কাছ থেকে দর্শক পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা কবে পাবে?

আমি নির্মাণের মধ্যেই আছি। প্রযোজনা তো আর নির্মাণের বাইরে নয়। একজন প্রযোজকের অনেক কাজ। ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে পরিবেশনা পর্যন্ত চাপ অনেক। এই চাপ মুক্ত না হলে পরিচালনা বা লেখায় মনোযোগ দেওয়া সহজ কাজ নয়। আগে চাপমুক্ত হই, তার পর পরিকল্পনা করব।

বাংলাদেশের সিনেমা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কম পৌঁছাছে বলে মনে করেন?

মোটেও না। আমাদের অনেক মেধাবী নির্মাতা-প্রযোজক আছেন। প্রতিবছরই আমাদের অনেক ছবি আন্তর্জাতিক ফেস্টিভ্যালে যাচ্ছে, প্রতিযোগিতা করছে, প্রশংসিত হচ্ছে এবং পুরস্কারও পাচ্ছে। আপাতত এই সংখ্যাটা অনেক বেশি না হলেও বিশ্ব সিনেমায় আমাদের অস্তিত্ব জানান দেওয়া যাচ্ছে। ওই যে বললাম না, নির্মাতাদের মধ্য থেকে যত বেশি প্রযোজক বাড়বে, এই সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।

দেশে সিনেমা হলের সংকটকে কীভাবে দেখেন?

এই সমস্যা সিনেমা নির্মাণের জন্য একটা বড় বাধা। তার চেয়ে বড় বাধা হল- সিঙ্গেল স্ক্রিন থেকে টাকার হিসাব না পাওয়া। এমনকি পরিবেশনার সামান্য যে খরচ হয়, সেই টাকাও সিঙ্গেল স্ক্রিন থেকে আসে না। তাহলে এসব হলে সিনেমা দিয়ে ছবি মুক্তির খবর আর ভুয়া সুপার হিটের তকমা লাগানোর উদ্দেশ্য কী?

তার চেয়ে এসব হলে ছবি না দেওয়াই ভালো, যেমনটি আমরা দিচ্ছি না। তার ওপর আছে পাইরেসির ভয়। হল সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে এগুলোকে একটা সিস্টেমে আনা দরকার। দিন শেষে সিনেমা তো একটা ব্যবসা, চ্যারিটি না।

চলচ্চিত্র হিসেবে মায়ার জঞ্জাল কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী ও আমার পরিকল্পনা ছিল- আমরা এমন একটা ছবি বানাব, যা বাংলা সিনেমার ব্র্যান্ড পারসেপশন বদলাতে সহায়ক হবে। এই পরিকল্পনায় যখন চিত্রনাট্যের প্রথম ড্রাফট হল, শুরুর দৃশ্য পড়েই আমি চমকে গেলাম। এভাবে দৃশ্যের পর দৃশ্য আমাকে অভিভূত করল।

সবাই জানেন, 'মায়ার জঞ্জাল' মানিক বন্দোপাধ্যায়ের দুটি ছোটগল্প থেকে অনুপ্রাণিত। সাধারণত আমরা কী দেখি? একাধিক গল্প নিয়ে সিনেমা তৈরি হলে একটার পর একটা গল্প বলার চেষ্টা হয়। এখানে দুটি গল্পকে সমান্তরালভাবে বলতে বলতে এক বিন্দুতে এনে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মিলিয়ে দেওয়াটা পরিকল্পনা করেই হয়েছে। অথচ মনে হবে এটা উদ্দেশ্যমূলক নয়, অ্যাক্সিডেন্টাল!

সত্যি বলতে প্রযোজকের কাজটাই তো হল ঠিকঠাক প্রজেক্ট নির্বাচন করতে পারা, আর সেই অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা। বাকিটা দর্শকই বুঝতে পারবেন যে, এই ছবিটা কেন গুরুত্বপূর্ণ।

মায়ার জঞ্জাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে, এখন প্রত্যাশা কী?

ছবিটির গল্প দেশভাগের সময়ের হলেও নির্মিত হয়েছে এখনকার প্রেক্ষাপটে। পরিচালক আমাদের এখনকার সমাজ বাস্তবতায় গল্প বলেছেন নিজের মতো করে, নিজস্ব চিত্রভাষায়। এমন ছবির আন্তর্জাতিক সাফল্য পাওয়া খুবই কঠিন ছিল। তবুও পেয়েছে ইউনিক গল্পকথন এবং নির্মাণশৈলীর কারণে।

কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য হবে বাংলাভাষী দর্শকদের ভালোবাসা পাওয়া, যা এখনো অধরা। আর তা পেয়েই আমরা পুরোপুরি খুশি হতে চাই।

চারবছর আগে বানানো সিনেমার মুক্তিতে দেরি কেন?

আমরা যখন সিনেমা শেষ করি বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হয়। লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পৃথিবীতে সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যায়। বাতিল হয় সমস্ত ফেস্টিভ্যাল। ২০২০ সালে প্রথম শ্রেণির ফেস্টিভ্যালের মধ্যে সাংহাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ও কার্লোভি ভেরি এই তিনটি উৎসব বিলম্বিত হলেও অনুষ্ঠিত হয়। এর দুটিতে আমাদের ছবি মনোনীত ও প্রদর্শিত হয়।

আমাদের দেশসহ পৃথিবী স্বাভাবিক হতে চলে যায় ২০২১ সাল পুরোটা। এরপর আমরা ছবি মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করি। যেহেতু  প্রথম থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল- আমরা অন্তত ভারত ও বাংলাদেশে একদিনে ছবি মুক্তি দেব। এজন্য দুই দেশে আমরা একই দিনে মুক্তির তারিখের অপেক্ষায় ছিলাম, যা আমরা পেয়েছি ২৪ ফেব্রুয়ারি।

জয়া-ঋত্বিক তো সফল জুটি, সেখানে ঋত্বিকের সঙ্গে কেন অপি করিম?

অবশ্যই জয়া আহসান দুই বাংলায় প্রচণ্ড জনপ্রিয় ও অপরিহার্য। বাংলা ছাড়িয়েও তিনি বলিউডে কাজ করছেন। ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরীর সঙ্গেও তিনি আগে একাধিক কাজ করেছেন। সোমা চরিত্রে পরিচালকের প্রথম পছন্দই অপি করিম ছিলেন। তিনি কেন সোমা চরিত্রে রাইট চয়েস ছবিটি দেখলেই বুঝতে পারবেন দর্শক।

আরেকটা কথা, অপি করিম অভিনয় থেকে দূরে যাননি। তিনি বেছে বেছে কাজ করেন বলে তার কাজের সংখ্যা হয়তো কম। আমার মনে হয়েছে- তিনি মানে বিশ্বাস করেন, সংখ্যায় নয়।

ভারতীয় কোনো শিল্পীকে মায়ার জঞ্জালের প্রচারে দেখা যাবে?

হ্যাঁ। সোমবার আমরা একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করছি। এতে কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী উপস্থিত থাকবেন। দেশের শিল্পীরা তো থাকবেনই।