নির্মাতা মাসউদ সুমনের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ধূসর যাত্রা’র উদ্বোধনী প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে; যে সিনেমায় এক হয়েছে মহামারী, মৃত্যুভয় আর নিয়তির পরিহাস।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উদ্বোধনী প্রদর্শনীর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
আলোচক হিসেবে থাকবেন চলচ্চিত্র গবেষক অনুপম হায়াৎ, চলচ্চিত্র নির্মাতা ফরিদুর রহমান, আবু সাইয়ীদ ও বাংলাদেশ শর্টফিল্ম ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান।
পরিচালনার পাশাপাশি ধূসর যাত্রার গল্প ও চিত্রনাট্যও লিখেছেন মাসউদ সুমন। তিনি গ্লিটজকে জানান, এ সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে একজন সোবহান মিয়াকে নিয়ে, পঁচিশ বছর আগে এক ছোঁয়াচে রোগে যার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছিল।
সংক্রমণের ভয়ে তার স্ত্রীকে দাফনের আগে গোসল দিতে কেউ এগিয়ে আসেনি সে সময়। স্ত্রীর প্রতি সোবহানের গভীর ভালোবাসা ছিল। দাফনের আগে স্ত্রীর শেষ গোসল না হওয়ার দুঃখ তাকে বয়ে বেড়াতে হয়েছে সারা জীবন।
সেই দুঃখবোধ থেকেই সোবহান মিয়া তার এলাকায় মৃতদের গোসল করানোর দায়িত্ব তুলে নেন নিজের কাঁধে। এভাবে কেটে যায় বহু বছর, দেশে আসে এক মহামারী, একের পর এক মৃত্যু।
আবারও সেই ছোঁয়াচে রোগের ভয়, লাশের গোসল দেওয়ার কাজে সোবহান মিয়া ছাড়া আর কাউকেই পাওয়া যায় না। সেই কাজ করতে হিয়ে সোবহান মিয়াও আক্রান্ত হলেন। নিয়তির পরিহাসে, তার শেষ গোসলের জন্য আর পাওয়া গেল না কাউকে।
নির্মাতার ভাষায় ‘এ যেন এক নির্মম ‘ধূসরযাত্রা’।
এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, আমিনুর রহমান মুকুল, স্বদেশ রঞ্জন দাশগুপ্ত, রিয়া চৌধুরী, জুলফিকার আলী বাবু, রুবেল শংকর বিশ্বাস, আবু বকর বকশী, ঠাণ্ডু রায়হান, আহসান হাবীব বিপু, শ্রেয়শ্রী সরকারসহ আরও অনেকে।
চিত্রগ্রহণে ছিলেন হিরা আজাদ, সম্পাদনায় সামির আহমেদ। শৈব তালুকদার কাজ করেছে শব্দ পরিকল্পনায়।