'হুব্বা' সিনেমার টিজারেই অ্যাকশন-উত্তেজনার ধোঁয়া তুলেছিলেন বাংলাদেশের অভিনেতা মোশাররফ করিম। এবার ট্রেইলারে মোশাররফ দেখালেন, অপরাধ জগতের অলিগলি, অন্দর আর সেই পথের পরতে পরতে অ্যাকশন কাকে বলে!
সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে সোশাল মিডিয়ায় এসেছে 'হুব্বা'র ট্রেইলার। নির্মাতা ব্রাত্য বসুর ‘হুব্বা’ দিয়ে আবারও কলকাতার সিনেমায় আসছেন মোশাররফ। সিনেমার প্রযোজনা সংস্থা হল ‘ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন’।
এর আগে ব্রাত্যর ‘ডিকশনারি’ সিনেমা দিয়ে কলকাতার সিনেমায় অভিষেক হয়েছিল মোশাররফের।
ট্রেইলারে কখনও দলবল নিয়ে বন্দুক হাতে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মোশারফ। কখনও নারীর সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন, কখনও আবার অপরাধ জগতের কাজকর্ম সামলাচ্ছেন। তার খোঁজ পেতে ঘুম হারাম হচ্ছে পুলিশের কর্তাদের। আর ধরে ফেলার পর মোশাররফের ওপরে চলছে পুলিশি কায়দায় নানা নির্যাতন।
পশ্চিমবঙ্গের কুখ্যাত গ্যাংস্টার ‘হুব্বা শ্যামলের’ জীবনকাহিনী হল এই সিনেমা গল্প। হুব্বা ছিলেন হুগলি জেলার গ্যাংস্টার, যাকে ডাকা হত হুগলির ‘দাউদ ইব্রাহিম’ নামে। এই 'হুব্বা' হয়েই পর্দায় আসছেন মোশাররফ।
খুন, মাদক, নারী পাচারের বহু অভিযোগে ‘হুব্বা শ্যামলের’ নামে অনেক মামলাও ছিল। অনেকবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেও ঠিকই জামিনে বেরিয়ে যেতেন এই গ্যাংস্টার।
এক সময়ে ভোটে দাঁড়াতে চান ‘হুব্বা শ্যামল’। এরপর ২০১১ সালে হঠাৎ তিনি নিখোঁজ হন। পরে হুগলির বৈদ্যবাটির খালে হুব্বা শ্যামলের মৃতদেহ ভেসে ওঠে।
সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন ব্রাত্যও বসু ও সুপ্রতিম সরকার দুজনে মিলে।
ব্রাত্য বসু বলেন," হুব্বার প্রায় তিরিশ বছরের জার্নি দেখানো হয়েছে। সিনেমায় গ্যাংস্টারের নির্মমতা এবং কৌতুক দুটোই আছে। "
কলকাতার আশপাশের এলাকা, দমদম, রাজারহাট এবং হুগলি, সব মিলিয়ে প্রায় ২৮ দিন শুটিং হয়েছে।
নাম ভূমিকায় মোশাররফ ছাড়াও সিনেমায় পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত এবং পৌলমী বসুসহ থিয়েটারের শিল্পীরা কাজ করেছেন বলে জানান এই নির্মাতা।
প্রযোজনা সংস্থা ‘ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন’র কর্ণধার ফিরদৌসল হাসান বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, ভালো সিনেমা তৈরি হয় শুধুমাত্র বড় পর্দার জন্যই। আমার প্রত্যাশা, মোশাররফ এখানে তার অভিনয় দক্ষতা মেলে ধরতে পেরেছেন।"