কিংবদন্তীর নায়িকা মেরিলিন মনরো হয়ে পর্দায় এসেছেন অনেকেই; এবার সেই ভূমিকায় কিউবান অভিনেত্রী আনা দে আরমাসকে সামনে আনল নেটফ্লিক্স।
মনরোর জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে নির্মিত সিনেমা ব্লন্ড এর ট্রেলারে দে আরমাস হাজির হয়েছেন চমক নিয়ে, সঙ্গে বিতর্কও আছে।
ব্লন্ড এর টিজারে মনরোর পোশাকে, আইকনিক সেইসব লুকে ‘নাইভস আউট’ তারকা দে আরমাসকে দেখে ভক্তরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ-এ যেন ঠিক মনরো!
কিন্তু মনরোর বলা বিখ্যাত সব ডায়লগ আওড়াতে গিয়ে সমালোচনাও কুড়াচ্ছেন এই কিউবান অভিনেত্রী। স্প্যানিশ উচ্চারণ নিয়ে অনেকেই তাকে বাক্যবাণে জর্জরিত করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভ্যারাইটি লিখেছে, জয়েস ক্যারল ওটসের বেস্টসেলিং উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন অ্যান্ড্রু ডমিনিক।
‘ব্লন্ড’কে বলা হচ্ছে এনসি-১৭। অর্থাৎ ১৭ বছরের কম বয়সীরা এ সিনেমা দেখতে পারবে না। ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে হবে এর প্রিমিয়ার।
সিনেমায় আসার আগে মেরিলিন মনরোর নাম ছিল নরমা জিন। ফ্যাশন, সৌন্দর্য্য এবং খোলামেলা পোশাকে পঞ্চাশের দশকে হলিউডে ঝড় তোলা এই নায়িকার জীবনে যবনিকা নেমেছিল মাত্র ৩৪ বছর বয়সে। তার অস্থির আর রোমান্টিক সেই জীবন দেখানো হয়েছে ব্লন্ডে।
আনা দে আরমাস এর আগে বলেছিলেন, মনরোতে মিশে যেতে তার শতশত ছবি দেখতে হয়েছে। দেখেছেন মনরোর সিনেমা, শুনতে হয়েছে তার বিভিন্ন অডিও।
এই কিউবা অভিনেত্রী মনে করেন খ্যাতিই মনরোকে দৃশ্যমান করেছে, আর এর সাথে সাথে হারিয়ে গেছে নরমা জিন।
দে আরমাসের ভাষায়, মনরোর জীবনের মানবিক দিকটি সিনেমায় ফুঁটিয়ে তোলার চেষ্টা ছিল তার; চেষ্টা ছিল নরমা জিনকে যেন দর্শকরা অনুভব করতে পারে।
ব্লন্ড সিনেমায় মনরোর প্রেমিকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ববি কানাভ্যাল, আর মনরোর স্বামী আর্থার মিলারের চরিত্রে দেখা যাবে আড্রিয়ান ব্রডিকে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাচ্ছে ব্লন্ড।
কান ফিল্ম ফেস্টিভালের প্রধান থিয়েরি ফ্রেমো বলেছেন, তার ইচ্ছে ছিল এ সিনেমাকে উৎসবে জায়গা দেওয়ার, কিন্তু স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সের সঙ্গে আপসে যাওয়া সম্ভব হয়নি। কানের নিয়ম হল, এ উৎসবে আসতে হলে সিনেমাটি ফ্রান্সে মুক্তি দিতে হবে।