স্বভাব নেতা আমিরা তুমুল আত্মবিশ্বাসী এক শিশু; বেশিরভাগ সময় সে ক্র্যাচে ভর দিয়ে ঘুরে বেড়ায়, অন্য সময় হুইলচেয়ার ব্যবহার করে।
Published : 22 Feb 2024, 12:45 PM
শুরু হচ্ছে সিসিমপুরের নতুন মৌসুম, সিজন-১৬। নতুন এ মৌসুমে হালুম, টুকটুকি, ইকরি, শিকু ও জুলিয়া হাজির হবে নতুন নতুন গল্প নিয়ে; তাদের সঙ্গে যুক্ত হবে নতুন আরেক চরিত্র আমিরা।
সিসিমপুরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমিরা চরিত্রটি তাদের বিশেষ সংযোজন। সে একজন স্বভাবজাত নেতা এবং তুমুল আত্মবিশ্বাসী একজন শিশু। বেশিরভাগ সময় সে ক্র্যাচে ভর দিয়ে ঘুরে বেড়ায়, অন্য সময় হুইলচেয়ার ব্যবহার করে।
ইউএসএআইডি বাংলাদেশ-এর আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত নতুন এই সিজনের স্লোগান- ‘পনেরো শেষে ষোলো আসে, থাকব সবাই সবার পাশে’। সিজন-১৬ এর পর্বগুলো দেখা যাবে আরটিভি, দুরন্ত টেলিভিশন এবং মাছরাঙা টেলিভিশনের পর্দায়।
সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া- এ দুটো বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হয়েছে সিসিমপুরের ষোড়শ মৌসুম। মজার মজার গল্পে প্রাক-গণিত, প্রাক-পঠন, অটিজম, পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব, বিশ্লেষণী চিন্তা-ভাবনা, জেন্ডার বিষয়ক প্রচলিত সংস্কারকে জয় করা এবং ভিন্ন ভিন্ন ভাবপ্রকাশের উপায়কে সম্মান দেখানোর মত বিষয়গুলোকে তুলে ধরা হয়েছে।
এবারও গণিত, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বিজ্ঞান নিয়ে দারুণ সব এনিমেশন থাকছে। শিশুদের নিয়ে থাকছে লাইভ অ্যাকশন ফিল্ম। এছাড়া ‘ইকরির সাথে বর্ণ চেনা’ এবং ‘টুকটুকির সাথে সংখ্যা চেনা’র প্রতিটি পর্বে ইকরি একটি করে বর্ণ এবং টুকটুকি একটি করে সংখ্যা চেনাবে।
ষোড়শ সিজনের পর্বগুলো ‘বর্ণনামূলক’, ‘টুকটুকির বানিয়ে খেলি’ এবং ‘হালুমের তুমিও পারো’ এই তিন ধরনের ফরমেটে তৈরি। ‘বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কিছু’ পর্বে ব্যবহার করা হয়েছে ইশারা ভাষা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ ও ইউএসএআইডি’র মিশন ডিরেক্টর রিড এশলিম্যান গত মঙ্গলবার সিসিমপুরের সিজন-১৬ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ।
তেজগাঁওয়ের বেঙ্গল স্টুডিও মিলনায়তনে উদ্বোধনী আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএসএআইডি/বাংলাদেশ-এর ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর র্যান্ডি আলী, শিক্ষা অফিস পরিচালক সোনিয়া রেনল্ডস কুপার, এশিয়াটিকের কো-চেয়ারম্যান সারা যাকের, বিটিভির পরিচালক জগদীশ এষ, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান এবং ‘ইউএসএআইডি সিসিমপুর’ প্রজেক্টের চিফ অফ পার্টি মোহাম্মদ শাহ আলম।
ইউএসএআইডির আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত ‘সিসিমপুর’ ২০০৫ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক শিশু বিকাশ কার্যক্রমের আওতায় ‘সর্বত্র শিশুরা হয়ে উঠুক আরও সম্পন্ন, আরও সবল এবং আরও সদয়’ এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারে সহায়তা করছে ‘মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ এবং বিদ্যালয়ভিত্তিক কার্যক্রমে সহায়তা করছে ‘প্রথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়’।