হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে টেইলর সুইফটের দেহরক্ষী

যুদ্ধে যাওয়া টেইলর সুইফটের নিরাপত্তাকর্মী বলেন, হামাসের আক্রমণের পর ইসরায়েলের মানুষের দুর্দশা দেখে তার পক্ষে দূরে থাকা আর সম্ভব নয়, তাই কাজ ছেড়ে মাতৃভূমিতে এসে অস্ত্র হাতে যুদ্ধে নেমেছেন।

গাজাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসলারেল, চলছে বোমাবর্ষণ, মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এরই মধ্যে এ যুদ্ধে হামাস নির্মূলের প্রত্যয় নিয়ে মাতৃভূমি ইসরায়েলে ফিরে যুদ্ধে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পপ তারকা টেইলর সুইফটের এক নিরাপত্তাকর্মী।

ভ্যারাইটি ম্যাগাজিনের বরাত দিয়ে এনডিটিভি লিখেছে, ইসরায়েলের সাংবাদিন এরান সুইসা প্রথম এই যুবকের খবর প্রকাশ্যে আনেন।

ইসরায়েলের কিবুতজ এলাকায় জন্ম নেওয়া ওই যুবকের নাম প্রকাশ করেনি কোনো সংবাদমাধ্যম। কয়েক কছর আগে জীবিকার সন্ধানে দেশ ছেড়ে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। শুরুতে একাজ সেকাজ করে দিন কাটালেও একসময় টেইলর সুইফটের নিরাপত্তা দলে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি শিল্পীর ষষ্ঠ ওয়ার্ল্ড ট্যুর 'দ্য ইরাস ট্যুর’ এর সঙ্গে ছিলেন।

যুদ্ধে যাওয়া যুবক বলেছেন, আমেরিকায় তার জীবন সুখেরই ছিল। ভালো চাকরি, সুইফটের সঙ্গে কাজের রোমাঞ্চকর সব অভিজ্ঞতা, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গ, কোনোদিকেই খামতি ছিল না।

কিন্তু হামাসের আক্রমণের পর দেশের মানুষের দুর্দশা দেখে তার পক্ষে দূরে থাকা আর সম্ভব নয়। তাই কাজ ছেড়ে ইসরায়েলে এসে অস্ত্র হাতে যুদ্ধে নেমেছেন।

ওই যুবক বলেন, “গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের প্রথম হামলার পরই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি। এরপর দেশে ফিরে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ-এ যোগ দিয়েছি আমি। আমার দেশে ফেরার দরকার ছিল না। কিন্তু নিরীহ বেসামরিক মানুষগুলোকে মরতে দেখে আর থাকতে পারিনি।“

দেশবাসীকে যোদ্ধাদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সুইফটের সাবেক নিরাপত্তা কর্মী।

গত ৭ অক্টোবর ভোরে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা আকস্মিক এক হামলায় ইসরায়েলকে হতবিহ্বল করে দেয়। তাদের ওই নজিরবিহীন হামলায় ইসরায়েলের অন্তত ১৩০০ জন নিহত হন। হামাসের যোদ্ধারা প্রায় ২০০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। 

এরপর থেকে গাজায় ভয়াবহ বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তারা হামাসকে নির্মূল করার প্রত্যয় জানিয়েছে। এর মধ্যে গাজায় হাসপাতালে বোমা হামলার পর সেখানে নিহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চলমান সংঘাতের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের গাজার উত্তরাংশ ছেড়ে দক্ষিণে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। এরইমধ্যে ৫ লাখের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে সরে গেছে দক্ষিণে।