রুপালি-কালো সান্ধ্যপোশাকটির ওপরের অংশ দিয়ে মাথার অর্ধেক ঢেকেছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই, আর নিচের অংশের ঝুলটা ছিল অনেকখানি, ছবি তোলার সময় যে অংশটি ধরে রেখেছিলেন একজন। আর এই ছবিটি দেখে ভারতীয় সিনেমা নির্মাতা বিবেক অগ্নিহোত্রী সমালোচনা করে বলেছেন, পোশাক সামলানোর চাকরবৃত্তির মনোভাব দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে।
ইনডিয়া টুডে জানিয়েছে, কান চলচ্চিত্রের ৭৬তম উৎসবে ঐশ্বরিয়াকে ওই অবস্থায় পাওয়া যায়, যা নজর কাড়ে আলোকচিত্রীসহ উপস্থিতদের।
কানে হলিউডের সিনেমা ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স’ সিরিজের পঞ্চম ও শেষ সিনেমা ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য ডায়াল অব ডেসটিনি’র প্রিমিয়ার শোতে ওই পোশাকটি পরে যান ঐশ্বরিয়া।
২০০২ সাল থেকে কানে বলিউডের এই নায়িকার পদচারণা। সাজপোশাক নিয়ে বরাবরই ‘চমক’ দেখান তিনি। এর আগেও একবার বেগুনি রঙয়ের লিপস্টিকে ঠোঁট রাঙিয়ে এবং মৎস্য কন্যার মত পোশাক পরে বিদ্রুপের শিকার হয়েছিলেন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী।
এবারে কালো ও সোনালী রঙের ‘হুডেড গাউনে’ ঐশ্বরিয়া রাইয়ের ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে ট্রলের শিকার হচ্ছেন এই নায়িকা; চুপ থাকতে পারেননি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীও।
টুইটে অগ্নিহোত্রী লিখেছেন, “আপনারা কেউ কি ‘কস্টিউম স্লেভস’এর কথা শুনেছেন? সাধারণত মহিলারাই এই পেশায় থাকেন, এ ক্ষেত্রে অবশ্য একজন পুরুষ রয়েছেন। ভারতেও প্রায় সব নারী তারকার সঙ্গে তাদেরকে এখন দেখা যায়। আমরা কেন এ রকম নির্বোধ ও নিপীড়ক হয়ে যাচ্ছি? শুধুমাত্র এই ধরনের অস্বস্তিকর পোশাক পরব বলে?”
বিবেক অগ্নিহোত্রীর এই কথায় চটে গিয়ে বলিউডের অভিনেত্রী উরফি জাভেদ পাল্টা টুইটে জানতে চেয়েছেন, এই পরিচালক কোন ফ্যাশন স্কুল থেকে ডিগ্রি নিয়েছেন?
উরফির ভাষ্য, ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ফ্যাশন’ সিনেমার পরিচালক হওয়া উচিত ছিল বিবেক অগ্নিহোত্রীর।
এরপর অগ্নিহোত্রী ফের টুইট করেন। তাতে লেখেন, ‘ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে নিয়ে আমি কিছু বলছি না। আমার প্রশ্ন ‘পোশাক সামলানোর চাকরবৃত্তি’র এই অদ্ভুত ধারণাটা নিয়ে। ঐশ্বরিয়া এর জন্য দায়ী নন, তিনি তো নিছক মডেল বা প্রচার দূত।“