বিয়ের দাবি নিয়ে সালমানের বাড়িতে, পুলিশের সন্দেহে সেই তরুণী

বলিউড নায়ক সালমান খানকে হত্যার নতুন পরিকল্পনা বেরিয়ে এসেছে মাত্র কদিন হল, এর মধ্যে তার খামারবাড়ির সামনে থেকে এক তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ। সেই তরুণীর দাবি, সালমানকে বিয়ে করার ইচ্ছা নিয়ে তিনি সেখানে হাজির হয়েছিলেন।

পিংকভিলা বলছে, সালমানের খুনের পরিকল্পনার তদন্তের সঙ্গে এই তরুণীর আবির্ভাবের বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ভারতের এই সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, সালমানের খামারবাড়ি পানভেলের সামনে গত মাসের শেষ দিকে ওই তরুণীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি নাকি ভাইজানকে বিয়ে করার পণ করেছেন।

বিয়ের দাবিতে অটল ওই তরুণী এক পর্যায়ে পানভেলের মূল ফটকের সামনে বসে পড়েন। অনেক চেষ্টার পরও তাকে পানভেলের সামনে থেকে সরাতে পারেননি স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে ওই তরুণীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

মেয়েটির নাম প্রকাশ না করে পানভেল তালুক থানার পুলিশ বলেছে, ২৪ বছর বয়সী ওই তরুণীর বাড়ি দিল্লিতে। তাকে সোশ্যাল অ্যান্ড ইভাঞ্জেলিকা অ্যাসোসিয়েশন ফর লাভ (সিল) নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

ওই সংগঠন থেকে সংবাদমাধ্যমকে বলা হয়েছে, তাদের হেফাজতে থাকা তরুণীর সঙ্গে প্রথম দিকে কোনো কথাই বলা যাচ্ছিল না। সালমানকে বিয়ে করতে চাওয়ার কথাই তিনি ক্রমাগত বলে যাচ্ছিলেন।নিজিকে দাবি করছিলেন সালমানের ‘অন্ধ ভক্ত’ হিসেবে। সালমানের দাতব্য সংস্থা ‘বিয়িং সালমান’-এর সমর্থক বলেও তিনি দাবি করছিলেন।

কয়েকদিনের চিকিৎসায় একটু শান্ত হলে ওই তরুণীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় সোশ্যাল অ্যান্ড ইভাঞ্জেলিকা অ্যাসোসিয়েশন ফর লাভ। কিন্তু মুম্বাই পুলিশ এখন অন্য সন্দেহ করছে।

ওই তরুণীর আবির্ভাবের সঙ্গে সালমানকে খুনের পরিকল্পনার কোনো যোগসূত্র আছে কি না, পুলিশ এখন তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। ওই তরুণী নিছকই সালমানের ভক্ত, নাকি তার পেছনে অন্য কেউ আছে– সেসও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

পাকিস্তানি অস্ত্রে সালমানকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল বিষ্ণোইয়ের

সালমানের বাড়ির সামনে গুলি, গ্রেপ্তার ২

এবার হুমকি নয়, সালমানের বাড়ির সামনে গুলি

বলিউডের এ অভিনেতাকে হত্যার নতুন ছকের তথ্য উঠে আসে গত শনিবার। গত এপ্রিলে সালমানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গুলির পর সেই ঘটনার দায় স্বীকার করে নতুন পরিকল্পনা আঁটেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। এবার সালমানকে পানভেলে তার খামারবাড়িতে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

খুনিদের ছক ছিল সালমানের গাড়িতে হামলা চালানো এবং তার খামারবাড়িতে হামলা চালিয়ে সম্পূর্ণ তছনছ করে দেওয়া।

মুম্বাই পুলিশ বলছে, সালমানকে হত্যার এই পরিকল্পনায় ৬০ থেকে ৭০ জন সদস্যকে বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে শুটার হিসেবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাজে লাগানোর কথা ভাবা হয়।

এ ‘অপারেশনের’ জন্য লরেন্স বিষ্ণোইয়ের চাচাত ভাই আনমোল বিষ্ণোই এবং গোল্ডি ব্রার, একে-৪৭, এম-১৬, একে-৯২ সহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র কিনেছিল ডোগার নামে পরিচিতি এক পাকিস্তানি ডিলারের কাছ থেকে।

পুলিশ তদন্ত করে জেনেছে, হত্যাকারীরা পরিকল্পনা ঝালিয়ে নিতে পানভেলে বাসস্ট্যান্ড এবং রেলস্টেশনে কয়েকদফা গোপন বৈঠক করে। সেসব বৈঠকে সালমানকে হত্যার পর খুনিদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার কথাবার্তাও আলোচনা হয়। জেলে বসে পুরো পরিকল্পনার তত্ত্বাবধান করছিলেন লরেন্স বিষ্ণোই।