ঢাকাই সিনেমায় নাম পরিবর্তনের ধারাটি শুরু হয়েছে ষাটের দশকে। সাধারণ পরিবারের মিনা পাল চলচ্চিত্রে পরিচিত হয়ে ওঠেন কবরী নামে। স্বনামে চলচ্চিত্রে অভিষেক হলেও আফরোজা সুলতানা রত্না নায়িকা হিসেবে প্রথম সিনেমাতে হাজির হন শাবানা নামে। ষাটের দশকে ফরিদা আখতার পপি হয়েছেন ববিতা, ঝর্ণা বসাক হয়েছেন শবনম। এর পরে রওশন আরা রেণু থেকে রোজিনা, ফারহানা আমির রত্না হয়েছেন নূতন।
একই নামে আরও কয়েকজন তারকা থাকায় পরিবারিক নাম বদলাতে এক রকম বাধ্যই হন তিনি। নবাগতা এই নায়িকার দুটি সিনেমা একসঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে। শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে তার ‘কখনও ভুলে যেও না’ সিনেমাটি। এটি পরিচালনা করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান বাবু। এর পরের সপ্তাহে মুক্তি পাচ্ছে ‘আগে যদি জানতাম তুই হবি পর’ সিনেমাটি। এটি পরিচালনা করেছেন মনতাজুর রহমান আকবর।
‘কখনও ভুলে যেও না’- সিনেমার কলাকুলশীদের নিয়ে পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর এক অনাড়ম্বর আড্ডার আয়োজন করেন ঢাকার এক রেস্তোরাঁয়। সেখানেই জানা গেল, পুষ্পিতা পুষ্পির পারিবারিক নাম তানিয়া সুলতানা পপি।
পুষ্পিতা বললেন, নায়িকা পপির সঙ্গে মিলে যাওয়ায় পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর তার নাম রাখেন পুষ্পিতা। তানিয়া সুলতানা পপি থেকে তখন তিনি হয়ে গেলেন পুষ্পিতা তানিয়া। পরে তানিয়া নামেও বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী থাকায় আবারও নাম পরিবর্তন করতে হল।
প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় মোটেই সোজা ছিল না বলে জানান পুষ্পিতা। পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবরের নতুন নায়িকাকে নিয়ে বেশ খাঁটুনিই গেছে বলে জানা গেল।
“সিনেমাতে নতুন, তাই আমি তেমন কিছু জানি না। অভিনয়, ক্যামেরা, সংলাপ ছাড়াও সিনেমার যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পরিচালক আমাকে হাতে কলমে শিখিয়েছেন।”
মোস্তাফিজুর রহমান বাবু পরিচালিত ‘কখনো ভুলে যেও না’ সিনেমাতে পুষ্পিতার বিপরীতে রয়েছেন ইমন।
পুষ্পিতা এখন মনতাজুর রহমান আকবরের ‘তোমাকে ভালোবেসে আমি দিওয়ানা’ এবং নাজমুল রনির ‘প্রেম হতে পারে’ সিনেমার শুটিং করছেন।
ছবি: তানজিল আহমেদ জনি।