যে ঈদের অপেক্ষায় ছিলেন তিন কন্যা

পাঁচ বছরের বেশি সময় পর এবার একসঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘তিন কন্যা’ কোহিনূর আক্তার সুচন্দা, ফরিদা আক্তার পপি ববিতা ও গুলশান আরা আক্তার চম্পা।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2022, 05:44 AM
Updated : 3 May 2022, 05:44 AM

শৈশব-কৈশোর পেরিয়ে চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও একসঙ্গে বহু ঈদ উদযাপন করেছেন তারকা তিন বোন; মাঝে ঈদের সময় তিন জনের কেউ না কেউ দেশের বাইরে থাকায় তা সম্ভবপর হয়নি বলে জানালেন সুচন্দা।

সুচন্দা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তার ছোট মেয়ে লিসা মালিকের বনানীর বাসায় ঈদের পরদিন তিন বোন, ভাইয়ের স্ত্রী, তাদের সন্তান, নাতি-নাতনিদের নিয়ে পুনর্মিলনীর আয়োজন থাকছে।

“গত পাঁচ বছরেও বেশি সময় ধরে ঈদের এভাবে একত্র হওয়া হয়নি আমাদের। কেউ না কেউ বাইরে থাকে, মনটা খারাপ হয়ে যায়। একসঙ্গে ঈদটা কাটাতে পারি না।

“মাঝে করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর ঘরবন্দি ছিলাম, ঈদে আনন্দ ছিল না। সেটা কাটিয়ে নতুনভাবে সবকিছু ফিরে আসছে। সবাই মিলে আনন্দে দিনটি কাটানোর পরিকল্পনা সাজিয়েছি।”

ইতোমধ্যে পুরো আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা; কে কী পোশাক পরবেন তা নিয়েও প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন।

এ ধরনের আয়োজনে তিন জনই বাসা থেকে সবার জন্য পছন্দের পদ রান্না করে নিয়ে আসেন। সুচন্দার কোরমা, চম্পার চাইনিজ খাবার আর ববিতা হাতের গরুর মাংসের পদ বরাবরই প্রশংসা কুড়িয়েছে পরিবারের সদস্যদের মাঝে।

আয়োজনে কী কী থাকবে-তাও সাজিয়ে নিয়েছেন তিন বোন মিলে; পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আড্ডা জমাতে মুখিয়ে আছেন তারা।

কথায় কথায় যশোরের সেই শৈশবের দিনগুলোতে ফিরলেন সুচন্দা; বললেন, “সবাই ছোট ছিল, একই বাড়িতে থাকলেও ঈদের আগে কেউ কারও জামা দেখতে পেতাম না, লুকিয়ে রাখতাম। আমি কী পরব, কীভাবে সাজব-সেটা আমাদের কাছে বিরাট ব্যাপার ছিল।”

 কয়েক মাস আগে ‍সুচন্দার হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়েছে; তার শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় ভালো। ববিতা কানাডা থেকে মাস খানেক আগে দেশে ফিরেছেন; চম্পা কয়েক বছর ধরেই ঢাকায় আছেন।

সুচন্দা ও ববিতাকে অভিনয়ে এখন আর দেখা না গেলেও চম্পাকে দেখা যায়। এবার ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘শান’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এর আগে ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমায় কাজ করেছেন চম্পা।

১৯৮৫ সালে তিন বোন সূচন্দা, ববিতা ও চম্পাকে নিয়ে পরিচালক শিবলি সাদিক ‘তিন কন্যা’ চলচ্চিত্র নির্মাণের পর থেকে তারা ‘তিন কন্যা’ হিসেবে পরিচিতি পান।