রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে তার মৃত্যু হয় বলে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “কয়েক সপ্তাহ ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন হাসান আরিফ। আজ দুপুরে সব শেষ হয়ে গেল।”
গত বছরের ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল হাসান আরিফকে। লম্বা সময় ধরে চলা চিকিৎসায় শরীরে অক্সিজেন জটিলতার কারণে বেশ কয়েকবারই তার অবস্থা সংকটাপন্ন হয়। সেখান থেকে তার আর বাসায় ফেরা হয়নি।
এই আবৃত্তিশিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাসপাতালেই মরদেহের গোসল করানো হয়েছে। রাতে হিমঘরে রাখা হবে মরদেহ।
“কাল সকাল ৯টায় কফিন ধানমণ্ডির বাসায় নেওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে বেলা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে মরদেহ।”
বাচ্চু জানান, হাসান আরিফ মরণোত্তর দেহদান করে গেছেন। শহীদ মিনার থেকে তার কফিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হবে। সেখানে আরেক দফা জানাজা শেষে নেওয়া হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। বেলা ৩টায় সেখানে মরদেহ হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সারা হবে।
১৯৬৫ সালের ৮ ডিসেম্বর কুমিল্লার সাহেব বাড়িতে জন্ম নেওয়া হাসান আরিফ আবৃত্তি চর্চায় যুক্ত হন আশির দশকে। বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন।
দেশে আবৃত্তিচর্চার বুনিয়াদ গঠন এবং প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনগুলোতে হাসান আরিফের ছিলেন সক্রিয়।