হাসপাতাল ছাড়লেন সংগীতশিল্পী মাহবুবা রহমান

স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এক হাসপাতালে দুই সপ্তাহ চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরলেন বাংলা সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ চলচ্চিত্রের সংগীতশিল্পী মাহবুবা রহমান।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2021, 12:53 PM
Updated : 2 Dec 2021, 12:53 PM

পঞ্চাশ থেকে সত্তর দশকের এ সংগীতশিল্পীকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান তার মেয়ে রোমানা ইসলাম।

রোমানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর ১৮ নভেম্বর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

৮৬ বছর বয়সী এ সংগীতশিল্পী স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন।

পঞ্চাশের দশকে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম বাংলা সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ চলচ্চিত্রে ‘মনের বনে দোলা লাগে’ গানে কণ্ঠ দেন মাহবুবা রহমান। গানটির সংগীত পরিচালনা করেছেন সমর দাস।

পরে ফতেহ লোহানীর ‘আসিয়া’ সিনেমায় ‘আমার গলার হার খুলে নে ওগো ললিতে’ গানে কণ্ঠ দিয়ে খ্যাতি পান তিনি।

‘আমার যদি থাকত পাখির ডানা’, ‘আমার না বলা কথা’, ‘সোনালী এই ধানের ক্ষেতে’, ‘আগে জানি নারে দয়াল’, ‘তুমি দাও দেখা দরদী’, ‘আমার বন্ধু বিনোদিয়া’, ‘আজকে আমার মালঞ্চে ফুল ফোটে নাই’, ‘আমার মন ভালো নাগো প্রাণ ভালো নাগো’সহ অসংখ্য গানে কণ্ঠের মায়াজাল ছড়িয়েছেন এ শিল্পী।

‘জাগো হুয়া সাভেরা’, ‘আসিয়া’, ‘এ দেশ তোমার আমার’, ‘যে নদী মরুপথে’, ‘কখনো আসেনি’, ‘সূর্যস্নান’, ‘সোনার কাজল’, ‘রাজা সন্ত্রাসী’; ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা,; ‘সাত ভাই চম্পা’র মতো সিনেমায় প্লেব্যাক করেছেন তিনি।

কয়েক দশক ধরেই সংগীতের বাইরে আছেন এ সংগীত শিল্পী।

১৯৩৫ সালের ১ মার্চ চট্টগ্রামের লালদিঘির পাড়ে জন্ম নেওয়া শিল্পী পরে ঢাকায় স্থায়ী হয়েছেন। রাজধানীর বড় মগবাজারে মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে বাস করেন তিনি।

মাহবুবা রহমান চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব খান আতাউর রহমানের প্রথম স্ত্রী। তাদের মেয়ে রোমানা ইসলামও একজন কণ্ঠশিল্পী।