আইএমডিবিতে ‘গডফাদারকেও’ ছাড়িয়ে ‘জয়ভীম’

‘দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন’ আর ‘দ্য গডফাদারের’ মত সিনেমাকে ছাড়িয়ে ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেইজ-আইএমডিবির দর্শক রেটিংয়ের শীর্ষে পৌঁছে গেছে দলিত সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে নির্মিত তামিল ভাষার চলচ্চিত্র ‘জয় ভীম’।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2021, 06:36 AM
Updated : 17 Nov 2021, 06:36 AM

এক  প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, আইএমডিবির ইউজার রেটিংয়ে সেরা এক হাজার সিনেমার তালিকায় ৯ দশমিক ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে চলতি বছর মুক্তি পাওয়া এ সিনেমা।

আইএমডিবির নিজস্ব রেটিংয়ে দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখা ক্লাসিক সিনেমা দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন ইউজার রেটিংয়ে ৯ দশমিক ৩ পয়েন্ট নিয়ে এখন জয় ভীমের পেছনে। 

দর্শকদের বিচারে তার পরেই রয়েছে মাফিয়া আখ্যান দ্য গডফাদার, ১৯৭২ সালের এ সিনেমার ইউজার রেটিং ৯ দশমিক ২।

বিবিসি লিখেছে, এটা স্পষ্ট যে দর্শক এখন নতুন দিনের সিনেমা দেখছে। তবে কোনো সিনেমা হলে প্রদর্শন না হওয়ায় জনপ্রিয়তার মাপকাঠি বিবেচনার বক্স অফিসের তালিকায় নেই জয় ভীম।

পুলিশ হেফাজতে থাকা স্বামীকে নিখোঁজ ঘোষণার পর আদিবাসী এক অন্তঃস্বত্ত্বা নারীর করা মামলা নিয়ে এক আইনজীবীর লড়াইয়ের ‘সত্য ঘটনার’ ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে এ সিনেমা। নির্মাতা টিজে জ্ঞানভেলের এ চলচ্চিত্রে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তামিল তারকা অভিনেতা সুরিয়া।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন তামিল সিনেমাগুলোতে তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতারা দলিত সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন নির্যাতনের নানা গল্প তুলে ধরছেন।

চলচ্চিত্র ইতিহাসবিদ এস থিওডোর বাসকারান বলেন,  তামিল নাডুতে গত ৩০ বছর ধরে দলিত সম্প্রদায়ের আন্দোলন দানা বেঁধে উঠছে, যার শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সালে বি আর আম্বেদকরের জন্মশতবর্ষ উদযাপনের মধ্য দিয়ে।

দলিত নেতা ও বুদ্ধিজীবী বি আর আম্বেদকারের অনুসারীদের মাধ্যমে জয় ভীম বা ‘ভীম দীর্ঘজীবী হোক’ স্লোগানটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। তিনি ছিলেন ভারতের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান এবং দেশটির প্রথম আইনমন্ত্রী।

বিবিসি লিখেছে, ভারতের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ দলিত সম্প্রদায়ের এবং তাদের রক্ষায় আইন থাকলেও নিম্ন বর্ণের এই হিন্দুরা ধারাবাহিকভাবে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।