দেশের প্রথম নারী সার্ফার নাসিমার জীবনের গল্পে নির্মিত এ চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই গত বছরের নভেম্বরে তার বড়পর্দায় অভিষেক ঘটে।
জীবনের প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই সেরা অভিনেত্রীর সম্মান পাওয়ার কথা এখনও ‘বিশ্বাস হচ্ছে না’ বলে জানালেন এ নবীন অভিনেত্রী।
বৃহস্পতিবার বিকালে তথ্য মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করার পর সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “অনেকেই আমাকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে, আমি পুরস্কারটি পেয়েছি। আমি প্রজ্ঞাপনটি এখনও দেখিনি। দেখার পর বিশ্বাস করতে পারব।”
সুনেরাহ বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়, তিন বছর বয়স থেকে ললিতকলা একাডেমিতে নাচ শিখেছেন তিনি। পড়াশোনা করেছেন রাজধানী উত্তরার স্কলাসটিকা স্কুলে।
স্কুলজীবনেই বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত নৃত্যশিল্পী ছিলেন। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ফ্যাশন মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগে একটি পোশাকের ব্র্যান্ডের বিলবোর্ডে দেখা গেছে তাকে; কাজ করেছেন বেশ কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতে।
সংগীতশিল্পী প্রীতমের ‘রাজকুমার’ মিউজিক ভিডিওতে সুনেরাহকে দেখে ‘ন ডরাই’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন পরিচালক তানিম রহমান অংশু।
‘ন ডরাই’ চলচ্চিত্রে সুনেরাহর অভিনয় দর্শকমহলে বেশ প্রশংসিত হয়; তিনি উঠে আসেন প্রাদপ্রদীপের আলোয়। তারপর বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের প্রস্তাব পেলেও তিনি পা ফেলতে চান বুঝে-শুনে।
দেশে এর আগে প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই সেরা অভিনয়শিল্পীর পুরস্কার পেয়েছেন কাজী মারুফ ও সিমলা।
কাজী হায়াতের পরিচালনায় ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইতিহাস’ ছবিতে অভিনয় করে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন মারুফ।
পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনের পরিচালনায় ১৯৯৯ সালে ‘ম্যাডাম ফুলি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে অভিষেকেই সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন সিমলা।