নাটকটি লিখেছেন নাসরীন মুস্তাফা, নির্দেশনা দিয়েছেন আইরিন পারভীন লোপা
নাটকটির গল্প বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে হলেও এমন কিছু আছে যা কেউ দেখেনি আগে। এতে দেখা যাবে এমন এক দৃশ্যপট যেকানে এক বন্ধ ঘরে বন্দী দেখা পেয়েছিল এক বাঘের। মাটির নিচের বন্ধ ঘর, সেখানে বাঘের গর্জন শুনতে পায় সে, টের পায় অদৃশ্যে বাঘটার রাজকীয় চলন। ধাঁধা জাগে মনে, জানতে চায় বাঘ-রহস্যের সবটুকু।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহিদ হলেন বঙ্গবন্ধু আর তাঁর সেই বাঘটির ঠাঁই হয়েছিল ঢাকা চিড়িয়াখানার মাটির নিচের এক বদ্ধ কারাগারে। বছরের পর বছর অবর্ণনীয় কষ্ট সইতে হয়েছিল বাঘটিকে। কেননা, বাঘটি ছিল বঙ্গবন্ধুর বাঘ।
বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার একদা চলমান প্রচেষ্টার সময়কালীন গল্প এটি। বন্দী আর বাঘের গল্পটার শুরু তখন, যখন এই দেশে বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়া ছিল নিষিদ্ধ। আইন করে বন্ধ করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার। ধ্বংস করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি, বঙ্গবন্ধুর সাথে সম্পর্কিত যা কিছু। লিখিত দলিল ধ্বংস হয়েছে দেদারসে, তাই সত্যিকারের বাঘটার মতোই দেখা মেলে না কাগজে কলমে অনেক কিছুরই।
নাটকটির গানের কথা ও সুর করেছেন ঋত্বিক নাট্যপ্রাণ লিয়াকত আলী লাকী।