দশ হাজারেরও বেশি শিশু নিয়ে সর্ববৃহৎ নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশন’র যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শিশুদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব।

‘চতুর্দশ জাতীয় শিশু-কিশোর নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব ২০১৯’ শীর্ষক এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করবে ৬৪ জেলার সাংস্কৃতিক দল এবং ৯৪টি শিশু নাট্য সংগঠনের দশ হাজারেরও বেশি শিশু।

আগামী ২০-২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এ উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরতে বুধবার বিকাল ৫টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা সেমিনার কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরেন উৎসব আহ্বায়ক লিয়াকত আলী লাকী।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে উৎসব সংগীত পরিবেশন করেন একাডেমির শিশু সংগীত দল। এসময়  আরও উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সচিব বদরুল আনম ভুঁইয়া ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক সুশান্ত কামারসহ একাডেমির কর্মকর্তা কর্মচারী এবং পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে লিয়াকত আলী লাকি জানান, উৎসবে ৯৪টি শিশু নাট্যদলের পরিবেশনা উপস্থাপিত হবে। একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা, জাতীয় চিত্রশালা, জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তন ও একাডেমি প্রাঙ্গণসহ প্রতিদিন ৮টি ভেন্যুতে ৯টি জেলার ৮৫টি পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে।

সারাদেশ থেকে আগত শিশু-কিশোর শিল্পীরা পরিবেশন করবেন নাটক, একক অভিনয়, স্কুল থিয়েটার, সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন এবং ৭ই মার্চের ভাষণ। আগত শিশুদের জন্য থাকবে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র কর্মশালা, নাট্য কর্মশালা, পাপেট থিয়েটার, ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাট্য, পাপেট নির্মাণ কর্মশালা, যাদু প্রদর্শনী, বঙ্গবন্ধু পুষ্পকানন নির্মাণ, মঞ্চকুঁড়ি পদক, তনয় শিশু নাট্য পদক, শিশু আনন্দমেলা এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা।

উৎসবের উদ্বোধনী আয়োজনে থাকবে আনন্দ র‌্যালি, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এমপি। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি, শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, আইটিআই বিশ্বকেন্দ্রের সাম্মানিক সভাপতি রামেন্দু মজুমদার এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সেক্রেটারী জেনারেল কামাল বায়েজীদ।

অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা লিয়াকত আলী লাকী নিজেই।