ব্যক্তিগত যোগাযোগ থেকেই টালিউডে কাজের শুরু: জ্যোতি

বাংলাদেশের ছোট ও বড়পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। সম্প্রতি অভিনয় করলেন চলচ্চিত্র ‘বাকিটা ব্যাক্তিগত’খ্যাত কলকাতার নির্মাতা প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের ‘রাজলক্ষী ও শ্রীকান্ত’-তে। সে দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর বিপরীতে রাজলক্ষী হয়ে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর টালিউডে অভিষেক ঘটতে চলেছে জ্যোতির। তার আগে গ্লিটজের মুখোমুখি হলেন তিনি।

রুদ্র হকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Sept 2019, 06:30 AM
Updated : 5 Sept 2019, 06:53 AM

কলকাতায় আপনার প্রথম ছবি। কি করে জড়ালেন?

আসলে কলকাতায় যারা কাজ করতে আসে বাংলাদেশের আর্টিস্টরা তারা হয়তো কোন প্রোডাকশনের ব্যানারে বা কেউ যৌথ প্রযোজনায় কোন কাজ করছে সেভাবে। আমার এখানে কাজের শুরুটা একদমই ব্যক্তিগত যোগাযোগ থেকে। একটা শর্টফিল্মে কাজ করতে গিয়ে প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা। আমার অন্যান্য কাজ দেখে তিনিই আমাকে ছবিটা করার ব্যাপারে প্রস্তাব করেন। তার ইমেজ, কাজ দেখে এবং ছবিটার পরিকল্পনা ও মানটা বুঝতে পেরে শুনে আমিও রাজি হয়ে যাই।

কেমন অভিজ্ঞতা হলো কাজটি করতে গিয়ে?

ঢাকায় কাজ শুরু করতে আমার যে কষ্ট হয়েছিল, কলকাতায় কাজ করতে আমার সে কষ্ট হয়নি। ওখানে আমার মামার বাড়ি। থাকা খাওয়ার কোন ঝামেলাই ছিল না। কিন্তু ঢাকায় কাজ শুরু করতে আমার পরিবার বা আত্মীয়দের কোন সাপোর্ট ছিল না। নতুন দেশে কাজ করতে গিয়ে সবসময় মনে হয়েছে, আমি আমার দেশকে রিপ্রেজেন্ট করছি। কেউ মন্দ কিছু বলুক সে সুযোগ হতে দেইনি। অভিনয়টাও অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। ঋত্বিককে তো ভারতের দশজন সেরা অভিনেতার মধ্যে ধরা হয় এখন। তার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে যেন কোন ত্রুটি না হয় সে চেষ্টা ছিল। ওরাও অনেক সাপোর্টিভ, প্রফেশনাল এবং কো অপারেটিভ। আমার দারুণ অভিজ্ঞতা হল।

গান, ট্রেলার, টিজারে কেমন রেসপন্স পাচ্ছেন?

খুব ভালো। সবাই এতে প্রশংসা করছে। দেশের সহশিল্পীরা, ভক্তরা এমনকি আমার জন্মস্থান গৌরিপুর থেকেও একজন জানতে চাইলো ঋত্বিকের সঙ্গে এমন মধুর রসায়ন কি করে হলো।

গ্লিটজও এই রসায়নটা সম্বন্ধে জানতে চায়!

রসায়নের মূলমণ্ত্র হলো একটাই-  ঋত্বিক খুব সিম্পল। তার প্রেজেন্টেশন, কথা বলা, চলাফেরা সবকিছু। তিনি নিশ্চয়ই জানেন, যে শুধু তার ভালো করলে চলবে না। একইসঙ্গে তার পুরো টিম, কো আর্টিস্ট সবাই ভালো করতে হবে। আমিও তাই বিশ্বাস করি। আমি যখন অভিনয় করেছি, আমার মনে হয়নি এটা ঋত্বিক চক্রবর্তী। আমার কাছে শ্রীকান্তই মনে হচ্ছিলো। আমাদের প্রায় সব শটই এক টেকে ওকে হয়েছিলো। কি করে যে রসায়নটা জমে গেলো বুঝতেই পারিনি। প্রদীপ দা বলছিলেন, “ভালো করবেন জানতাম, এত ভালো করবেন তা বুঝতে পারিনি।”

 

ক্যারিয়ারে আপনার চরিত্র নির্বাচনে দেখা গেছে বেশিরভাগই একটু নন গ্ল্যামারাস হয় কেন? নাকি পরিচালকরাই আপনাকে ওইভাবে পছন্দ করেন?

আসলে গ্ল্যামার বিষয়টা সঠিক বুঝে এমন পরিচালকের সাথে কাজ করতে চাই। তথাকথিত গ্ল্যামার বলতে যা বোঝায়, সেরকম কাজের প্রচুর অফার আছে আমার। কিন্তু ঐটা আসলে আমার রাস্তা না। আমি ভুল জিনিসে জড়াতে চাইনা। চরিত্র অনুযায়ী অভিনয় করতে চাই। গ্ল্যামার হলে গ্ল্যামার, নন গ্ল্যামার হলে নন গ্ল্যামার। আমি মনে করি আমি দুটোতেই দারুন মানানসই। কোনও ভাবেই নিজের কোনও গুনের াপব্যবহার করতে দিতে চাই না!

আমি ব্যক্তিগত জীবনে খুব সাধারনভাবে চলাফেরা করি। তারমানে এই না আমি ননগ্ল্যামারাস। সুযোগ যখন আসবে তখন ঠিক দেখা যাবে। কারন ক্যামেরা আর আমার মধ্যে এক ধরনের ইথারের সম্পর্ক আছে। সেটা পর্দায় দেখাতে চাই।

 

‘রাজলক্ষী’ চরিত্রে দর্শক কিভাবে পাবে আপনাকে?

একেবারে গ্ল্যামারাস রূপে এবার রাজলক্ষ্মী হয়ে আসছি আমি এবার পর্দায়।

কলকাতায় আপনার পরবর্তী লক্ষ্য কি?

আসলে আমার কাজ অভিনয় করা। সেটা বাংলাদেশ, কলকাতা কিংবা বোম্বে যেখান থেকেই ডাক আসুক। কলকাতায় আমি নতুন আরেকটা ছবির প্রস্তাব পেয়েছি। কিছুদিনের মধ্যেই সেটার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবো।