‘স্পেস এ্যান্ড এ্যাক্টিং রিসার্চ সেন্টার’ প্রযোজিত নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন অভিনেতা ও নির্দেশক আশীষ খন্দকার। মঙ্গলবার একাডেমীর স্টুডিও থিয়েটার হলে নাটকটি প্রদর্শিত হবে রাত আটটায়।
নির্দেশক আশীষ জানান, নাটকের দুই আগন্তুকের চরিত্র দু’টির উদ্ভব হয়েছে এক শিশুর আঁকা একটি ছবি থেকে। ছবিটি এঁকেছিলেন তারই কন্যা মৃন্ময়ী। অন্ধকারে হেঁটে চলা দু’টো লোক ও আঁকিয়ে মৃন্ময়ীই তার ভাবনার জগতে সৃষ্টি করেছে ‘দুই আগন্তুক বনাম করবী ফুল’।
নাটকটি প্রসঙ্গে আশীষ খন্দকার বলেন, “একদিন আমি আমার মেয়ে মৃন্ময়ীর সাথে বসে ছিলাম। সে তেলরং এ একটা ছবি আঁকছিল- দু’টো লোক অন্ধকারে হেঁটে চলেছে। এই নাটকটার বীজ তখনই আমার মাথায় এসেছে। অনেকটা সময় গবেষণার পর ঐ ছোট্ট একটা বীজ থেকে নাটকের পটভূমিটা দাঁড় করাই। আমি বিস্মিত হয়ে মৃন্ময়ীর ব্যাখ্যাটাও শুনেছিলাম-ও রূপকথার গল্প থেকে এই চরিত্র দু'টো কে এঁকেছে, আর অদ্ভুতভাবে এই গল্প প্রাচ্য পাশ্চাত্যে যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকা চিরায়ত রুপকথার গল্প, যে গল্পটা আবার ঘুরিয়ে দেখলে দেখতে পাই, আমাদের এই ঘুণে ধরা, পঁচা গলা বাস্তবতা। এর রূপকগুলো মঞ্চে প্রাণ পায় অভিনেতার বিভিন্ন কার্যকলাপে।”
নাটকের নারী চরিত্র বান্দ্রার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মানিসা অর্চি। তিনি বলেন, “প্রযুক্তির রঙিন ফাঁদে আমাদের আটকে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে পাই এখানে। প্রতিটি সংলাপে খুঁজে পাওয়া যায় ভাবনার খোরাক। আশা করছি, প্রতিবারের মত এবারেও দর্শকমুখর একটা শো হবে।”
তিনি ছাড়াও নাটকে দুই আগন্তুক চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফরহাদ শাওন ও রাব্বী।