জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদানের জন্য নির্বাচিত চলচ্চিত্র ‘শিকলবাহা’র জন্য ২০১৪ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবের লালগালিচায় উদীয়মান নির্মাতাদের আসর ‘লা ফ্যাব্রিক সিনেমা দু মুন্দে’ আমন্ত্রিত ১০ জন তরুণের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছিলেন নির্মাতা কামার।
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাপী তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের মর্যাদাপূর্ণ অনুদান পুরস্কার ‘ওয়ার্ল্ড সিনেমা ফান্ড’ জিতেছিলও চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য। স্বাভাবিকভাবেই নির্মাণের আগেই আলোচনায় চলে আসা চলচ্চিত্রটি নিয়ে সন্তর্পনেই এগুলেন নির্মাতা।
পাঁচবছরের প্রস্তুতিপর্ব শেষ করে অবশেষে শুটিংপর্ব শুরু করলেন তিনি। ঈদের আগে ঢাকার অদূরে শুটিং ক্যাম্প ফেলেন কামার। তিনি জানান, টানা চার সপ্তাহ শুটিং শেষে ঈদের বিরতি চলছে চলচ্চিত্রটির। খুব শিগগিরই আরও দু মাসের শুটিং পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছেন নির্মাতা।
হারিয়ে যাওয়া দুই বন্ধু আর একটা নদীর খোঁজে এক অনিশ্চিত যাত্রার গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা ‘শিকলবাহা'। সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন তিরিশোর্ধ দুই তরুণ আর এক তরুণী। এছাড়াও সিনেমার পার্শ্ব-চরিত্রের জন্য ১২ থেকে ৯৪ পর্যন্ত বয়সের ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাতচল্লিশটি চরিত্রের চলচ্চিত্র শিকলবাহা।
প্রাথমকিভাবে সিনেমাটির নাম ছিলো 'শঙ্খধ্বনি' (Silence of the Seashell)। নতুন নামকরন নিয়ে কামার বলেন, “জ্য পল সার্ত্রের উপন্যাস আয়রন ইন দ্য সোল-এর বাংলা অনুবাদ করেছিলেন সরদার ফজলুল করিম শিকল অন্তরে। লিখতে গিয়ে টের পেলাম, আমাদের সবার মনের গহিনে বহমান যে নদী, তার ভেতরেও একটা শিকল পড়ে আছে, সার্ত্রের সেই শিকল! নিজে ছাড়া আর কেউ যার শব্দ শুনতে পায় না। আবার দুই বন্ধু যে নদীটা খুঁজছে তার নামও 'শিকলবাহা'। তাই নামটা বদলে দিলাম - শিকলবাহা।”
কামার আহমাদ সাইমনের রচনা ও পরিচালনায় সারা আফরীনের প্রযোজনায় ‘শিকলবাহা’ যৌথ প্রযোজনা করছে জার্মানির ওয়াইডাম্যান ব্রস।