সাবলীল হাস্যরসাত্মক অভিনয়ে দীর্ঘ সময় দর্শকদের মাতিয়ে রাখার পর ৭৮ বছর বয়সী এই অভিনেতা রোববার রাত ১১টায় রাজধানীর টিকাটুলিতে নিজের বাসায় মারা যান।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বরেণ্য এই কৌতুক অভিনেতার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই ব্যর্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন আনিস।
মিশা সওদাগর জানান, সোমবার দুপুরে জানাজা শেষে এই অভিনেতার মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি জন্মস্থান ফেনীর ছাগলনাইয়ার বল্লবপুর গ্রামে নেওয়া হবে। সন্ধ্যায় সেখানকার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে টিকাটুলী জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা হয়।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদের মৃত্যু হয়।
১৯৬০ সালে ‘বিষকন্যা’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে পা রাখেন করেন আনিস। যদিও ছবিটি মুক্তি পায়নি।
আনিস অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র জিল্লুর রহমান পরিচালিত ‘এই তো জীবন’ মুক্তি পায় ১৯৬৩ সালে। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আড়াই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেও তিনি অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি মঞ্চেও অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে ‘নবাব সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে গোলাম হোসেন চরিত্রে অভিনয় করে তিনি মঞ্চে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন।