এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসের বিচারক রুবাইয়াত

এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসের (অ্যাপসা) ১২তম আসরের বিচারক হতে যাচ্ছেন নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন।বৃহস্পতিবার এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে গ্লিটজকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন অ্যাপসার পাবলিসিস্ট অ্যালিসিয়া ব্রেসিয়ানিনি।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2018, 02:23 PM
Updated : 8 Nov 2018, 02:23 PM

বাংলাদেশের প্রথম নারী নির্মাতা হিসেবে সম্মানজনক এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসের (অ্যাপসা) বিচারক হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছেন  ‘আন্ডারকন্সট্রাকশান’ খ্যাত নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন।  অ্যাপসার ইয়ুথ, অ্যানিমেশন ও ডকুমেন্টারি বিভাগের বিচারক প্যানেলে আমন্ত্রণ পেয়েছেন তিনি।  

তার পাশাপাশি আছেন লুকাস ফিল্মের ভিএফএক্স অ্যান্ড অ্যানিমেশন স্টুডিও ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইট অ্যান্ড ম্যাজিকের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা লুক হেথারিংটন।  এ বিভাগে বিচারকদের প্রধান অস্ট্রেলীয় প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা এবং ডকুমেন্টারি অস্ট্রেলিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিৎজি গোল্ডম্যান।

অ্যাপসা চেয়ারম্যান মাইকেল হকিন্স বলেন, ‘অ্যাপসায় আন্তর্জাতিক বিচারক প্যানেলে রয়েছে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য।  গুণী চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের বিচারকের আসনে আমন্ত্রণ জানাতে পেরে আমরা সম্মানিত।’

এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ছবিগুলোর জন্য অ্যাপসাকে ধরা হয় সর্বোচ্চ সম্মান।  আগামী ২৯ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে ঘোষণা করা হবে পুরস্কার জয়ীদের নাম।  এবার মূল প্রতিযোগিতায় আছে ২২ দেশের ৪৬টি ছবি।  এ বিভাগে বিচারকদের সভাপতি হিসেবে আছেন ২০১৪ সালে অ্যাপসা জয়ী ‘লেভিয়াফান’ ছবির প্রযোজক ইউক্রেনের আলেক্সান্ডার রডনিয়ানস্কি।

নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র ‘মেহেরজান’।  তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ ইতিমধ্যেই দেশ ও দেশের বাইরে প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে।   বর্তমানে এ নির্মাতা নির্মাণ করছেন তার তৃতীয় চলচ্চিত্র ‘মেড ইন বাংলাদেশ’।  সম্প্রতি শুটিং শেষে চলচ্চিত্রটি আছে সম্পাদনার টেবিলে।   ২০১৯ সালে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। 

এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু, দীপান্বিতা মার্টিন, মায়াবী মায়া, নভেরা রহমান, পারভীন পারু, মুস্তাফা মনোয়ার, শতাব্দী ওয়াদুদ, জয়রাজ, মোমেনা চৌধুরী, ওয়াহিদা মল্লিক জলি ও সামিনা লুৎফা।