শনিবার বিকেলে গ্লিটজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন তিনি।
গত ৭ মে শ্রাবন্তীর ঠিকানায় বিচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক খোরশেদ আলম। ভাঙনের মুখে থাকা সংসার নিয়ে তিনি খুব ‘বিষণ্ন’ বলে জানান শ্রাবন্তী।
“এই মনমানসিকতা নিয়ে কাজ করা সম্ভব না। আমি কেন জানি একটু ডিপ্রেসড।”
সন্তানদের কথা চিন্তা করে মৃতপ্রায় সাংসারকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়েছেন শ্রাবন্তী। কিন্তু দু’জনের সম্পর্কের এখনও উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি ঘটেনি বলে জানান তিনি। গত ২৬ জুন রাজধানীর খিলগাঁও থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলাও করেছেন করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, “বাচ্চা রেখে কোথাও গিয়ে শ্যুটিং করতে ভালো লাগে না। আমি পারি না।.. কাজ করাটা কমিটমেন্টের ব্যাপার। কারও সঙ্গে ফাজলামি করতে পারব না। পরে দু’একটা কাজ করতে পারি, তবে তা নিশ্চিত নয়।”
ক্যারিয়ারের শুরুতে ছোটপর্দায় মডেলিং ও নাটকে অভিনয় করেন তিনি। ‘জোছনার ফুল’ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকমহলে পরিচিতি পান। পরে ‘রং নাম্বার’ ও ‘ব্যাচেলর’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বড়পর্দায়ও নিজের অবস্থান পোক্ত করেছিলেন প্রায়।
অভিনয় জীবনকে মিস করেন না?
শ্রাবন্তী বলেন, “ওই রকম না। বাচ্চা-কাচ্চা নিয়েই বেশি ভালো থাকি। ওদেরকে রেখে কিছু করার মানসিকতা নেই।”
২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর খোরশেদ আলমের সঙ্গে বিয়ের কিছুদিন পর আমেরিকায় থিতু হন তিনি। দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি দুই সন্তান রাবিয়াহ আলম ও আরিশা আলমকে নিয়ে দেশের ফিরেছেন তিনি।
২০১০ সালে নূরুল আলম আতিকের ‘ডালিম কুমার’ নাটকে শেষবারের মতো ছোটপর্দায় দেখা গেছে তাকে।